স্পিন জাদুতে বাংলাদেশের দাপুটে জয়

যন্ত্রণা ফিরিয়ে দেওয়ার সিরিজের শুরুটা হল দারুণ। ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুই টেস্টই তিন দিনে হেরে আসা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম টেস্ট জিতে নিয়েছে তিন দিনেই। ২০৪ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য পাওয়া সফরকারীদের ৬৪ রানে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2018, 03:37 AM
Updated : 24 Nov 2018, 07:09 PM

বাংলাদেশের ৬৪ রানের জয়
 
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৩৯ রানে থামিয়ে সিরিজের প্রথম টেস্ট ৬৪ রানে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই সংস্করণে এটি তাদের টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে দ্বাদশ জয়।
 
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেশের মাটিতে এটি বাংলাদেশের প্রথম আর সব মিলিয়ে তৃতীয় জয়। ২০০৯ সালের পর ক্যারিবিয়ানদের টেস্টে হারাল বাংলাদেশ।
 
৩৩ রানে ৬ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সফলতম বোলার তাইজুল ইসলাম। দুটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
 
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
 
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩২৪
 
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ২৪৬
 
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১২৫ 
 
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ২০৪) ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ (ব্র্যাথওয়েট ৮, পাওয়েল ০, হোপ ৩, আমব্রিস ৪৩, হেটমায়ার ২৭, ডাওরিচ ৫, বিশু ২, রোচ ১, ওয়ারিক্যান ৪১, গ্যাব্রিয়েল ০*; সাকিব ৭-০-৩০-২, নাঈম ৭-১-২৯-০, তাইজুল ১১.২-২-৩৩-৬, মিরাজ ৮-১-২৭-২, মুস্তাফিজ ২-০-১১-০)

ম্যাচ সেরা: মুমিনুল হক

তাইজুলের ছয়ে থামল উইন্ডিজ
 
প্রতিরোধ গড়া জুটি ভাঙার পর বেশি দূর এগোল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। সুনিল আমব্রিসকে ফিরিয়ে সফরকারীদের ১৩৯ রানে থামালেন তাইজুল ইসলাম। 
 
স্পিন করে বেরিয়ে যাওয়া বল পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন আমব্রিস। ব্যাটে খেলতে পারেননি, বল যায় কিপারের গ্লাভসে। বলে ব্যাটের স্পর্শ না থাকলেও আম্পায়ার আউট দিলে শেষ হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।
 
৬২ বলে ৪৩ রান করেন আমব্রিস। আউটের পর রিভিউ নিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুটি রিভিউ আগেই খরচ করে শেষ করে গেছেন অন্য ব্যাটসম্যানরা।

প্রতিরোধ ভাঙলেন মিরাজ
 
নবম উইকেট জুটির দৃঢ়তায় ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বারবার বোলার পরিবর্তন করেও জুটি ভাঙার পথ পাচ্ছিলেন না সাকিব আল হাসান। অবশেষে মেহেদী হাসান ভাঙতে পারলেন প্রতিরোধ গড়া জুটি। অফ স্পিনার ফিরিয়ে দিলেন জোমেল ওয়ারিক্যানকে।
 
প্রচুর শট খেলছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান। মিডল স্টাম্পের বল ছক্কায় উড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। টাইমিং করতে পারেননি। বেশ ওপরে উঠে যাওয়া ক্যাচ দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় মুঠোয় নেন সাকিব। 
 
৫৫ বলে ৪১ রান করেন ওয়ারিক্যান। তার বিদায়ে ভাঙে ৬৩ রানের জুটি। 
 
১৩৮ রানে নবম উইকেট হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রিজে সুনিল আমব্রিসের সঙ্গী শ্যানন গ্যাব্রিয়েল।

আমব্রিস-ওয়ারিক্যান জুটিতে পঞ্চাশ
 
৭৫ রানে ৮ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টানছেন সুনিল আমব্রিস ও জোমেল ওয়ারিক্যান। নবম উইকেটে দুই জনে গড়েছেন অর্ধশত রানের জুটি। 
 
৬৩ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে ডানহাতি দুই ব্যাটসম্যানদের প্রতিরোধ গড়া জুটি। 
 
৩৩ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৩০/৮। আমব্রিস ৩৬ ও ওয়ারিক্যান ৩৯ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য আরও ৭৪ রান চাই তাদের।

