বাংলাদেশের রান তাড়ার সেটি ছিল সপ্তম ওভার। স্কোরবোর্ডে রান তখনও রান মোটে ২২। রোচের বল ফ্লিক করেছিলেন লিটন, বল যায় ডিপ স্কয়ার লেগে সোজা ফিল্ডার শিমরন হেটমায়ারের হাতে। ক্যারিবিয়ানরা মেতে ওঠেন উল্লাসে, লিটন হাঁটা ধরেন হতাশ হয়ে। কিন্তু মাঝপথে লিটনকে থামান আম্পায়ারা। টিভি রিপ্লেতে অনেকবার দেখার পর তৃতীয় আম্পায়ার আলিম দার জানান, বলটি ছিল নো। রক্ষা পেয়ে লিটন করেন ৪১ রান। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ছিল মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি। তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসকে দ্রুত হারানোর ধাক্কা বাংলাদেশ সামাল দেয় ওই জুটিতে।
ম্যাচ শেষে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার চেইস বললেন, লিটনের উইকেট না পাওয়া ভুগিয়েছে তাদেরকে।
“মাঝ বিরতিতে আমরা আলোচনা করেছিলাম যে যদি ভালো একটা শুরু পাই এবং শুরুতে কিছু উইকেট নিতে পারি, আমরা খুব ভালোভাবে ম্যাচে থাকব। শুরুটা খারাপ ছিল না আমাদের। কিন্তু নো বলের কারণে লিটনের বেঁচে যাওয়া ভুগিয়েছে আমাদের। সে চল্লিশের মতো রান করেছে, ওই সময় ওই রান খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
অবশ্য চেইসের মতে, ম্যাচের প্রথম ভাগেই হারের আয়োজন করে ফেলেছিল দল। দায় দিলেন তিনি ব্যাটিং ব্যর্থতাকে।
“ম্যাচের আগে উইকেট দেখে আমরা বুঝেছিলাম, এটি ২৩০-২৪০ রানের উইকেট। আমরা সেই রানের কাছে যেতে পারিনি, সেটির মূল্য দিতে হয়েছে। উইকেটে একটু দ্রুত মানিয়ে নিতে হতো আমাদের। মাঝের ওভারগুলোতে আরেকটু অভিপ্রায় দেখাতে হতো। উইকেটে বল একটু থেমে আসছিল। আমাদের ব্যাটসম্যানরা উইকেট পড়তে একটু বেশি সময় নিয়েছে।”