ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দলে থাকা চার স্পিনারের দুইজন বাঁহাতি স্পিনার, দুইজন অফ স্পিনার। সেই ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে চার স্পিনার দলকে জয় এনে নেওয়ার পরও বোলিংয়ে আরও বৈচিত্র্যের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন সাকিব।
“বৈচিত্র্য যত বেশি থাকে তত ভালো। স্বাভাবিকভাবে এখানে যদি এক জন লেগ স্পিনার থাকে তাহলে বৈচিত্র্য বেশি হয়। আমরা মনে করি, এই একটা জায়গাতে প্রয়োজনীয়তাটা অনেক বেশি।”
দেশের মাটিতে গত কয়েক বছর ধরে স্পিন সহায়ক উইকেটে খেলছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মনে করেন, একজন লেগ স্পিনার থাকলে আরও ভালো উইকেটে খেলা সম্ভব হত।
“লেগ স্পিনার থাকলে আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা একটু সহজ হত। কারণ, তখন আমরা আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করা উইকেটে খেলতে পারতাম। ব্যাটসম্যানদের জন্য সহায়ক উইকেটে খেলতে পারতাম। কারণ, উইকেট নিতে লেগ স্পিনারদের পিচ থেকে খুব বেশি সহায়তার প্রয়োজন হয় না।”
“তখন আমরা হয়তো আরও ভালোভাবে পরিকল্পনা করতে পারতাম। এখন যেটা হচ্ছে, বোলার ফ্রেন্ডলি উইকেট তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে স্পিনারদের জন্য অনেক বেশি সহায়তা থাকছে।”
লেগ স্পিনারের একটু খরুচে বোলিংয়ে আপত্তি নেই সাকিবের। অধিনায়ক মনে করেন, একবার ছন্দ পেয়ে গেলে একজন রিস্ট স্পিনার একাই পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন।
“আমরা সবাই জানি, রিস্ট স্পিনাররা রান একটু বেশি দিতে পারে, কিন্তু তারা একটা অ্যাটাকিং অপশন। উইকেট যদি ভালো হয়, ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি হয় তাহলে ফিঙ্গার স্পিনাররা অত বেশি কার্যকর হয় না। তখন লেগ স্পিনাররা বেশি কার্যকর হয়। লেগ স্পিনার থাকলে অপশন অনেক বেশি থাকবে, এখন যেটা নেই।”
বিশেষজ্ঞ লেগ স্পিনার হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট খেলেছেন একমাত্র জুবায়ের হোসেন। ছয় টেস্টের শেষটি তিনি খেলেছিলেন ২০১৫ সালের জুলাইয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঢাকায়।