আবারও তাইজুলের পাঁচ
 
পরপর দুই ওভারে উইকেট। তাইজুল ইসলাম পেলেন টানা তিন টেস্টে ৫ উইকেট।
 
বিশুকে বোল্ড করার পর নিজের পরের ওভারেই তাইজুলের শিকার কেমার রোচ। সোজা বল টার্নের জন্য খেলতে গিয়ে লাগে রোচের প্যাডে। আস্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে জেতে বাংলাদেশ। 
 
এক রানে আউট হলেন রোচ।  ২০৪ রানের লক্ষ্যে রান ৮ উইকেটে ৭৫।
 
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের পর এই টেস্টেও তাইজুল পেলেন ৫ উইকেটের স্বাদ।

তাইজুলের চতুর্থ

সুনিল আমসব্রিস ও দেবেন্দ্র বিশু জুটির ছোট্ট প্রতিরোধ শেষ তাইজুলের বলে। বিশুকে বোল্ড করে তাইজুল নিলেন চতুর্থ উইকেট।

ঝুলিয়ে দেওয়া বলে ব্যাটসম্যানকে ড্রাইভে প্রলুব্ধ করেন তাইজুল। বিশু চেষ্টা করেছিলেন সেটিই। কিন্তু বল টার্ন করে তার ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে লাগে স্টাম্পে।

২ রানে ফিরলেন বিশু। ভাঙল ১৮ রানের জুটি। ২০৪ রানের লক্ষ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৭ উইকেটে ৬৯।

ডাওরিচকে ফেরালেন তাইজুল

প্রথম ইনিংসে প্রতিরোধ গড়া শেন ডাওরিচকে বিদায় করলেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনারের তৃতীয় উইকেটে জয়ের পথে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

লেগ-মিডল স্টাম্পে পিচ করা বল পিছিয়ে সামলাতে গিয়ে ব্যাটে খেলতে পারেননি ডাওরিচ। প্যাডে লাগলে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। নন স্ট্রাইকার সুনিল আমব্রিসের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নেন ব্যাটসম্যান।

বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় অফ স্টাম্পে লাগতো বল। ১৪ বলে ৫ রান করে ফিরেন ডাওরিচ, সঙ্গে শেষ হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় রিভিউ। 

১৪ ওভার শেষে সফরকারীদের স্কোর ৫১/৬। ক্রিজে আমব্রিসের সঙ্গী দেবেন্দ্র বিশু। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আরও  ১৫৩ রান।

আবার হেটমেয়ারকে থামালেন মিরাজ

প্রথম ইনিংসের মতো আবার পাল্টা আক্রমণে এগোচ্ছিলেন শিমরন হেটমায়ার। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে আবার থামালেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

ক্রিজে এসে সাকিব আল হাসানের এক ওভার থেকে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৭ রান তুলে নিয়েছিলেন হেটমায়ার। তাকে থামাতে দ্রুত দুই অফ স্পিনারকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক। বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে বিদায় করেন মিরাজ। প্রথম ইনিংসেও হেটমায়ারের ঝড় থামিয়েছিলেন তিনি।

অফ স্পিনারকে বেরিয়ে এসে ছক্কায় উড়াতে চেয়েছিলেন হেটমায়ার। ঠিক মতো টাইমিং করতে পারেননি। লং অফে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান নাঈম হাসান।

১৯ বলে তিন চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রান করেন হেটমায়ার। ৪৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রিজে সুনিল আমব্রিসের সঙ্গী প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ফিফটি করা শেন ডাওরিচ। জয়ের জন্য চাই আরও ১৬০ রান।

৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে উইন্ডিজ
 
তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে দেখা গেল বোলারদের দারুণ দাপট। দেড় ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের শেষ ৫ উইকেট তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম সেশনে সফরকারীদের ব্যাটিং করতে হয়েছে মাত্র ২০ মিনিট। এর মধ্যেই চার উইকেট তুলে নিয়ে তাদের এলোমেলো করে দিয়েছে স্বাগতিকরা। 
 
লাঞ্চে যাওয়ার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১১/৪। সুনিল আমব্রিস শূন্য রানে অপরাজিত। জয়ের জন্য সফরকারীদের প্রয়োজন আরও ১৯৩ রান।  
 
সাকিব আল হাসান তুলে নিয়েছেন কাইরন পাওয়েল ও শেই হোপের উইকেট। মাত্র পাঁচ বলের মধ্যে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও রোস্টন চেইসকে বিদায় করেছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। 

