বাংলাদেশের ৫০ রানের হার
প্রথমবারের মতো সিরিজের তিনটি সংস্করণেই জেতা হল না বাংলাদেশের। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে জেতা দলটি টি-টোয়েন্টিতে হেরে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে।
মুস্তাফিজুর রহমানকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ১৭ ওভারে ১৪০ রানে থামান কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। ১৯১ রানের লক্ষ্য দেওয়া সফরকারীরা জিতেছে ৫০ রানে। ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে এই সংস্করণের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
১৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২২ রানে অপরাজিত থাকেন আবু হায়দার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯.২ ওভারে ১৯০ (লুইস ৮৯, হোপ ২৩, পল ২, পাওয়েল ১৯, হেটমায়ার ০, পুরান ২৯, ব্র্যাথওয়েট ৮, রাদারফোর্ড ২, অ্যালান ৮, কটরেল ২*, টমাস ০; আবু হায়দার ০/৩৯, সাইফ ০/৩৬, মিরাজ ০/২৬, সাকিব ৩/৩৭, মুস্তাফিজ ৩/৩৩, মাহমুদউল্লাহ ৩/১৮)
বাংলাদেশ: ১৭ ওভারে ১৪০ (তামিম ৮, লিটন ৪৩, সৌম্য ৯, সাকিব ০, মুশফিক ১, মাহমুদউল্লাহ ১১, মিরাজ ১৯, আরিফুল ০, সাইফ ৫, আবু হায়দার ২২*, মুস্তাফিজ ৮; কটরেল ১/৩২, টমাস ০/৫৬, অ্যালেন ২/১৯, পল ৫/১৫, ব্র্যাথওয়েট ১/১৫)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫০ রানে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ
মিরাজকে ফেরালেন কটরেল
নিজের শেষ ওভারে উইকেট পেলেন শেলডন কটরেল। বাঁহাতি এই পেসার ফিরিয়ে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজকে।
শর্ট বল পুল করতে চেয়েছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ঠিক মতো শট খেলতে পারেননি। সহজ ক্যাচ যায় শর্ট থার্ড ম্যানে ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের কাছে। ১৯ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৯ রান করেন মিরাজ। ১৫.১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১২৯/৯।
প্রথম বলেই আউট আরিফুল
প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেন আরিফুল হক। কিমো পলের অফ স্টাম্পের বাইরের বল পুল করে উড়ানোর চেষ্টায় সহজ ক্যাচ দিলেন শর্ট মিডউইকেটে।
নিজের চতুর্থ উইকেট পেলেন পল। ৯.৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৮৯/৭।
লিটনকে ফেরালেন পল
আশা হয়ে টিকে থাকা লিটন দাসকে ফিরিয়ে দিলেন কিমো পল। দারুণ বোলিং করা এই পেসার পেলেন নিজের তৃতীয় উইকেট।
অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বল উড়াতে চেয়েছিলেন লিটন। টাইমিং করতে পারেননি এই ওপেনার। মিড অফে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান কার্লোস ব্র্যাথওয়েট।
২৫ বলে তিনটি করে ছক্কা-চারে ৪৩ রান করেন লিটন। ৯.৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৮৯/৬।
দ্রুত ফিরলেন মাহমুদউল্লাহও
দলের বিপদে এবার দাঁড়াতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নিলেন কিমো পল।
লেংথ বল মিড অফের ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ঠিক মতো শট খেলতে পারেননি, সহজ ক্যাচ যায় কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের কাছে।
৯ বলে দুই চারে ১১ রান করে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ। ৭.৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৮০/৫।
টিকলেন না মুশফিকও
পরপর দুই বলে সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসানকে হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে এবার টানতে পারলেন না মুশফিকুর রহিম। দ্রুত ফিরলেন দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটসম্যান।
কিমো পলের বলে পুশ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ধরা পড়েন মুশফিক। ৫ বলে ১ রান করেন এই কিপার ব্যাটসম্যান।
৫.৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬৬/৪।
গেলেন আর এলেন সাকিব
আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা সাকিব আল হাসান টিকলেন কেবল এক বল। ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে উড়ানোর চেষ্টায় শেলডন কটরেলকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন অধিনায়ক।
