মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ম্যাচ শুরু হবে বিকাল পাঁচটায়। এর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সৌম্য জানান, সিরিজ বাঁচিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ নিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত তারা।
“প্রথম ম্যাচ হেরে পিছিয়ে আছি আমরা। চেষ্টা করব দৃঢ়ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও প্রথম ম্যাচ হেরেছিলাম। পরের দুই ম্যাচে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জিতেছিলাম। এখানে প্রথম ম্যাচে যে ভুলগুলো করেছিলাম, যেমন শুরুতে কিছু উইকেট হারিয়ে ফেলা, তা যদি পরের ম্যাচে না হয় তাহলে আমরা ভালো করবো।”
সিলেটে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩০ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ৫৫ বল বাকি থাকতে। সেই হারের ব্যবচ্ছেদ করলেন সৌম্য।
“ওরা এই সংস্করণে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আমরা চেষ্টা করছি ওদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলার। হয়তো বুদ্ধির কোনো ঘাটতি ছিল। আমরা শুরুতে চড়াও হতে চেয়েছিলাম। আমরা যদি বুদ্ধি খাটিয়ে খেলতাম, পেসারদের প্রথম কিছু ওভার সতর্ক থেকে সামলাতাম, তাহলে শেষের দিকে রান কাভার করে ফেলতে পারতাম।”
“শুরুতে উইকেট পড়ে যাওয়ায় মাঝখানে একটু মন্থর ব্যাটিং করতে হয়েছিল। পরের ম্যাচে শুরুতে পেসারদের একটু দেখেশুনে খেলতে হবে। একই সঙ্গে পাওয়ার প্লেটাও ভালোভাবে ব্যবহার করতে হবে। উইকেট যদি হাতে রাখতে পারি, তাহলে শেষ দিকেও ভালো করা যাবে।”
দলের ১২৯ রানের ৬১ রান এসেছিল সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে। তেমন কোনো সঙ্গী পাননি অধিনায়ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে ঝড় তুলেছিলেন শেই হোপ। এগিয়ে এসেছিলেন অন্য ব্যাটসম্যানরাও। সৌম্য মনে করেন, এই পর্যায়ে একজনের পক্ষে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়া খুব কঠিন।
“সাকিব ভাই একা টেনে নিয়ে গেছিলেন দলকে। তার সাথে যদি আমাদের আরেকজন রান করত তাহলে ১২৯ এর জায়গায় রান ১৬০ হয়ে যেত। তখন খেলার ধরন অন্য রকম হতে পারত। বোলারদের আত্মবিশ্বাসও বেশি থাকত।”
“হোপ ওদের হয়ে অনেক ভালো ব্যাট করেছে। পাওয়ার প্লেতে অনেক রান করেছে ওরা। আমরা যদি সেখানে ডট বলের সংখ্যা বেশি বাড়াতে পারতাম, তাহলে হয়তো খেলাটা আরেকটু দূর পর্যন্ত যেত।”