চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের চার স্পিনারের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং। দুই ইনিংসে গুটিয়ে গেছে তারা ২৪৬ ও ১৩৯ রানে। ২০টি উইকেটই নিয়েছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা।
শুক্রবার থেকে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু মিরপুরে, যেখানে বল টার্ন করতে পারে আরও বেশি। সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে উইকেট মোটামুটি ব্যাটিং সহায়ক ছিল। তবে তার আগে গত দুই বছরে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনটি টেস্টেই উইকেট ছিল স্পিন স্বর্গ। ক্যারিবিয়ানদের জন্যও উইকেট একই রকম থাকার কথা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলও সেটা জানে। বুধবার দলের অনুশীলনে স্পিনার জোমেল ওয়ারিক্যান জানালেন, তারা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
“অবশ্যই মিরপুরের উইকেট আবার টার্ন করবে। সামলানোর পথ বের করতে হবে আমাদের। ইতিবাচক থাকতে হবে। আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে, ব্যাটিংয়ের সময় তা বাস্তবায়ন করে দেখাতে হবে।”
“ব্যাপারটা হলো বিশ্বাসের। দল হিসেবে নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা আছে আমাদের ও ম্যাচটি জিততে নিজেদের ওপর ভরসা আছে। এই ম্যাচ জিততেই হবে। আমরা গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আরও শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচটি জিততে চেষ্টা করব আমরা।”
ঘরের মাঠে নিজেদের কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে যে ধরনের উইকেট তৈরি করছে বাংলাদেশ, সেই কৌশলে আপত্তির কিছু দেখছেন না এই ক্যারিবিয়ান বাঁহাতি স্পিনার।
“সব জায়গায়ই কন্ডিশন আলাদা। ক্যারিবিয়ানের উইকেটে পেস ও বাউন্স থাকে, বাংলাদেশে এই ধরনের। ভিন্ন কন্ডিশনে গেলে দল হিসেবে প্রস্তুত থাকবে হবে, তাহলেই কেবল সাফল্য মিলবে। বাংলাদেশের উইকেট তো টার্ন করবেই, সেটির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে আমাদের। আবার বাংলাদেশ যখন ক্যারিবিয়ানে যাবে, বাউন্সি উইকেট পাবে। সব দলই নিজেদের কন্ডিশনের সুবিধা নেয়।”