স্পিন রাজত্বে আপত্তি নেই ওয়ালশের

দেশের মাটিতে স্পিন দিয়ে ম্যাচ জয়ের যে কৌশলের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ, সেটিই যেন নতুন উচ্চতা ছুঁয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে। আগের সিরিজগুলোয় তবু কিছু করার ছিল পেসারদের, এই সিরিজে তারা প্রায় ‘বেকার’। কোর্টনি ওয়ালশেরও তাই করার ছিল না তেমন কিছু। তাতে অবশ্য আপত্তি নেই বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের। দলের জয়টাই তার কাছে আগে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Dec 2018, 12:56 PM
Updated : 3 Dec 2018, 01:23 PM

দুই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪০ উইকেটের সবকটি নিয়েছে বাংলাদেশের স্পিনাররা। প্রথম টেস্টে তবু মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন একাদশে। দ্বিতীয় টেস্টে ছিলেন না একজন পেসারও। এমনকি পার্ট টাইম পেসার সৌম্য সরকারকেও হাত ঘোরাতে হয়নি। প্রতিদিন লাঞ্চ বা চা বিরতিতে মুস্তাফিজ, খালেদদের বোলিং অনুশীলন করানো ছাড়া টেস্ট জুড়ে ওয়ালশ ছিলেন কেবল দর্শক।

বাংলাদেশের বাস্তবতা অনুধাবন করছেন বলেই এতে সমস্যার কিছু দেখছেন না ক্যারিবিয়ান পেস কিংবদন্তি। উদাহরণ দিলেন নিজেদের স্বর্ণ যুগের কথা মনে করিয়ে দিয়ে।

“আমাদের লক্ষ্য তো টেস্ট জয়। যে ধরনের উইকেটে আমরা খেলছি, সেই উইকেটে ম্যাচ জয়ের মতো কম্বিনেশনই বেছে নিতে হবে আমাদের। আমি এতে সবসময়ই খুশি। একসময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন রাজত্ব করত, চার ফাস্ট বোলার খেলাতো তারা। এখন বাংলাদেশ চার স্পিনার নিয়ে দাপট দেখাচ্ছে। এটাই ধারা।”

“উইকেট তো পেস বোলিং বান্ধব ছিল না একটুও। আমাদের মনে হয়েছে, এখানে স্পিনারদের ভূমিকাই বড় থাকবে এবং শেষ পর্যন্ত সেটিই সত্যি প্রমাণিত হয়েছে।”

পেস বোলারদের অবজ্ঞা বা অবহেলা করা হচ্ছে, এরকম ভাবনার সঙ্গে একমত নন পেস বোলিং কোচ।

“ট্যাকটিক্যালি আমরা চেয়েছিলাম, ম্যাচ ও সিরিজ জিততে বেশি স্পিনার খেলাতে। সেটি অর্জিত হয়েছে। মূল লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। ছেলেরা ভালো খেলেছে। জয়টা এমনিতে খুব সহজ মনে হতে পারে। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দুটি দিন ছিল দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ দারুণ খেলেই জিতেছে।”

খেলার সুযোগ না পাওয়ায় পেসারদের হতাশ হওয়ার কারণ আছে, সেটি মানছেন ওয়ালশ। তবে আশার ছবিও দেখালেন কোচ।

“খেলতে না পেরে ওরা হতাশ হতে পারে। তবে এটাই দুনিয়ার শেষ নয় বা পথের শেষ নয়। একটা টেস্ট সিরিজ জিতেছি আমরা, দলের জন্য সবকিছু খুব ভালো গিয়েছে। মানসিকভাবে পেসারদের এখন শক্ত থাকবে হবে, অনুশীলনে আরও মনোযোগী হতে হবে।”

“সামনেই ওয়ানডে আসছে, এরপর নিউ জিল্যান্ড সফর। কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হবে এবং বলতে হবে, ‘ওকে, আমাকে টেস্ট ম্যাচে নেওয়া হয়নি, কিন্তু আমি এটা নিশ্চিত করব যেন এর পুনরাবৃত্তি না হয়। পেস বান্ধব উইকেট হলে যেন দলে প্রথম নামটি আমারই থাকে।”