বিতর্কের রেশ নিয়ে ড্র হয়েছে বিসিএলে মধ্যাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের লড়াই। বগুড়ায় নির্ধারিত সময় বিকেল ৫টার পর আরও ৮ মিনিট খেলা চালিয়েছিলেন আম্পায়াররা। কিন্তু আলো অপ্রতুল মনে করে তারা যখন বেলস তুললেন, পূর্বাঞ্চলের জয় তখন একটি শটেও সম্ভব। শেষ ইনিংসে ৩২৬ রান তাড়ায় তাদের রান ছিল ৭ উইকেটে ৩২০।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে তখনই ক্ষোভ জানিয়েছে পূর্বাঞ্চলের ক্রিকেটার ও অফিসিয়ালরা। সেটির রেশ ছিল পরেও। দিন শেষে সময় নষ্ট করা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছে দুই দল।
মাহমুদুল হাসানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সৌজন্যে একসময় জয়ের পথেই ছিল পূর্বাঞ্চল। চা বিরতির সময় রান ছিল তাদের ৩ উইকেটে ২৪০। বিরতির পর রানের গতি বাড়ায় তারা। কিন্তু এক পর্যায়ে দ্রুত তিনটি উইকেট হারালে ম্যাচ বাঁচাতে নানান ছুতোয় সময় নষ্ট করেছে পূর্বাঞ্চলের ব্যাটসম্যানরা।
পরে লোয়ার অর্ডারে এনামুল হক জুনিয়র ও আবু জায়েদ চৌধুরীর ব্যাটে দ্রুত রান তুলে যখন জয়ের কাছে পূর্বাঞ্চল, মাঠে সময় নানাভাবে নষ্ট করেছে মধ্যাঞ্চলের ফিল্ডাররা। চা বিরতির সময় থেকে খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত এক সেশনে ২০ ওভারও বোলিং করেনি মধ্যাঞ্চল। পূর্বাঞ্চল অধিনায়ক ফরহাদ রেজা ক্ষোভ জানালেন সেটি নিয়েই।
“স্কোরকার্ড দেখলেই অবস্থা বুঝতে পারবেন। চা বিরতির পর ওরা ২০ ওভারও বোলিং করেনি। হ্যাঁ, একটা পর্যায়ে আমরাও হয়তো কিছুটা সময় নিয়েছি। তবে ব্যাটসম্যানরা কতটা সময় নষ্ট করতে পারে? ২-৩ মিনিট বড়জোর। ওরা তো অনেক দেরি করেছে। জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল।”
মধ্যাঞ্চলের অধিনায়ক শুভাগত হোমকে পাওয়া যায়নি তার প্রতিক্রিয়ার জন্য। তবে সিনিয়র ক্রিকেটার মার্শাল আইয়ুব মনে করেন, ম্যাচ শেষ হওয়া উচিত ছিল অনেক আগেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১১৮
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৮৬
মধ্যাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংস: ৩৯৩
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৯৭.২ ওভারে ৩২০/৭ (আগের দিন ৭১/২)(মাহমুদুল ১৩৫, আশরাফুল ৬৪, তাসামুল ৩৬, অঙ্কন ২৩, ফরহাদ রেজা ২, এনামুল জুনিয়র ১৬*, আবু জায়েদ ১৪*; সাকিল ১/৭০, শহিদুল ৩/৭৩, শাহাদাত ১/৭৬, তাইবুর ১/৪৪, শরিফউল্লাহ ০/৩৩, শুভাগত ০/২৩)।
ফল: ম্যাচ ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ: মাহমুদুল হাসান