পাওয়েলের তোপ, মাশরাফির জবাব

“এটি খুবই সত্যি, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ফাস্ট বোলিং খেলা পছন্দ করে না”, সংবাদ সম্মেলনে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলে গেলেন রভম্যান পাওয়েল। মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়কের সেই বাউন্সারে পরে যেন হুক করে বল মাঠের বাইরে ফেললেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ অধিনায়ক মনে করিয়ে দিলেন, ওদের সবচেয়ে গতিময় পেসার প্রথম দুই ওয়ানডেতে ছিলেন অনেক খরুচে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2018, 02:03 PM
Updated : 13 Dec 2018, 02:09 PM

প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ৫ উইকেটের সবকটি নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ৭ উইকেটের ৬টিই শিকার ক্যারিবিয়ান পেসারদের। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডের আগের দিন পাওয়েল ছুঁড়তে চাইলেন মোক্ষম গোলা। গতির সামনে নড়বড়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা, ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক কাজে লাগাতে চান সেই দুর্বলতা।

“ওদের নড়বড়ে জায়গা পেস বোলিং সামলানো। এটা খুবই সত্যি, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ফাস্ট বোলিং খেলতে পছন্দ করে না। আমরা অবশ্যই সেটি কাজে লাগাতে চাইব। আশা করি, আগামীকাল আমরা সেটি করতে পারব।”

পাওয়েলের পরে সংবাদ সম্মেলনে এসে মাশরাফি শুনলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের মন্তব্য। সেই গোলার সামনে ব্যাটসম্যানদের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বললেন, এরকম গতিতে ভড়কে যাওয়ার দিন পেছনে ফেলে এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট।

“ওদের পেস বোলিং কিন্তু দুই ম্যাচেই আমরা ভালো সামাল দিয়েছি। এটা ঠিক, শুরুতে একটি-দুটি উইকেট পড়েছে। কিন্তু খুব প্রভাব ফেলতে পারেনি। গত ম্যাচে তামিম ও মুশফিককে কিন্তু ওরা পেস বোলিংয়ে নিয়ে ভোগাতে পারেনি। রিয়াদকেও না। সাকিবও খুব আরামে খেলেছে, শটও খেলেছে। ইনিংসের শুরুতে হয়তো কিছু করেছে, এটা হতেই পারে। কিন্তু আমার মনে হয় না এমন কিছু করতে পেরেছে ওদের পেসাররা।”

“আগে একটা সময় ছিল, এই ব্যাপারগুলো অনেক প্রভাব ফেলত। এখন আর সেটি নেই। ওই পর্যায় আমরা পেরিয়ে এসেছি। হ্যাঁ, এক্সট্রিম গতির কথা যদি বলেন, পৃথিবীর সব ব্যাটসম্যানেরই সমস্যা হয়। কিন্তু ১৪০ বা ১৪২-১৪৩ কিলোমিটার গতি আমাদের ব্যাটসম্যানরা এখন সামলাতে পারে। ব্যাপারটা হলো, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। যদি আমরা ঠিকঠাক বাস্তবায়ন করতে পারি, কোনো সমস্যা হবে না। যেটুকু হয়েছে, গতির জন্য হয়েছে, এমন নয়।”

ক্যারিবিয়ানদের নতুন গতি তারকা ওশান টমাস প্রথম ম্যাচে শুরুতে বোল্ড করেছিলেন ইমরুল কায়েসকে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ইমরুলের উইকেটসহ নিয়েছেন ৩ উইকেট। কিন্তু সেটি তার গতির কাছে হার মেনে, এমনটি মনে করেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক।

“দুই ম্যাচেই কিন্তু ওর ইকোনোমি ছিল ছয়। রান করা নিয়ে কোনো ইস্যু নেই। সে যদি ওদের সেরা বোলার হয়, আমরা তো ছয় রান করে নিয়ে খুব স্বস্তিতে আছি। হ্যাঁ, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সে দু-একটি উইকেট নিয়ে গেছে। এটি কমাতে হবে। কিন্তু সে উইকেট নেওয়ার পরও আমরা ম্যাচে খুব ভালোভাবে ছিলাম।”

“আগের ম্যাচের কথা যদি বলেন, রিয়াদ ও সাকিব যখন উইকেটে, ৩ উইকেট হারিয়েই ৪১ ওভারে গিয়েছি আমরা। সেখান থেকে শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৬৪ হবে, সেটি আমরা ভাবিনি। হয়ে গেছে। কিন্তু সেটি গতির কারণে নয়। সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে না পারায় হয়েছে। টমাস ১৪৭ গতিতে বল করার পরও কিন্তু সাকিব ঠিকই এক ওভারে ১৬ নিয়েছে।”