মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গত মঙ্গলবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক মাশরাফি এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জানান, নিজেদের মেলে ধরতে স্থানীয়দের সময় দিতে হবে।
“আমার মনে হয়, গত বিপিএলের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ১৫/২০ জন ছাড়া বাকিরা সেভাবে টি-টোয়েন্টি খেলেনি। তাই এটা তাদের জন্য কঠিন। বিদেশি ক্রিকেটার যারা ভালো করছে তারা সবাই টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ। ওরা সব সময় বিশ্ব জুড়ে টি-টোয়েন্টি খেলে। ওদের সঙ্গে আমাদের স্থানীয়দের তুলনা করা কঠিন। যারা জাতীয় দলের বাইরে আছে তাদেরকে আরেকটু সময় দিতে হবে।”
চিটাগং ভাইকিংস অধিনায়ক মুশফিকের মতে, বছরে শুধু একটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটারদের শুরুতে নিষ্প্রভ থাকাটাই স্বাভাবিক।
“যারা জাতীয় দলের বাইরে আছে তাদের ভালো করাটা কঠিন। সারা বছর কিন্তু এই একটা (টি-টোয়েন্টি) টুর্নামেন্টই তারা খেলে। এমনকি অনুশীলন ম্যাচও খেলে না। এসেই ক্লিক করাটা তাদের জন্য একটু কঠিন হয়ে যায়। আমরা যারা জাতীয় দলে খেলি তারা সারা বছর তিন সংস্করণে খেলি, তাই আমাদের জন্য তুলনামূলক সহজ।”
বিপিএলের গত আসরের আগে গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানিয়েছিলেন, বিপিএলের বাইরে শুধু স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের ভাবনা আছে তাদের। এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি অঞ্চলভিত্তিক প্রস্তাবিত সেই টুর্নামেন্ট।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের আয়োজক ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) প্রধান জানিয়েছিলেন, লিগের সেরা ৬ বা ৮ দলকে নিয়ে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হতে পারে। হয়নি সেই টুর্নামেন্টও।
মুশফিক জানান, স্থানীয় খেলোয়াড়দের জন্য এই ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তাব ক্রিকেটাররা দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব নতুন করে দিলেন অভিজ্ঞ এই কিপার ব্যাটসম্যান।
“আমার মনে হয়, বিপিএলের বাইরে যদি কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যায় তাহলে যারা (জাতীয় দলের) বাইরে তাদের জন্যই শুধু না আমাদের জন্যও কাজে দেবে। (জাতীয় দলের) ব্যস্ত সূচির কারণে হয়ত কঠিন। কিন্তু যারা বাইরে আছে তাদের নিয়ে একটা টুর্নামেন্ট করলে (তাদের খেলা দেখে বিপিএলের) দল গঠন করাও সহজ হয়।”
“আমার মনে হয় এটা নিয়ে তারা চিন্তা করছেন। আমাদের একটা প্রস্তাবও ছিল, নিজেদের মধ্যেও কথা হচ্ছিল। এমন একটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট যদি খেলতে পারি তাহলে অবশ্যই ক্রিকেট অনেক লাভবান হবে।”
বিপিএলের বাইরে সবশেষ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হয়েছে ২০১৩ সালে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি। বিপিএল এক বছর বন্ধ থাকায় আয়োজন করা হয়েছিল সেই টুর্নামেন্ট।