তিন পেসারেই মাশরাফির আস্থা

টেস্ট ম্যাচের সঙ্গে ওয়ানডে ক্রিকেট মেলানোর কোনো সুযোগ দেখেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা। দুই সংস্করণের বোলিং লাইনআপ একই ধরনের করারও কোনো যৌক্তিকতা দেখেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। ওয়ানডে সিরিজে প্রতি ম্যাচে অন্তত তিন পেসার খেলাতে চান তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2018, 03:13 PM
Updated : 8 Dec 2018, 03:13 PM

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্টেই চার স্পিনার খেলায় বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে একমাত্র পেসার ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। দ্বিতীয় টেস্টে তার জায়গায় বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান খেলায় স্বাগতিকরা। মাশরাফি জানান, ওয়ানডেতে তিন পেসার খেলানোর ধারা ধরে রাখতে চান তিনি।

“আপনি যদি ২০১৫ থেকে দেখেন, আমরা একটা ছন্দে খেলছি। ওয়ানডেতে সব সময় তিনজন পেসার নিয়ে খেলছি। এমনকি কখনো চারজন খেলানো হচ্ছে। তাই টেস্টের ওপর ভিত্তি করে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। আমি এখনও তিনজন পেস বোলার খেলাব। খেলাতে চাই এটা নিশ্চিত।”

কেন তিন পেসার খেলিয়ে যেতে চান অধিনায়ক দিলেন তার ব্যাখ্যা।

“ফল আপনার পক্ষে আসছে কিনা সেটা একটা ব্যাপার। তিনজন ফাস্ট বোলার নিয়ে এমনকি ফ্ল্যাট উইকেটেও আমরা খেলেছি। ৪০ ওভার পর্যন্ত চারজনের বেশি ফিল্ডার সীমানায় রাখতে না পারায় স্পিনারদের একটু অসুবিধা হয়ে যায়। তখন স্পিনে মারা খুব সহজ। পেসার থাকলে আপনি যেকোনো এক জায়গা ব্লক করে বোলিং করতে পারেন।”

“খুব অসাধারণ বোলিং না করলে স্পিনারদের জন্য কাজটা অনেক কঠিন। এটা টেস্ট ক্রিকেট না, টেস্টের পরিস্থিতি ওয়ানডেতে হয় না। ওয়ানডেতে ব্যাটসম্যান শটস খেলবে, রান করতে চাইবে। সাকিব বা মিরাজ ভালো করছে না তা নয়, ওরা ভালো করছে। তবে ফ্ল্যাট উইকেটেও আমাদের পেসারদের সাফল্যের হার বেশি। কাজেই সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।”

জিম্বাবুয়েকে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করা বাংলাদেশের আক্ষেপ ছিল প্রতিপক্ষকে একবারও অলআউট করতে না পারা। অবশ্য লক্ষ্যটা কম রাখতে পারলে অলআউট করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ নয় অধিনায়কের কাছে।

“হ্যাঁ, ওদের কোনো ম্যাচে আমরা অলআউট করতে পারিনি। তবে ম্যাচ জেতার জন্য যা করা দরকার ছিল সেটা করতে পেরেছিলাম। আমরা সেখানে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলাম। অবশ্যই অলআউট করতে পারাটা হবে আদর্শ।”

পরীক্ষা-নিরীক্ষার সূত্র ধরে এলো রুবেল হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের প্রসঙ্গ। দুইজনকেই ম্যাচ খেলানোর পথ খুঁজছেন মাশরাফি।

“রুবেল এশিয়া কাপে আমাদের সেরা বোলার ছিল, অসুস্থতা থেকে সেরে উঠার পরপরই ওকে খেলাইনি। আমি মনে করি, রুবেল অসাধারণ বোলার। সবার চেয়ে অসাধারণ। ও যেন নিজের সেরা জায়গা থেকে পিছিয়ে না যায় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।”

“রুবেলের অনুপস্থিতিতে সাইফ সুযোগ খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে। ও তো মাত্র শুরু করেছে সুতরাং ওকেও সুযোগ দিতে হবে।”