ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শেষ ১০ ওভারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রশ্নটা উঠেছে নতুন করে। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ডেথ ওভারে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ক্রিজে ছিলেন থিতু দুই ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটিংয়ের অপেক্ষায় ছিলেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস।
এই চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বাংলাদেশ শেষ ১০ ওভারে যোগ করতে পারে মাত্র ৬৪ রান। মাশরাফি জানান, চার বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান নিয়েও এত কম রান ভাবাও ভীষণ কঠিন ছিল। দল আশা করছিল তিনশ রান, অন্তত ২৮০ পর্যন্ত নিশ্চিত ধরে নিয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশ থামে ২৫৫ রানে।
“আমরা আশা করিনি মিরাজ কিংবা আমার পর্যন্ত ব্যাটিং যাবে। যেহেতু দুইজন থিতু ব্যাটসম্যান ছিল, বাইরে আরও দুজন (সৌম্য আর লিটন) ছিল। ওরা অল্পতে আউট হয়ে যাওয়ায় ৪৬ ওভারে আমাদের যেতে হয়েছে।”
“ডেথে কিভাবে ব্যাটিং গভীরতা কাজে লাগানো যায় তার হিসাব করার ব্যাপার আছে। এমন পরিস্থিতিতে রিয়াদ ক্রিজে থাকলে আমাদের জন্য ভালো হতো। সাকিব যেভাবে খেলছিল ও যদি শেষ তিন ওভারের দুটি খেলে যেতে পারত আরও ২০ রান বেশি করতে পারত।”
শেষ ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান তুলতে পেরেছিলেন মিরাজ-মাশরাফি। অধিনায়ক জানান, শেষের ব্যাটিং আরেকটু ভালো হলে ২৭৫ পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব ছিল।
“ওদের পেসারদের সামলানোর মতো যথেষ্ট দক্ষতা নেই আমাদের লোয়ার অর্ডারের। সব কিছু মিলিয়ে কাজটা ছিল কঠিন। তবে অবশ্যই ওখানে আরও ২০ রান আসার সুযোগ ছিল।”
সেই ম্যাচে ডেথের বোলিংও ভোগায় বাংলাদেশকে। শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য সফরকারীদের দরকার ছিল ৩২ রান। ৪৮তম ওভারে রুবেল হোসেন দেন ১০ রান। পরের ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান দেন ১৬ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ জিতে ২ বল বাকি থাকতে।
মাশরাফি জানান, গতি আর বৈচিত্র্যের জন্য শেষ ওভারগুলোতে রুবেল আর মুস্তাফিজের ওপর অনেকটাই নির্ভর করেন তিনি।
“ডেথে কাকে দিয়ে বোলিং করানো হবে তার অনেকটাই নির্ভর করে বৈচিত্র্য আর গতির ওপর। একটা পরিকল্পনা থাকে শেষ ১০ ওভারে আমরা চারজন বোলার বল করবো। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমি ৪৫/৪৬ ওভার পর্যন্ত বল করেছি। সাকিব ৪৯ ওভারে বোলিং করেছে।”
“শেষ ১০ ওভারে কারা বল করবে তা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। রুবেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর আর এশিয়া কাপে অন্যতম সেরা বোলার ছিল। ডেথ ওভারে সেরা বোলারদের রাখাটা দরকার। বিশেষ করে যার পেস আছে বা বৈচিত্র্য আছে। এদিক থেকে চিন্তা করে সব সময় ওদের (মুস্তাফিজ-রুবেল) কথাই পরিকল্পনায় থাকে।”