অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাডিলেইড টেস্টের শেষ দিনে মিচেল স্টার্কের ক্যাচ নিয়ে ভারতীয় কিপার নাম লিখিয়েছেন এই রেকর্ডে। ম্যাচে যেটি ছিল ২১ বছর বয়সী কিপারের একাদশ ডিসমিসাল। সবগুলিই ছিল ক্যাচ।
পান্ত স্পর্শ করেছেন জ্যাক রাসেল ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের রেকর্ড। ১৯৯৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জোহানেসবার্গ টেস্টে ১১টি ডিসমিসাল ছিল ইংলিশ কিপার রাসেলের। ২০১৩ সালে একই মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ডি ভিলিয়ার্স বসেন রাসেলের পাশে। এই দুজনেরও ডিসমিসালে কোনো স্টাম্পিং ছিল না, ১১টিই ছিল ক্যাচ।
অ্যাডিলেইড টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬টি ক্যাচ নিয়েছিলেন পান্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫টি। এর মধ্যে আবার নাথান লায়নের ক্যাচও ছেড়েছেন। নইলে হয়তো রেকর্ডটি করে নিতে পারতেন একার। শেষ দিনে একাদশ ডিসমিসাল যখন হলো, তখনও অস্ট্রেলিয়ার উইকেট বাকি দুটি। কিন্তু সেই দুটি উইকেটে কোনো ডিসমিসাল হয়নি পান্তের।
ভারতীয় কিপারদের মধ্যে এর আগে ম্যাচে ১০ ডিসমিসালের রেকর্ড ছিল ঋদ্ধিমান সাহার। গত জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপ টাউন টেস্টে ঋদ্ধিমান গড়েছিলেন এই রেকর্ড।
১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডের বব টেইলর ও ২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্টও করেছিলেন ম্যাচে ১০ ডিসমিসাল।
বাংলাদেশের হয়ে এক টেস্টে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসালের রেকর্ড এখনও খালেদ মাসুদের। ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টে ক্যাচ নিয়েছিলেন ৫টি, স্টাম্পিং করেছিলেন দুটি।