ওয়েলিংটন টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৫৯ রান। মেন্ডিস ১১৬ ও ম্যাথিউস ১১৭ রানে ব্যাট করছেন।
বেসিন রিজার্ভে মঙ্গলবার ৩ উইকেটে ২০ রান নিয়ে দিন শুরু করা শ্রীলঙ্কার সামনে ছিল ইনিংস পরাজয়ের চোখ রাঙানি। নিউ জিল্যান্ডকে আবার ব্যাটিংয়ে পাঠাতে প্রয়োজন ছিল আরও ২৭৬ রান। চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা আর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে মেন্ডিস-ম্যাথিউস এদিন যোগ করেছেন ২৩৯ রান। সফরকারীরা এখন পিছিয়ে আছে ৩৭ রানে।
দলের দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল অর্জুন রানাতুঙ্গা ও আসাঙ্কা গুরুসিনহার। ১৯৮৬ সালে কলম্বোয় পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে করেছিলেন ২৪০ রান। এই রেকর্ড নিজেদের করে নেওয়া মেন্ডিস-ম্যাথিউস অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে গড়েছেন ২৪৬ রানের জুটি। তাদের ব্যাটে ম্যাচ বাঁচাতে লড়ছে শ্রীলঙ্কা।
টেস্ট ক্রিকেটে এনিয়ে ২২ বার কোনো দল উইকেট না হারিয়ে কাটিয়ে দিল সম্পূর্ণ একটি দিন। শ্রীলঙ্কা কাটাল পঞ্চমবারের মতো।
সারা দিন মোটামুটি এক ছন্দে খেলে গেছেন মেন্ডিস। বাউন্সার তাকে খুব একটা ভোগাতে পারেনি। খেলতে যাননি উচ্চাভিলাষী কোনো শট। স্পিনার এজাজ প্যাটেলকে খেলার সময় সামলে রেখেছিলেন প্রিয় সুইপ শট।
অন্য দিকে সকালে বাউন্সার খুব ভুগিয়েছে ম্যাথিউসকে। হাতে, বুকে সয়েছেন টিম সাউদি, নিল ওয়েগনারের অনেক বাউন্সার। একের পর মারাত্মক বাউন্সারে দমে যাননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। শুরুর তোপ সামলে খেলেছেন লড়াকু এক ইনিংস।
তৃতীয় সেশনের শুরুতে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান মেন্ডিস। তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ছয় আঙুল তুলে জানান দেন, টেস্টে এটি তার ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের ২৮৭ বলের ইনিংসটি গড়া ১২টি চারে।
মেন্ডিসের সাদামাটা উদযাপনের বিপরীতে অর্থপূর্ণ ছিল ম্যাথিউসের উদযাপন। নবম সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান দেন দশটি পুশ আপ। ফিটনেস না থাকায় তাকে ওয়ানডে দল থেকে বাদ দেওয়ার জবাবটা যেন ম্যাথিউস দিলেন সেঞ্চুরির উদযাপনে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২৮২
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৫৭৮
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: (আগের দিন শেষে ২০/৩) ১০২ ওভারে ২৫৯/৩ (মেন্ডিস ১১৬*, ম্যাথিউস ১১৭*; সাউদি ২/৩৬, বোল্ট ১/৫০, ওয়েগনার ০/১০০, ডি গ্র্যান্ডহোম ০/২৪, প্যাটেল ০/৪৬, রাভাল ০/১)