তাইজুলের দ্বিতীয় শিকার চেইস

আবার আর্ম বল, আবার উইকেট। এবার তাইজুল ইসলামের শিকার রোস্টন চেইস। 
অ্যাঙ্গেলে একটু ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। নন স্ট্রাইকার সুনিল আমব্রিসের সঙ্গে কথা বলে নেন রিভিউ। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় বল লাগতো লেগ স্টাম্পে। 
৪ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি চেইস। ১১ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চেইসের বিদায় দিয়ে শেষ হয় প্রথম সেশন।

এসেই তাইজুলের আঘাত
 

বোলিংয়ে পরিবর্তন এনেই সাফল্য পেল বাংলাদেশ। নাঈম হাসানের জায়গায় বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে বিদায় করেন তাইজুল ইসলাম। 
স্টাম্প সোজা স্কিড করা আর্ম বল ব্যাটে খেলতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ না নিয়ে ফিরে যান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। 
২৩ বলে ৮ রান করে ব্র্যাথওয়েট। ১১ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রিজে সুনিল আমব্রিসের সঙ্গী রোস্টন চেইস। 

হোপকেও ফেরালেন সাকিব
 
প্রথম ইনিংসে শেই হোপকে দ্রুত ফেরানো সাকিব আল হাসান এবারও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে বেশিক্ষণ টিকতে দিলেন না।
 
অফ স্টাম্পের বাইরের বল পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন হোপ। যতটা ভেবেছিলেন ততটা টার্ন না করা বল ব্যাটসম্যানের গ্লাভস ছুঁয়ে জমা পড়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। 
 
৬ বলে ৩ রান করেন হোপ। ১১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রিজে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের সঙ্গী সুনিল আমব্রিস। জয়ের জন্য সফরকারীদের প্রয়োজন আরও ১৯৩ রান।

পাওয়েলের উইকেটে সাকিবের দুইশ
 

কাইরন পাওয়েলকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্টে দুইশ উইকেট নিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। 
তৃতীয় ওভারে স্ট্রাইক পেয়ে প্রথম বল বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন পাওয়েল। স্পিন না করে সোজা যাওয়া বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি এই ওপেনার। স্টাম্পিংয়ের সহজ সুযোগ কাজে লাগান মুশফিকুর রহিম। 
গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পান পাওয়েল। ৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রিজে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের সঙ্গী শেই হোপ। জয়ের জন্য আরও ১৯৯ রান প্রয়োজন সফরকারীদের।

১২৫ রানে থামল বাংলাদেশ
 
তাইজুল ইসলামকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ১২৫ রানে থামালেন রোস্টন চেইস। প্রথম টেস্টে জিততে ২০৪ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 
 
অফ স্পিনারকে লং অন দিয়ে ছক্কায় উড়াতে চেয়েছিলেন তাইজুল। টাইমিং করতে পারেননি, ধরা পড়েন জোমেল ওয়ারিক্যানের হাতে।
 
তৃতীয় দিন বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস টিকে দেড় ঘণ্টা। স্বাগতিকরা শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে যোগ করে ৭০ রান। এর মধ্যে শেষ তিন উইকেট হারায় মাত্র ৩ রানে।  
 
লেগ স্পিনার দেবেন্দ্র বিশু ২৬ রানে নেন ৪ উইকেট। চেইস ৩ উইকেট নেন ১৮ রানে।

বিশুই ফেরালেন মাহমুদউল্লাহকে
 
কি শট খেলবেন আগে থেকেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। দিতে হল তার মাশুল। দেবেন্দ্র বিশুর দক্ষতার কাছে হার মেনে বিদায় নিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। এর আগে এই লেগ স্পিনারের বলেই জীবন পেয়েছিলেন তিনি। 
 
মাহমুদউল্লাহ লেগ স্টাম্পের পাশ দিয়ে পেছনে পাঠাতে চেয়েছিলেন বল। তাকে ব্যাট পেতে রাখতে দেখে শর্ট লেংথে বল করেন বিশু। তাই শট ঠিক মতো খেলতে পারেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় স্লিপে শেই হোপের কাছে। 
 
৪৬ বলে একটি করে ছক্কা-চারে ৩১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ১২৩ রানে নবম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। স্বাগতিকরা তখন এগিয়ে ২০১ রানে।

