সিরিজের শেষ টেস্টে রশিদ-স্টোকসের বোলিং ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছে বড় লিড। প্রথম ইনিংসে ইংলিশদের ৩৩৬ রানের জবাবে সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবে শনিবার শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে গেছে ২৪০ রানে।
এক পর্যায়ে শ্রীলঙ্কার রান ছিল ১ উইকেটে ১৭৩। সেখান থেকে তারা শেষ ৯ উইকেট হারিয়েছে ৬৭ রানেই। লেগ স্পিনার রশিদ নিয়েছেন পাঁচ উইকেট, স্টোকস তিনটি।
দ্বিতীয় দিনের সকাল শুরু হয়েছিল ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং দিয়ে। ৭ উইকেটে ৩১২ রান নিয়ে শুরু করা ইংলিশরা আর এগোতে পারেনি বেশি দূর। আর ২৪ রান যোগ করেই শেষ হয়েছে ইনিংস। দলে ফেরা চায়নাম্যান বোলার লাকশান সান্দাক্যান নিয়েছেন ৫ উইকেট।
ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকাকে হারিয়েছিল দলীয় ৩১ রানে। এরপর দিমুথ করুনারত্নে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার দুর্দান্ত জুটি। ইংলিশদের পেস ও স্পিন দারুণ দক্ষতায় সামলাচ্ছিলেন দুজন। সেঞ্চুরির হাতছানি ছিল দুজনের সামনেই। জুটি ছিল দেড়শর দিকে।
৭৩ রান করা ধনাঞ্জয়াকে চা বিরতির আগে ফিরিয়ে ১৪২ রানের জুটি ভাঙেন রশিদ। চা বিরতির পর ৮৩ রান করা করুনারত্নেকেও ফেরান রশিদ। এরপর শুরু হয় একের পর এক ব্যাটসম্যানের আসা যাওয়ার মিছিল।
চারে নেমে কুসল মেন্ডিস করেছেন ২৭, শেষ ব্যাটসম্যান মালিন্দা পুস্পকুমারা ১৩। মাঝের ছয় ব্যাটসম্যান ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক।
৪৯ রানে রশিদ পেয়েছেন ৫ উইকেট। ২০১৫ সালে অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেটের পর আবার এই স্বাদ পেলেন ১৮তম টেস্টে।
শেষ বিকেলে চার ওভার ব্যাট করে কোনো উইকেট হারায়নি ইংল্যান্ড। সব উইকেট হাতে নিয়ে তারা এগিয়ে ৯৯ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৯২.৫ ওভারে ৩৩৬ (আগের দিন ৩১২/৭)(মইন ৩৩, রশিদ ২১*, ব্রড ০, লিচ ২; লাকমল ০/৩৩, দিলরুয়ান ৩/১১৩, পুস্পকুমারা ২/৬৪, সান্দাক্যান ৫/৯৫, ধনাঞ্জয়া ০/১৬, গুনাথিলাকা ০/৫)।
শ্রীলঙ্কা: ৬৫.৫ ওভারে ২৪০ (গুনাথিলাকা ১৮, করুনারত্নে ৮৩, ধনাঞ্জয়া ৭৩, কুসল মেন্ডিস ২৭, ম্যাথিউস ৫, রোশেন ৩, ডিকভেলা ৫, দিলরুয়ান ০, লাকমল ৩*, সান্দাক্যান ২, পুস্পকুমারা ১৩; ব্রড ০/৩৬, লিচ ১/৫৯, মইন ০/৫৫, রশিদ ৫/৪৯, রুট ০/৪, স্টোকস ৩/৩০)।
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৪ ওভারে ৩/০