দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৩৫ রান। প্রথম ইনিংসে ৭৭ রানের লিড পাওয়া দলটি এগিয়ে গেছে ২১২ রানে।
আমলা ৯০ বলে ৮ চারে ৪২ এবং ডি কক ৩৫ বলে ৩৪ রানে ব্যাট করছেন। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে গড়েছেন ৪২ রানের জুটি।
শুরুতেই ডিন এলগারকে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ আমির। মোহাম্মদ আব্বাস বিদায় করেন এইডেন মারক্রামকে। দুই অঙ্কে যাওয়ার আগেই টিউনিস ডি ব্রুইন ও জুবায়ের হামজার উইকেট তুলে নেন ফাহিম আশরাফ।
৪৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকা প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে আমলা-টেম্বা বাভুমার ব্যাটে। সাবধানী ব্যাটিংয়ে ২৩ রান করা বাভুমাকে ফিরিয়ে ৪৮ রানের জুটি ভাঙেন শাদাব খান।
দিনের বাকি সময় কোনো ক্ষতি ছাড়াই কাটিয়ে দেন আমলা ও ডি ব্রুইন। তাদের দৃঢ়তায় তৃতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দেওয়ার পথে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে দা ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে ২ উইকেটে ১৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা পাকিস্তানকে এগিয়ে নেন ইমাম-উল-হক ও আব্বাস। চার বলের মধ্যে নাইটওয়াচম্যান আব্বাস ও আসাদ শফিককে ফিরিয়ে দেন অলিভিয়ের।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেওয়া সরফরাজকে ফেরান কাগিসো রাবাদা। পাকিস্তান অধিনায়ক ৪০ বলে ৮ চারে ফিরেন ৫০ রান করে। ৫ উইকেটে ১৬৯ রানে ভালো অবস্থানে থাকা দলটি পরের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় গুটিয়ে যায় ১৮৫ রানে।
১৬ রানে সফরকারীদের শেষ ৫ উইকেট তুলে নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ৭৭ রানের লিড।
অলিভিয়ের ৫১ রানে নেন ৪ উইকেট। ফিল্যান্ডার ৩ উইকেট নেন ৪৩ রানে। তাদের দারুণ বোলিংয়ে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের আশা আরেকটু উজ্জ্বল হলো স্বাগতিকদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ২৬২
পাকিস্তান ১ম ইনিংস:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: (আগের দিন শেষে ১৭/২) ৪৯.৪ ওভারে ১৮৫ (ইমাম ৪৩, আব্বাস ১১, শফিক ০, বাবর ৪৯, সরফরাজ ৫০, শাদাব ৫, আশরাফ ০, আমির ১০, হাসান ০*; স্টেইন ০/৩৫, ফিল্যান্ডার ৩/৪৩, রাবাদা ২/৪১, অলিভিয়ের ৫/৫১)
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ৩৭ ওভারে ১৩৫/৫ (এলগার ৫, মারক্রাম ২১, আমলা ৪২*, ডি ব্রুইন ৭, হামজা ০, বাভুমা ২৩, ডি কক ৩৪*; আমির ১/২৮, আব্বাম ১/৩৩, হাসান ০/২৭, আশরাফ ২/১৯, শাদাব ১/২৫)