হারের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতিকে দুষলেন বাংলাদেশ কোচ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের শেষ দিকের দারুণ বোলিংয়ে মোমেন্টামটা নিজেদের দিকে নিয়ে এসেছিল বাংলাদেশ। লিটন দাসের বিস্ফোরক ইনিংসে ব্যাটিংয়েও মোমেন্টাম ছিল স্বাগতিকদের দিকেই। কিন্তু ‘নো’ বল নিয়ে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে খেলা বন্ধ হয়ে যায় ৮ মিনিটের জন্য। বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস মনে করেন, এই অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতিতে মোমেন্টাম ছুটে যায় বাংলাদেশের হাত থেকে। তেতে উঠা ওয়েস্ট ইন্ডিজ এরপর থেকে দল হিসেবে দারুণভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জিতে যায়।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Dec 2018, 05:31 PM
Updated : 22 Dec 2018, 05:31 PM

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ হারে ৫০ রানে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রোডস জানান, বিরতি খেলোয়াড়দের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে আঁচ করে তৎপর হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার বার্তায় কাজ হয়নি।

“ওই বিরতি ম্যাচটা বদলে দিয়েছিল কি না? হ্যাঁ অবশ্যই। যদি আপনি আজকের ম্যাচ দেখেন, ওরা উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল, মোমেন্টাম ওদের পক্ষে ছিল। এরপর আমরা দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসি। আমাদের ইনিংস শুরুর সময় মোমেন্টাম আমাদের পক্ষে ছিল। এরপর ম্যাচের মাঝে খেলা বন্ধ হওয়ায় মোমেন্টাম ওদের পক্ষে চলে যায়।”

“ওই ঘটনার পর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে খেলেছে। আমি ছেলেদের ড্রেসিংরুমে শান্ত রাখার চেষ্টায় ছিলাম। ওদের বলতে চেয়েছি, ‘দেখ আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি। তোমরা সতর্ক থাক এবং যখন খেলা শুরু হবে তখন মনোযোগ ধরে রেখ।’ কারণ, এমন অবস্থায় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বার্তা দেয়ার পরও সেটা কাজে আসেনি। কারণ, এমন অবস্থায় সবসময় মাথা ঠাণ্ডা রাখা কঠিন। এটাই আমাদের হয়েছে, আমরা ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারিয়েছি।”

বাংলাদেশের ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ওশান টমাসের দুটি বল ‘নো’ ডাকেন আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। রিপ্লেতে দেখা গেছে দুটি বলের ক্ষেত্রেই পেসারের পা ছিল লাইনের ভেতরে। দ্বিতীয় ‘নো’ বলের পর তীব্র প্রতিবাদ করে সফরকারীরা। সে সময় খেলা বন্ধ থাকে ৮ মিনিটের জন্য। হারের জন্য এই বিরতিকে দুষলেও আম্পায়ারের দিকে আঙুল তুলছেন না বাংলাদেশ কোচ। 

“আমি মনে করি, যারা খেলাটা ভালোবাসি, তারা সবাই চাই যেন সবকিছু ভালোমতো হয়। কিন্তু কখনও কখনও কিছু জিনিস ঠিকঠাক হয় না। তবে আমি ম্যাচ অফিসিয়ালদের দিকে আঙুল তুলতে চাই না। যদি সবকিছু ঠিকঠাক চলে তাহলে সবারই ভালো।”

রোডস মনে করেন, এবারের ঘটনা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য শিক্ষণীয় একটি ব্যাপার হয়ে থাকবে। কোচ চান, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনায় যেন মনোযোগ না হারান তার শিষ্যরা।

“আগেও কিন্তু এরকম ঘটনা হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি, খেলোয়াড়েরা যেন এতে বেশি জড়িয়ে না পড়ে। আমি চেষ্টা করেছি ড্রেসিংরুম যেন শান্ত আর নির্ভার থাকে। আর অভিজ্ঞতা বলে এরকম চললে খেলায় মনোযোগ রাখাটা জরুরি। অনেক সময় আবেগ এখানে প্রভাব ফেলতে পারে। আজও সেটা হয়েছে। ওই মুহূর্তটা দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।”