৪.৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬৫/৩।
সৌম্যকে ফেরালেন অ্যালেন
বোলিংয়ে এসে আঘাত হানলেন ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। বাঁহাতি এই স্পিনার ফিরিয়ে দিলেন সৌম্য সরকারকে।
লং অন দিয়ে অ্যালেনকে ওড়াতে চেয়েছিলেন সৌম্য। টাইমিং করতে পারেননি। কিছুটা এগিয়ে এসে ক্যাচ মুঠোয় নেন শেলডন কটরেল। ১০ বলে এক ছক্কায় ৯ রান করে ফিরেন সৌম্য।
নো বলের ভুল সিদ্ধান্ত, ৮ মিনিট খেলা বন্ধ
ওশান টমাসের এক ওভারে দুটি ভুল ‘নো’ বল ডাকলেন আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। প্রথম নো বলটিতে চার হাঁকিয়েছিলেন লিটন। আর ফ্রি-হিটে পেলেন ছয়। দ্বিতীয়বার ডাকা ‘নো’ বলে উঠে যায় ক্যাচ, মুঠোয় জমান ফিল্ডার।
রিপ্লেতে টমাসের পায়ের কিছু অংশ লাইনের ভেতরে থাকতে দেখে প্রতিবাদ জানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েটকে রিভিউয়ের ইশারা দিতে দেখা যায়। তবে নো বলের রিভিউ না থাকায় কিছুই করার ছিল না।
ফিল্ডাররা সব মাঠের মাঝে জড়ো হয়। ড্রেসিংরুমের বার্তা নিয়ে আসেন দুই জন। অধিনায়ক সীমানায় গিয়ে চতুর্থ আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনায় যোগ দেন সাকিবও।
কথা শেষে আবার মাঠে সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলেন ব্র্যাথওয়েট। ৮ মিনিট বন্ধ থাকার পর শুরু হয় খেলা। ফ্রি-হিটে ছক্কা হাকান সৌম্য।
চতুর্থ ওভারে বাংলাদেশের পঞ্চাশ
লিটন দাসের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে চতুর্থ উইকেটে পঞ্চাশ স্পর্শ করল বাংলাদেশের সংগ্রহ। ফ্রি-হিটে ওশান টমাসকে ছক্কায় উড়িয়ে দলের সংগ্রহ পঞ্চাশে নিয়ে যান ডানহাতি এই ওপেনার।
যে ‘নো’ বলের জন্য ফ্রি-হিট পেয়েছিল বাংলাদেশ, রিপ্লেতে দেখা গেছে সেটি ‘নো’ বল ছিল না। টমাসের জুতার কিছু অংশ ছিল লাইনের ভেতরে।
রান আউট হয়ে ফিরলেন তামিম
রান আউট হয়ে ফিরে গেলেন তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় ওভারে ভাঙল বাংলাদেশের শুরুর জুটি।
ব্যাটসম্যান-ফিল্ডার সবাই ভেবেছিলেন তৃতীয় রানটি হয়ে গেছে। তৃতীয় আম্পায়ার চেক করে দেখছিলেন, তবে ততক্ষণে ফিল্ডিং সাজিয়ে ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের বলটি খেলতে ক্রিজে দাঁড়িয়েছিলেন তামিম। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় তৃতীয় রানটি পূর্ণ করতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। ফিরে যান ৬ বলে ৮ রান করে।
১.৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২২/১।
বাংলাদেশের চাই ১৯১ রান
এভিন লুইসের টর্নেডো ইনিংসে দারুণ শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ পর্যন্ত যেতে পারল না দুইশ পর্যন্ত। দারুণভাবে ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে তাদের ১৯০ রানে থামিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম ১০ ওভারে ১২৩ রান তুলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৩ ওভারে দেড়শ ছুঁয়েছিল দলটির রান। মাহমুদউল্লাহ, মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসানের দারুণ বোলিংয়ে তাদের দুইশ রানের নিচে থামিয়ে দেয় স্বাগতিকরা। এই তিন বোলার নেন তিনটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯.২ ওভারে ১৯০ (লুইস ৮৯, হোপ ২৩, পল ২, পাওয়েল ১৯, হেটমায়ার ০, পুরান ২৯, ব্র্যাথওয়েট ৮, রাদারফোর্ড ২, অ্যালান ৮, কটরেল ২*, টমাস ০; আবু হায়দার ০/৩৯, সাইফ ০/৩৬, মিরাজ ০/২৬, সাকিব ৩/৩৭, মুস্তাফিজ ৩/৩৩, মাহমুদউল্লাহ ৩/১৮)
উইন্ডিজকে ১৯০ রানে থামাল বাংলাদেশ
পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক সময়ে আড়াইশ রানের আশা জাগানো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা থামল দুইশ রানের নিচে।
ওশান টমাসের রান আউটে ১৯০ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ১৪ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় সফরকারীরা। ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার সময় বাকি ছিল আরও চার বল।
সাকিবের তৃতীয় শিকার রাদারফোর্ড
