বিসিবি একাদশের হয়ে বৃহস্পতিবার প্রস্তুতি ম্যাচে ৮ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন মাশরাফি। স্বাগতিক বোলারদের মধ্যে অধিনায়কই কেবল ওভার প্রতি রান দিয়েছেন পাঁচের নিচে।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠের উইকেটে বোলারদের কোনো সহায়তা ছিল না। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দিনের শুরুতে ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রেখেছিলেন মাশরাফি।
অভিজ্ঞ এই পেসারের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুতে রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয় শেই হোপ ও কাইরন পাওয়েলকে। বাংলাদেশ অধিনায়কের প্রথম তিন ওভার থেকে তারা নিতে পারেন কেবল ছয় রান। তৃতীয় ওভার থেকে তিনটি চারে ১৪ রান তুলে নেন দুই ওপেনার।
মাশরাফি প্রথম চার ওভারে দেন ২০ রান। ৩১তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে দ্বিতীয় বলেই পান উইকেট। মাশরাফিকে উড়ানোর চেষ্টায় মিডউইকেটে মেহেদী হাসান রানার হাতে ধরা পড়েন মারলন স্যামুয়েলস। ওভারটি মেডেন নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
পরের তিন ওভারে আর উইকেট পাননি মাশরাফি। তবে রানও খুব একটা দেননি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে ভালো বোলিং করলেও মোটে একটি উইকেট পেয়েছিলেন মাশরাফি। দুটি ছোট চোট বেশ ভোগাচ্ছিল অভিজ্ঞ এই পেসারকে। চোট থেকে সেরে উঠে গত শনিবার অনুশীলন শুরু করেন তিনি।
মাশরাফির বোলিংয়ে ছিল না কোনো ধরনের অস্বস্তি। বোলিং করেছেন পূর্ণ গতিতে। ব্যাটসম্যানদের জন্য সহায়ক উইকেটেও কাটারে পরীক্ষায় ফেলেছেন ব্যাটসম্যানদের। প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ বোলিংয়ে অধিনায়ক জানান দিলেন, রোববার থেকে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজের জন্য তিনি সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
প্রস্তুতি ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩৩১ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।