ওপেনিংয়ে জায়গা নিয়ে লড়াইটা মূলত ত্রিমুখী। চোট কাটিয়ে ফেরা তামিমের সঙ্গী হওয়ার দৌড়ে আছেন ইমরুল কায়েস, লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। সবশেষ সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন ইমরুল, একটিতে নব্বই। একই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে লিটন করেছিলেন ৮৩ রান। তার এক ম্যাচ আগেই এশিয়া কাপের ফাইনালে করেছিলেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি।
জিম্বাবুয়ে সিরিজের শেষ ম্যাচে দলে ফিরে সৌম্য করেছিলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে করেছেন অপরাজিত সেঞ্চুরি। এই দুই ম্যাচে তিনে খেললেও সৌম্য মূলত ওপেনার।
সৌম্যকে তিনে খেলানো একটি সমাধান হতে পারে। তবে চোটের কারণে জিম্বাবুয়ে সিরিজে না খেলা সাকিব আল হাসান ফিরেছেন এই সিরিজে। এই বছর তিনে নেমে তার পারফরম্যান্স দারুণ। সাফল্য পাওয়া পজিশন থেকে তাকে সরানো হবে কিনা, সেটিও বড় এক প্রশ্ন।
শেষ পর্যন্ত সৌম্যকে তিনে খেলিয়ে, সাকিবকে তার পুরোনো পজিশন পাঁচে নামানো হতে পারে। কিংবা লড়াইয়ে থাকা তিন ওপেনারের কাউকে মিডল অর্ডারে খেলানোর কথাও ভাবা হতে পারে। এশিয়া কাপের মাঝপথে উড়ে গিয়ে ছয় নম্বরে নেমে দারুণ এক ইনিংস খেলেছিলেন ইমরুল। ফাইনালে সৌম্য খেলেছিলেন সাতে।
“অনেক কিছুই হতে পারে, কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না। আলোচনা হচ্ছে। সাম্প্রতিক অতীতে কয়েকজন ওপেনার নিচে ব্যাটিং করেছে। ইমরুল ছয়ে ব্যাটিং করেছে। অসাধারণ একটা ইনিংস খেলেছে। সৌম্য ফাইনালে সাত নম্বরে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছে। এরকম কিছুও হতে পারে। বিশ্বকাপের কথা ভেবে আমরা এমন কিছু করতেও পারি।”
শেষ পর্যন্ত যদি কাউকে পজিশনের জন্য আপোস করতে হয় কিংবা বাদ পড়তে হয় কোনো একজনকে, তিনি যেন বাস্তবতা বুঝতে পারেন, সেই বার্তাও দিয়ে রাখলেন অধিনায়ক।
“যে বাদ পড়ছে, তার সঙ্গে আলাদা করে বসার কিছু নেই। এখানে কম্বিনেশনের ব্যাপার থাকে। শেষ তিনটি ম্যাচে ওপেনিংয়ে ইমরুলের দুটি সেঞ্চুরি, একটি বড় হাফ সেঞ্চুরি আছে। এখন কথার কথা, যদি ইমরুলকে বসিয়ে দেওয়া হয় এবং লিটন খেলে, সেক্ষেত্রে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনটা জরুরি কতটুকু, সেটি বুঝতে হবে ইমরুলকে। আবার ইমরুল খেললে লিটনকেও বুঝতে হবে যে ইমরুল ফর্মে আছে। তো এই ব্যাপারগুলো আছে। কেউ বাদ পড়া মানে এই না যে তাকে খাটো করা হচ্ছে বা সে দলে জরুরি নয়।”