অভিষেকে ব্যাটিংয়ে তেমন কিছু করতে পারলেন না শেরফান রাদারফোর্ড। তরুণ অলরাউন্ডারকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট নিলেন সাকিব আল হাসান।
বাঁহাতি স্পিনারের আর্ম বলে স্লগ সুইপ করতে চেয়েছিলেন রাদারফোর্ড। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা ক্যাচ গ্লাভসে জমান মুশফিকুর রহিম।
৬ বলে ২ রান করে ফিরেন রাদারফোর্ড। ১৮.৫ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৮৯/৯।
অ্যালেনকে ফেরালেন সাকিব
নিজের শেষ ওভারে ফিরে আঘাত হানলেন সাকিব আল হাসান। ফিরিয়ে দিলেন অলরাউন্ডার ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে।
ডানহাতি ব্যাটসম্যান বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিবকে। ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। বল ধরেই বেলস ফেলে দেন মুশফিকুর রহিম।
৭ বলে এক চারে ৮ রান করে স্টাম্পড হয়ে ফিরেন অ্যালেন। ১৮.২ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৮৮/৮।
মুস্তাফিজের তৃতীয় শিকার ব্র্যাথওয়েট
ঝড় তোলার আগেই কার্লোস ব্র্যাথওয়েটকে ফেরালেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসার পেলেন নিজের তৃতীয় উইকেট। এর দুটি এলো তার শেষ ওভার থেকে।
মুস্তাফিজের অফ কাটারে গালিতে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ফিরেন এক চারে ৭ বলে ৮ রান করে।
১৬.৫ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৭৮/৭
নিজের তৃতীয় ওভারে আবার আঘাত হানলেন মাহমুদউল্লাহ। সহ-অধিনায়ক ফিরিয়ে দিলেন রভম্যান পাওয়েলকে।
অফ স্পিনারের শর্ট বল পুল করে উড়াতে চেয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। টাইমিং করতে পারেননি। সহজ ক্যাচ ডিপ মিডউইকেটে মুঠোয় জমান লিটন দাস।
১৬ বলে একটি করে ছক্কা-চারে ১৯ রান করেন পাওয়েল। ১৩.৪ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৫৯/৫।
শূন্য রানে হেটমায়ারকে ফেরালেন মাহমুদউল্লাহ
টানা দুই বলে উইকেট নিলেন মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ এই অফ স্পিনার গোল্ডেন ডাকের স্বাদ দিলেন শিমরন হেটমায়ারকে।
মাহমুদউল্লাহকে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ব্যাটে খেলতে পারেননি, বল আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দিলে রিভিউ নেন হেটমায়ার। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, বল লাগতো লেগ স্টাম্পে।
৯.৩ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১২২/৪।
লুইস ঝড় থামালেন মাহমুদউল্লাহ
কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না, থামানো যাচ্ছিল না এভিন লুইসকে। বিশেষজ্ঞ বোলাররা সব ব্যর্থ হওয়ার পর মাহমুদউল্লাহকে আক্রমণে আনেন সাকিব আল হাসান। সহ-অধিনায়ক থামালেন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে দ্রুত এগোনো লুইসকে।
অফ স্পিনারকে স্লগ করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। ব্যাটে খেলতে পারেননি। বল আঘাত হানে অফ স্টাম্পে। বোল্ড হয়ে ফিরে যান ৩৬ বলে ৮ ছক্কা ও ৬ চারে ৮৯ রান করা লুইস।
৪৩ বলে উইন্ডিজের একশ
এভিন লুইস ঝড়ে মাত্র ৪৩ বলে তিন অঙ্কে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ। ১৯ বলে এসেছিল সফরকারীদের পঞ্চাশ। পঞ্চাশ থেকে একশ রানে যেতে দুটি উইকেট হারালেও খুব একটা কমেনি সফরকারীদের রানের গতি।
৮ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১০৮/২। লুইস ৭৬ ও রভম্যান পাওয়েল ৪ রানে ব্যাট করছেন।
পলকে দ্রুত ফেরালেন মুস্তাফিজ
বোলিংয়ে এসে আঘাত হানলেন মুস্তাফিজুর রহমান। প্রমোশন পেয়ে তিনে নামা কিমো পলকে দ্রুত ফেরালেন বাঁহাতি এই পেসার।
শর্ট বল পুল করে ছক্কায় উড়াতে পেয়েছিলেন পল। ঠিক মতো টাইমিং করতে পারেননি তিনি। অনেক উপরে উঠে যাওয়া ক্যাচ মুঠোয় জমান আরিফুল হক। ৩ বলে ২ রান করে ফিরেন পল।
প্রথম আঘাত সাকিবের
আগের ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়া সাকিব আল হাসান বোলিংয়ে এসে পেলেন সাফল্য। শেই হোপকে ফিরিয়ে ভাঙলেন দ্রুত এগোনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুর জুটি।
বাঁহাতি স্পিনারের স্টাম্পের বল সুইপ করতে চেয়েছিলেন হোপ। একটু ঝুলিয়ে দেওয়া মন্থর বল আগেভাগেই খেলে বোল্ড হয়ে যান ছন্দে থাকা এই ডানহাতি ওপেনার।
