আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে নিউ জিল্যান্ডে তিনটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। অধীর আগ্রহে এই সিরিজের জন্য অপেক্ষায় ওয়ালশ।
“আশা করি, নিউ জিল্যান্ডে পেসাররা ভালো সুযোগ পাবে। আমরা সেখানে হয়তো ভিন্ন ধরনের উইকেট পাব। ছেলেরা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চাইবে।”
“আমরা এখন পর্যন্ত দেশের বাইরে এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। আমার জন্য এটা বড় একটা উদ্বেগের ব্যাপার। এখন পর্যন্ত কেউ দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে পারেনি।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ খেলায় মাত্র একজন বিশেষজ্ঞ পেসারকে। চট্টগ্রাম টেস্টে মুস্তাফিজুর রহমান খেললেও করেন মাত্র চার ওভার। ঢাকা টেস্টে কোনো পেসারই দলে ছিলেন না। এ নিয়ে কোনো আপত্তি নেই ওয়ালশের। দেশে স্পিনাররা যে দায়িত্ব পালন করে দেশের বাইরে সেই ভূমিকায় পেসারদের দেখতে চান এই কোচ।
“যখন বাংলাদেশে খেলি তখন হয়তো আমরা (পেসাররা) খেলি না, আমাদের তেমন কোনো ভূমিকা থাকে না। কিন্তু যখন দেশের বাইরে খেলি তখন প্রথম নামটা তো আমার হওয়া উচিত।”
“আমাদের কয়েকজনের চোট সমস্যা ছিল কিন্তু আমার মনে হয়, আমরা বাইরে যথেষ্ট টেস্ট খেলেছি যেখানে বোলারদের তৈরি থাকা উচিত ছিল। উইকেটের ক্ষুধাটা থাকা প্রয়োজন ছিল।”
নিউ জিল্যান্ডে সাফল্য পেতে কি করতে হবে জানা আছে ওয়ালশের। নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী সেই সফরের জন্য তৈরি করতে চান শিষ্যদের।
“সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল ধারাবাহিকতা। ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলতে আমাদের ধারাবাহিকভাবে সঠিক জায়গায় বলে করে যেতে হবে। আমরা ব্যাপারটি নিয়ে যতটা ভালোভাবে পারি কাজ করবো। আমরা জানি না নিউ জিল্যান্ডে ঠিক কি পাব তবে সম্ভবত পেস-সহায়ক উইকেটই থাকবে। আমাদের একটা চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। ছেলেদের নিজেদের ওপর আরেকটু বেশি আস্থা রাখতে হবে।”