মেহেদির স্পিনে সিলেটকে উড়িয়ে দিল কুমিল্লা

মেডেন ওভারে শুরু। পরের ওভারেই নেই তিন উইকেট। মেহেদি হাসানের দুর্দান্ত সেই ওভার থেকে উইকেট পতনের যে স্রোত শুরু হলো, বাঁধ দেওয়ার যেন কেউ নেই! রেকর্ড সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাওয়া থেকে সিলেট সিক্সার্সকে বাঁচালেন অলক কাপালি। কিন্তু হার এড়ানো গেল না। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স জিতল সহজেই।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Jan 2019, 02:20 PM
Updated : 15 Jan 2019, 04:00 PM

এবারের বিপিএলে নিজ শহরে প্রথম ম্যাচেই ঘরের দর্শকদের হতাশায় ডোবাল সিলেট। কুমিল্লার কাছে হেরেছে তারা ৮ উইকেটে।

মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেটকে ৬৮ রানে আটকে রেখে কুমিল্লা জিতেছে ৫৩ বল বাকি রেখে। পাঁচ ম্যাচে কুমিল্লার এটি তৃতীয় জয়। সিলেট হারল চার ম্যাচের তিনটিতেই।

বল হাতে ধ্বংসজজ্ঞে কুমিল্লার মূল নায়ক মেহেদি। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং স্পর্শ করে এই অফ স্পিনার নিয়েছেন ২২ রানে চার উইকেট। প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ওয়াহাব রিয়াজ নিয়েছেন তিনটি, আঁটসাঁট বোলিংয়ে লিয়াম ডসন নিয়েছেন দুটি।

মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের মেডেন ওভারে সিলেটের ইনিংসের শুরু। পরের ওভারে মেহেদি বোল্ড করে দেন আন্দ্রে ফ্লেচার ও ডেভিড ওয়ার্নারকে, এলবিডব্লিউ হন আফিফ হোসেন। তিনজনই আউট বলের লাইন মিস করে।

নিকোলাস পুরান এসে ঠেকান হ্যাটট্রিক। পরের ওভারে তিনিও শিকার সাইফের। উইকেট শিকারে এরপর যোগ দেন লিয়াম ডসনও। এই বাঁহাতি স্পিনার ফিরিয়ে দেন লিটন দাস ও সাব্বির রহমানকে। মেহেদি দ্বিতীয় ওভারে ফিরে ফেরান সোহেল তানভিরকে।

সিলেটের রান তখন ৭ উইকেটে ২২। প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের তিনজন ফিরেছেন শূন্যতে, বাকি তিনজন মিলে করেছেন ১৬!

সিলেটকে ডাকছে তখন বিব্রতকর রেকর্ড। টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন দলীয় রানের বিশ্বরেকর্ড ৩০, বিপিএল রেকর্ড ৪৪।

অলক আসেন সিলেটের ত্রাতা হয়ে। অষ্টম জুটিতে তাসকিন আহমেদের সঙ্গে গড়েন ২৩ রানের জুটি। শেষ উইকেটে আল আমিন হোসেনের সঙ্গে তোলেন ২১।

শেষ পর্যন্ত সঙ্গীর অভাবেই থমকে যেতে হয় অলককে। চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩১ বলে অপরাজিত থাকেন ৩৩ রানে। সিলেট গুটিয়ে যায় ১৫ ওভারের আগেই।

ছোট্ট রান তাড়ায়ও শুরুতে হোঁচট খেয়েছিল কুমিল্লা। আত্মঘাতী রান আউটে শূন্য রানে ফেরেন এনামুল হক। এবারের বিপিএলে ব্যর্থতার ধারা থেকে বের হতে পারেননি তামিম ইকবালও। রানের দেখা পাননি তিনিও।

শামসুর রহমান ও ইমরুল কায়েস অবশ্য নাটকীয়তা জমতে দেননি। ৫৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জেতান দুজন।

এবারের আসরে প্রথম খেলতে নেমে শামসুর অপরাজিত থাকেন ৩৭ বলে ৩৪ রানে। দুটি করে চার ও ছক্কায় অধিনায়ক ইমরুল অপরাজিত ৩০ করেছেন ২২ বলে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

সিলেট সিক্সার্স: ১৪.৫ ওভারে ৬৮ (ওয়ার্নার ০, ফ্লেচার ৪, লিটন ৬, আফিফ ০, পুরান ০, সাব্বির ৬, অলক ৩৩*, তানভির ৫, তাসকিন ৪, নাবিল ০, আল আমিন ৫; সাইফ ৪-১-১৮-১, মেহেদি ৪-০-২২-৪, ওয়াহাব ২.৫-০-১৫-৩, ডসন ৩-১-৪-২, আফ্রিদি ১-০-৮-০)।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১১.১ ওভারে ৬৯/২ (এনামুল ০, তামিম ০, শামসুর ৩৪*, ইমরুল ৩০*; তানভির ৩-১-১০-১, আফিফ ১.১-০-১০-০, নাবিল ৩-০-১৫-০, তাসকিন ১-০-৮-০, অলক ২-০-১৩-০, আল আমিন ১-০-১০-০)।

ফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৮ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: মেহেদি হাসান