বিপিএলের এবারের আসরে নিজের প্রথম ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন তাসকিন। চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে পরের ম্যাচে ২৮ রানে নেন ৪ উইকেট। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে শনিবার ৩ উইকেট নেন ৩৮ রানে। নিজের বোলিংয়ে খুশি এই তরুণ জানান, প্রতি ম্যাচে আরও উন্নতির আশায় কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন।
“শেষ দুইটা ম্যাচ ভালো হয়েছে। এখনও অনেকগুলো ম্যাচ বাকি আছে। প্রত্যেকটা ম্যাচে ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করছি। তো মোটামুটি ভালোই হচ্ছে, খারাপ না।”
জাতীয় দলের বাইরে থাকা তাসকিন বোলিংয়ে নতুনত্ব এনে আবার খেলতে চান দেশের হয়ে।
“সত্যি কথা বলতে কী সব সময় বিশ্বাস করতাম, করি, করবোও জাতীয় দলে খেলার যোগ্যতা রাখি। ২০১৮ সালটা চোট আর বাজে ছন্দ মিলিয়ে একটু খারাপ কেটেছে। কঠোর পরিশ্রম করছি, সামনেও করব।”
পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াকারের সঙ্গ দারুণ উপভোগ করছেন তাসকিন। কোচের কাছ থেকে শিখে নিচ্ছেন ফাস্ট বোলিংয়ের নানা কৌশল।
“আমরা স্থানীয় বোলাররা সব সময় উনার সঙ্গে কথা বলে শেখার চেষ্টা করছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেন অনুমেয় বোলিং না হয়ে যায় সেদিকে উনি খুব জোর দেন। শুধু জোরে না বা শুধু ধীরে না, দুইটার মিশেলে সঠিক লাইন-লেংথে স্পট বোলিং নিয়ে উনি কাজ করছেন। আমাদের অনেক অনুপ্রাণিত করছেন উনি।”
“আমাদের বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করেন যে, আমরা ভালো করতে পারব। এটা সম্ভব, আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। উনি অনেক আত্মবিশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আশা করি, আমরা বোলিং ইউনিট উনার কাছ থেকে সামনে অনেক কিছু শিখতে পারব।”
নিজে একজন পেসার হওয়ায় ওয়াকার খুব সহজেই ধরে ফেলতে পারেন পেসারদের ভুল। তাসকিন মনে করেন, একজন পেসার প্রধান কোচ হওয়ায় কিছুটা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন তারা।
“কোনো সন্দেহ নেই, উনি একজন কিংবদন্তি। অনেক ধরনের ক্রিকেট উনি খেলেছেন। অনেক বছর ক্রিকেট খেলেছেন। আমরা ম্যাচে কোনো ভুল করলে উনি সেটা খুব সহজে ধরে ফেলতে পারেন। উনি আমাদের বলেন, এই ভুলটা এই কারণে হয়েছে। আমরা খেলোয়াড়রা এই ভুলগুলো নিয়ে সতর্ক থাকি, সেগুলো নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি। সব মিলিয়ে উনি অনেক সাপোর্ট করছেন।”