১২ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২৩ রান করেন হোপ। তার বিদায়ের সময় ৫ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৭৬/১।
বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ফিফটি তুলে নিলেন এভিন লুইস। মাত্র ১৮ বলে বাংলাদেশের বিপক্ষে পেলেন নিজের প্রথম পঞ্চাশ। হাফ সেঞ্চুরি করার পথে পাঁচটি ছক্কা ও তিনটি চার হাঁকান বাঁহাতি এই ওপেনার।
জীবন পেলেন লুইস
হাতছাড়া হয়ে গেল বিপজ্জনক এভিন লুইসকে ফেরানোর সুযোগ। মিডউইকেটে বাঁহাতি ওপেনারের ক্যাচ ছাড়লেন আবু হায়দার।
অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের প্রথম ওভারের শেষ বল স্লগ সুইপ করে উড়াতে চেয়েছিলেন লুইস। টাইমিং করতে পারেননি, ক্যাচ যায় সোজা আবু হায়দারের কাছে। কিন্তু ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি তিনি। সে সময় ৪৮ রানে ব্যাট করছিলেন লুইস।
১৯ বলে উইন্ডিজের ফিফটি
এভিন লুইসের বলে উড়ন্ত সূচনা পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান পঞ্চাশে গেল মাত্র ১৯ বলে।
চতুর্থ ওভারে আক্রমণে আসা মেহেদী হাসান মিরাজকে লং অন দিয়ে চার হাঁকিয়ে স্বাগত জানান হোপ। ৩.১ ওভারে পঞ্চাশ স্পর্শ করে দল ও উদ্বোধনী জুটির রান।
আবু হায়দারের ওভারে লুইসের চার ছক্কা
বাঁহাতি পেসার আবু হায়দারের ওপর চড়াও হলেন এভিন লুইস। এক ওভারে হাঁকালেন চারটি ছক্কা। এর তিনটি লং অফ দিয়ে, অন্যটি বোলারের মাথার ওপর দিয়ে।
একের পর এক হাফ ভলি বল দিয়ে গেলেন আবু হায়দার। এর সুবিধা তুলে নিলেন লুইস। আগের দুই ম্যাচে তেমন কিছু করতে না পারা বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান পেয়ে গেলেন দারুণ শুরু।
আবু হায়দারের সেই ওভার থেকে এলো ২৭ রান। ৩ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৪৭/০। লুইস ৩৮ ও শেই হোপ ৬ রানে ব্যাট করছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে রাদারফোর্ডের অভিষেক
একটি পরিবর্বতন এনেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাদ পড়েছেন ড্যারেন ব্রাভো। অভিষেক হচ্ছে ২০ বছর বয়সী ব্যাটিং অলরাউন্ডার শেরফান রাদারফোর্ডের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: এভিন লুইস, শেই হোপ, শিমরন হেটমায়ার, শেরফান রাদারফোর্ড, নিকোলাস পুরান, রভম্যান পাওয়েল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, কিমো পল, শেলডন কটরেল, ওশান টমাস।
অপরিবর্তিত বাংলাদেশ একাদশ
টানা তিন ম্যাচ একই একাদশ নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। সিরিজে কোনো ম্যাচ খেলা হলো না রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন ও নাজমুল ইসলাম অপুর।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, আরিফুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, আবু হায়দার, মুস্তাফিজুর রহমান।
টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
সিরিজে প্রথমবারের মতো টস জিতলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ অধিনায়ক নিলেন বোলিং। এবার আর শিশিরের মধ্যে বোলিংয়ের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে না স্বাগতিক স্পিনারদের।
প্রথমবারের মতো সিরিজে ৩ সংস্করণে জেতার আশায় বাংলাদেশ
প্রথমবারের মতো কোনো দলকে সিরিজে তিন সংস্করণে হারানোর আশায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ। তাদের বিপক্ষে হারের চক্র ভাঙতে শতভাগের বেশি দিয়ে খেলার কথা জানিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার খেলা শুরু হবে বিকেল পাঁচটায়।
টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার পর ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ। চলতি বছরে নিজেদের সবশেষ ম্যাচ জিতলে ঘরে তুলবে টি-টোয়েন্টি সিরিজও। পাবে এক সিরিজে তিন সংস্করণে জয়ের অনিবর্চনীয় স্বাদ।
বাংলাদেশের কাছে টানা চারটা সিরিজে হারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ মরিয়া ঘুরে দাঁড়াতে। পেসার কিমো পল জানান, তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১১০ ভাগ দিয়ে খেলবেন তারা।