সরল মন্ত্রে সফল তাইজুল

তার কথা সহজ। জীবন দর্শন সরল। তাইজুল ইসলামের বোলিংও তার জীবনের মতোই। খোলা চোখে দুর্বোধ্য কিছু মনে হয় না। তিনি নিজেও খুব বেশি জটিল করতে চান না। এক জায়গায় বল করে যাওয়া। রান না দেওয়া। ব্যাটসম্যানের ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়া। এই সাধারণ মন্ত্রেই দারুণ সফল এই বাঁহাতি স্পিনার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2018, 10:25 AM
Updated : 26 Nov 2018, 10:26 AM

বাংলাদেশের সবশেষ তিন টেস্টে তাইজুল পাঁচ উইকেট নিয়েছেন চারবার। জিম্বাবুয়ে সিরিজে ছিলেন না স্পিন বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র সাকিব আল হাসান। তাইজুল দায়িত্ব নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে। দুই টেস্টে উইকেট নিয়েছিলেন ১৮টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্টে সাকিব ছিলেন, একাদশে ছিল চার স্পিনার। তাদের মধ্যেও সফলতম তাইজুল। ম্যাচে নিয়েছেন ৭ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসেই ৬টি।

সাকিব ফেরায়, একাদশে আরও একজন বাড়তি স্পিনার থাকায় দলে ভূমিকা বদলে যাওয়ার কথা খানিকটা। কিন্তু তাইজুলের ভাবনা বদলায়নি। চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে যখন কেবল ১ উইকেট পেলেন, বদলায়নি তখনও। সোমবার মিরপুর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, পরিস্থিতি যেমনই হোক, তার মন্ত্র একই।

“প্রথম ইনিংসে যেরকম পরিকল্পনা ছিল, পরের ইনিংসেও একই। উইকেট না পেলে ভাবি না। আমার চাওয়া থাকে, উইকেট না পেলেও রান কম দিতে যেন অন্য প্রান্ত থেকে বোলারদের উইকেট পেতে সুবিধা হবে। ক্রিকেট খেলাটাই এমন। একজন রান দিবে, একজন উইকেট পাবে। একজন একটু রান কম দিবে, আরেকজন বেশি দেবে।”

“চারজন বা দুইজনের আক্রমণ হোক না কেন, আমি সবসময় রান চেক দিয়ে বল করার চেষ্টা করি। আমি ভালো করার চেষ্টা করেছি। উইকেটের বিষয়টা তো পরে, ওটা কপালের ব্যাপার।”

চট্টগ্রাম টেস্ট শেষে ঠিক এই কথা বলেছিলেন সাকিবও। এক পাশে কেউ আগ্রাসী বোলিং করলে অন্য প্রান্তের বোলার যেন নিয়ন্ত্রিত বল করে, বোলারদের এই ‘গেম সেন্সে’ আরও উন্নতি দেখতে চেয়েছেন অধিনায়ক। তাইজুলও জানালেন, এই জায়গাটায় আরও উন্নতি করা উচিত।

“আমার কাছে মনে হয় এটায় আরও উন্নতি করা সম্ভব। সেজন্য একটু সময়েরও দরকার। টেস্ট ক্রিকেট আসলে অনেক কঠিন। হয়তো বাহির থেকে দেখতে এক রকম লাগে, মাঠের মধ্যে কিন্তু পরিস্থিতিটা আলাদা হয়ে যায়। যখন আমরা মাঠে নামি, তখন আমাদের অনেক কিছুই পর্যবেক্ষণ করতে হয়। তাই সময়েরও ব্যাপার আছে।”

“মিরাজ মাত্র দুই বছর হয়েছে এসেছে। আমার চার বছর হয়েছে, নাঈম নতুন এসেছে। সব মিলিয়ে যে খুব খারাপ হয়েছে, তা বলব না। তবে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। আমরা যখন আরও সময় পাব, নাঈম-মিরাজরা আরও খেলবে, তখন আরও ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।”