শনিবার সেই ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটস খেলেছিল রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে। শুরুতে হ্জরতউল্লাহ জাজাই ও সুনিল নারাইনের ঝড়ের পর শেষ দিকে ডায়নামাইটসের হয়ে বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন শুভাগত।
অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সেদিন ২৮ বলে ৫৩ রান যোগ করেছিলেন রাসেল ও শুভাগত। জুটিতে ১৪ বল খেলে রাসেল করেছিলেন ১৪ রান। ঠিক ১৪ বল খেলেই শুভাগত ৫ চার ও ২ ছক্কায় করেছিলেন ৩৮ রান! ১৮৯ রান তুলে ঢাকা ম্যাচ জিতেছিল ৮৩ রানে।
শেষ দিকে এরকম ঝড় তোলার নজির বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের বিরল। ইনিংসের স্ট্রাইক রেট ছিল ২৭১.৪২, যেটি বিপিএলে কমপক্ষে ২৫ রানের ইনিংসে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের রেকর্ড। আগের রেকর্ড ছিল নাজমুল হোসেন মিলনের, ২০১৩ বিপিএলে সিলেট রয়্যালসের হয়ে ৫ ছক্কায় ১৪ বলে করেছিলেন ৩৬ রান, স্ট্রাইক রেট ছিল ২৫৭.১৪।
“আমি আসলে চাইছিলাম এক রান করে নিয়ে রাসেলকে স্ট্রাইক দিতে। কিন্তু বল পেয়ে গেছি জায়গামতো, দিনটি হয়তো আমার ছিল। তাই হয়ে গেছে।”
২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই শুভাগতকে একের পর এক টেস্ট খেলিয়ে গেছে বাংলাদেশ। সেই সময়ের টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে বিবেচনা করেছে বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে। তাকে এক পর্যায়ে দেশের সেরা অফ স্পিনারও বলেছিল নির্বাচকেরা। তিনি যদিও বরাবরই নিজেকে দাবি করে গেছেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার। সেই সময়ের ম্যানেজমেন্ট কি তাহলে তাকে উপযুক্তভাবে ব্যবহার করতে পারেনি?
পুরোনো প্রশ্নটি উঠল নতুন করে। কিন্তু শুভাগত কোনো বিতর্কেই যেতে চাইলেন না।
“সেটি নিয়ে এখন কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমি চেষ্টা করেছি। যখন, যেখানে, যেভাবে খেলার সুযোগ পাই, চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দেওয়ার।”