এ দিন মিরাজের প্রথম চমক ছিল ব্যাটিং পজিশনে। খুলনা টাইটানসকে ১১৭ রানে আটকে রেখেছিল রাজশাহীর বোলাররা। রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ আউট হওয়ার পর নেমে যান মিরাজ। শুরু থেকেই খেলতে থাকেন দারুণ। রান রেটের চাপ ছিল না। ৪৫ বলে ৫১ রান করে মিরাজ যখন ফিরছেন, দল তখন জয়ের দুয়ারে।
৭ উইকেটের জয়ের পর মিরাজ জানালেন, ব্যাটিং অর্ডার লম্বা করতেই তাকে তিনে নামানো ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা।
“তিনে নামার প্ল্যান ছিল ম্যানেজমেন্ট থেকে। ম্যানেজমেন্ট থেকে বলেছিল, যদি প্রথম তিন ওভারের মধ্যে উইকেট পড়ে তাহলে আমি যাব, তা না হলে সরকার ভাই (সৌম্য) যাবে। পরিকল্পনা সফল হয়েছে। খুব ভালো লাগছে।”
“আসলে আমাদের ব্যাটিং লাইনআপ বড় করার জন্য আমার ওপরে আসা। নাহলে সাত-আট নাম্বারে নামতে হতো। আমাদের বেশি রানও দরকার ছিল না। ছয়ের আশেপাশে রান রেট ছিল। ওইসময় মারার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সিঙ্গেল নিয়ে খেলা। এর জন্যই সবাই এই চিন্তা করেছি।”
এই ম্যাচের চেয়েও বড় চমক ছিল অবশ্য কয়েক মাস আগে। সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মিরাজকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে দেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। সেদিনও ফাটকাটা কাজে লেগে গিয়েছিল দারুণভাবে। মিরাজ রান করেছিলেন ৩২। তবে উইকেটে কাটিয়েছিলেন ২০ ওভারের বেশি। লিটন দাসের সঙ্গে গড়েছিলেন ১২০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
মিরাজ বললেন, ওই ম্যাচের সাফল্যই তাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে নিজের ব্যাটিং নিয়ে।
“আত্মবিশ্বাস থাকা তো সব সময় ভালো। এশিয়া কাপের ফাইনাল থেকে অনেক আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। আমি চিন্তা করেছি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে খেলেছি, আমি পারব। ওখান থেকেই আত্মবিশ্বাস এসেছে। আর দলের সবাই বিশ্বাস রেখেছে। এটা আরও ভালো লেগেছে।”