শেষ টেস্টে ৪২ রানের জয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। সেই ১৯৬৩ সালের পর দেশের বাইরে প্রতিপক্ষকে ৩-০তে হোয়াইটওয়াশ করল ইংলিশরা। শ্রীলঙ্কায় প্রথমবার তো বটেই, এশিয়াতেই দুই ম্যাচের বেশি সিরিজে প্রথমবার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পেল তারা।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শেষ ইনিংসে ৩২৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সোমবার ২৮৪ রানে গুটিয়ে গেছে লঙ্কানরা।
দুই দল মিলিয়ে এই সিরিজে স্পিনাররা নিয়েছে ১০০ উইকেট। তিন ম্যাচ সিরিজে যা স্পিনে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি। এর আগে ১৯৯৮ সালে শ্রীলঙ্কা-নিউ জিল্যান্ড সিরিজে স্পিনাররা নিয়েছিল সর্বোচ্চ ৭৯ উইকেট।
৪ উইকেটে ৫৩ রান নিয়ে শুরু করা লঙ্কানরা নাইটওয়াচম্যান লাকশান সান্দাক্যানকে হারিয়েছিল দ্রুতই। ষষ্ঠ উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন কুসল মেন্ডিস ও রোশেন সিলভা।
সিরিজে প্রথম ফিফটিকে সেঞ্চুরির পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন মেন্ডিস। আগের টেস্টে দারুণ খেলা রোশেন আবারও গড়েছিলেন প্রতিরোধ। ইংল্যান্ডের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো এই জুটি ভাঙে রান আউটে। স্কয়ার লেগ থেকে লিচের অসাধারণ থ্রো গুলির বেগে সরাসরি লাগে নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্পে। ৮৬ রানে রান আউট হন মেন্ডিস।
এরপর নিরোশান ডিকভেলা, দিলরুয়ান পেরেরা টিকতে পারেননি লম্বা সময়। ৬৫ রানে রোশেনকে থামান মইন। শ্রীলঙ্কার রান তখন ৯ উইকেটে ২২৬। শেষ উইকেট নিয়ে উদযাপনের অপেক্ষায় ইংল্যান্ড।
বিরতির পর প্রথম ওভারেই লাকমলকে ফিরিয়ে ম্যাচ শেষ করেন লিচ। ভাঙে ৫৮ রানের জুটি। পুস্পকুমারা তখন অপরাজিত ৪০ বলে ৪২ রানে।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচ সেরা হয়েছেন চোট কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে ফেরা জনি বেয়ারস্টো। আর বেয়ারস্টোর চোটের কারণে এই সিরিজে সুযোগ পেয়েছিলেন যিনি, সেই বেন ফোকস অভিষেক সিরিজেই হয়েছেন ম্যান অব দা সিরিজ। ৬৯.২৫ গড়ে ২৭৭ রান করার পাশাপাশি কিপিংয়ে তিনি ছিলেন দুর্দান্ত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩৩৬
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২৪০
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ২৩০
শ্রীলঙ্কা: (লক্ষ্য ৩২৭) ৮৬.৪ ওভারে ২৮৪ (আগের দিন ৫৩/৪) (কুসল মেন্ডিস ৮৬, সান্দাক্যান ৭, রোশেন ৬৫, ডিকভেলা ১৯, দিলরুয়ান ৫, লাকমল ১১, পুস্পকুমারা ৪২*; ব্রড ০/১৪, মইন ৪/৯২, লিচ ৪/৭২, স্টোকস ১/২৫, রশিদ ০/৭৩)।
ফল: ইংল্যান্ড ৪২ রানে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ৩-০তে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: জনি বেয়ারস্টো
ম্যান অব দা সিরিজ: বেন ফোকস