অন্তত দুটি ম্যাচে স্মিথের না খেলা আপাতত নিশ্চিত। তার অনুপস্থিতিতে কুমিল্লাকে নেতৃত্ব দেওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ইমরুল কায়েস। এবারের আসরে কুমিল্লার সহ-অধিনায়ক ইমরুলই। দলে তামিম ইকবাল থাকলেও নেতৃত্বে খুব আগ্রহী নন গত আসরে কুমিল্লাকে নেতৃত্ব দেওয়া ওপেনার।
স্মিথের কনুইয়ের এই চোট পুরোনো। বিপিএলে দুটি ম্যাচ খেলে সেটি মাথাচাড়া দিয়েছে আবার। চোটের কারণে সবশেষ ম্যাচের পর দলের দুটি অনুশীলন সেশনে মাঠে আসলেও অনুশীলন করতে পারেননি। ব্যথা না কমায় দেশে ফিরছেন মূলত একটি এমআরই করাতে। রিপোর্ট ভালো হলে তিনি ফিরবেন যত দ্রুত সম্ভব।
“প্রথম দুই ম্যাচে স্মিথ মাঠে খুব ভালো অধিনায়কত্ব করেছে। মাঠের বাইরে খুব দ্রুত দলকে আপন করে নিয়েছিল। এখানে আসার আগে থেকেই আমার কাছ থেকে দলের স্থানীয় ক্রিকেটারদের সম্পর্কে বিশদ খোঁজ নিয়েছে। নিজেও সবার ভিডিও দেখে ধারণা নিয়েছে। কার কি ভূমিকা, সবাইকে খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেছে। দলে খুব সম্পৃক্ত ছিল। সে কয়েক ম্যাচে না থাকায় তাই বড় ক্ষতি হয়ে গেল।”
“সে বলেছে, রিপোর্টে খারাপ কিছু না পেলে দ্রুতই ফিরে আসবে। আমারও সেটিই বিশ্বাস। কারণ ওকে ম্যাচ খেলার জন্য খুব মরিয়া মনে হয়েছে। ওরা মাঠের মানুষ, মাঠে থাকতে চায়। দেশের হয়ে খেলতে পারছে না। এখানে খেলার সুযোগ তাই হাতছাড়া করতে চায় না। আশা করছি ওর ইনজুরি সিরিয়াস নয়, তাড়াতাড়িই ফিরবে।”
কুমিল্লার পরের দুই ম্যাচ শুক্রবার রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে এবং রোববার চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে। সোমবার বিপিএলে বিরতি। মঙ্গলবার সিলেট পর্বের প্রথম দিনে কুমিল্লার প্রতিপক্ষ সিলেট সিক্সার্স।