সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভিষেক ওয়ানডে শুরু হবে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায়। এই মাঠে গত ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হেরেছিল বাংলাদেশ। গত নভেম্বরে টেস্টে হারে জিম্বাবুয়ের কাছে। এবার ভিন্ন অভিজ্ঞতার জন্য সতীর্থদের কাছ থেকে সেরাটা চাইলেন মাশরাফি।
“জয় দিয়ে বছর শেষ করতে পারলে ভালো হবে। প্রথম ম্যাচের পর বলেছিলাম যে এ বছর আমাদের জয়ের হার বেশ ভালো। পাশাপাশি খুব বড় একটা টুর্নামেন্ট (এশিয়া কাপ) জেতার সুযোগ ছিল। বছরের শুরুতেও একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ হেরেছি। এছাড়া সব মিলিয়ে আমার মনে হয়, ওয়ানডে ফরম্যাট বেশ ভালো কেটেছে।”
“অবশ্যই এ ম্যাচ জিততে পারলে পরবর্তী সিরিজের আত্মবিশ্বাস ভালো থাকবে। টি- টোয়েন্টি সিরিজে অনেক সাহায্য করবে। খেলাধুলায় যেটা হয়, আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় আপনি বিজয়ী না বিজিত দলে আছেন তার ওপর।”
সিলেটে টি-টোয়েন্টি ও টেস্টের হার একদমই ভাবাচ্ছে না মাশরাফিকে। ইতিবাচক থেকে মাঠে নেমে সিরিজ জেতার দিকে তার সব মনোযোগ।
“পেছনেরটা মনে করে কোনো লাভ নেই। কালকে আমাদের নতুন ম্যাচ, নতুন সম্ভাবনা। খুব ব্যাকফুটে আছি তাও না। সমতায় আছে, সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। এমন না যে, আমাদের সব কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। ইতিবাচক খেলতে হবে। এই মাঠে আগে কি হয়েছে সেটা ভেবে মাঠে নামলে আরও খারাপ হবে।”
গত বিপিএলে সিলেটে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন মাশরাফি। অধিনায়ক মনে করেন, টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডের উইকেট এক হবে না। তার ধারণা উইকেটে সহায়তা থাকবে ব্যাটসম্যানদের জন্য।
“উইকেট এখনো দেখা হয়নি। তবে সবাই বলল, মিরপুরের মতো একইরকম উইকেট হবে। ব্যাটিং সহায়ক হবে। টেস্ট ম্যাচে যা দেখেছি তা বাদ দিলে তো সাধারণত উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হয়।”
বাংলাদেশের অন্য উইকেটের সঙ্গে সিলেটের উইকেটের কোনো পার্থক্য দেখেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল।
“উইকেট দেখে টিপিক্যাল বাংলাদেশি উইকেট মনে হয়েছে। নিচু আর মন্থর হবে। আশা করি, আমরা এর সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয় এনে দিতে পারব।”