বিশুর তৃতীয় শিকার নাঈম

লিড দুইশ ছোঁয়ার পর উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। অভিষিক্ত নাঈম হাসানকে দ্রুত ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট নিয়েছেন দেবেন্দ্র বিশু।

অফ স্টাম্পের বাইরের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন নাঈম। স্পিন করে বেরিয়ে যাওয়া বলে ঠিক মতো শট খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় প্রথম স্লিপে শেই হোপের কাছে।

২৭ বলে নাঈম করেন ৫ রান। ১২২ রানে অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশের লিড তখন ২০০ রান।

প্রথম ঘন্টায় মুশফিক-মিরাজের উইকেট
 
দিনের দ্বিতীয় ওভারে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম পানি বিরতির আগে দ্বিতীয় শেষ ওভারে আবার হারায় উইকেট। মাঝের সময়টায় মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। 
 
পানি বিরতির সময় বাংলাদেশের স্কোর ১০৭/৭। মাহমুদউল্লাহ ২০ ও নাঈম হাসান ১ রানে ব্যাট করছেন। স্বাগতিকদের লিড এখন ১৮৫ রান। 
 
প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশ হারিয়েছে আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজকে। এক ঘণ্টায় যোগ করেছে ৫২ রান।

মিরাজকে থামালেন বিশু
 
দেবেন্দ্র বিশুর দারুণ এক ডেলিভারিতে থামলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ভাঙল সপ্তম উইকেট জুটির প্রতিরোধ।  
 
লেগ স্পিনারের ঝুলিয়ে দেওয়া ফুল লেংথ বল পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন মিরাজ। স্পিন করে বেরিয়ে যাওয়া বল তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে কিপার শেন ডাওরিচের গ্লাভসে। 
 
৩৫ বলে তিন চারে ১৮ রান করেন মিরাজ। ১০৬ রানে সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে দারুণ দৃঢ়তা দেখানো অভিষিক্ত নাঈম হাসান। স্বাগতিকরা এগিয়ে ১৮৪ রানে।

জীবন পেলেন মাহমুদউল্লাহ

দেবেন্দ্র বিশুর লেগ স্পিন ভোগাচ্ছে মাহমুদউল্লাহ। সামনে খেলবেন না পিছিয়ে গিয়ে সামলাবেন তা নিয়ে যেন দ্বিধায় এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। বারবার লাইন, লেংথ পরিবর্তন করে মাহমুদউল্লাহকে চাপে রাখা বিশু তৈরি করলেন সুযোগ, কিন্তু সহজ ক্যাচ মুঠোয় নিতে ব্যর্থ হলেন শেই হোপ। 
স্পিন করে বেরিয়ে যাওয়া বল মাহমুদউল্লাহর ব্যাটের কানা ছুঁয়ে সহজ ক্যাচ স্লিপে। বুক উচ্চতার বল মুঠোয় নিতে পারেননি হোপ। সে সময় ১৫ রানে ব্যাট করছিলেন মাহমুদউল্লাহ। 
২৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০২/৬। মাহমুদউল্লাহ ১৮ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১৮ রানে ব্যাট করছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ এগিয়ে ১৮০ রানে।

টিকলেন না মুশফিক
 

দিনের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল বোল্ড করে ফিরিয়ে দিয়েছেন একবার জীবন পাওয়া মুশফিকুর রহিমকে। 
 
ডানহাতি পেসারের শর্ট লেংথের বল ব্যাটসম্যান যতটা ভেবেছিলেন ততটা উঠেনি। একটু নিচু হয়ে দ্রুত গতিতে ভেতরে ঢোকা বল সামলাতে মুশফিক ছিলেন মন্থর। জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে করতে পারেননি বলে-ব্যাটে, ফিরে যান বোল্ড হয়ে। 
 
৩৯ বলে বলে ১ চারে ১৯ রান করেন মুশফিক। ৬৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা এগিয়ে গেছে ১৪৭ রানে। ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।  
 
শুরুতেই জীবন পেলেন মুশফিক
 
তৃতীয় দিনের শুরুতে ক্ষ্যাপাটে ব্যাটিং করা মুশফিকুর রহিম জীবন পেলেন দিনের প্রথম ওভারে। 
 
জোমেল ওয়ারিক্যানের করা দিনের তৃতীয় বলে প্রথম ঝুঁকি নেন মুশফিক। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে করেন সুইপ, পান বাউন্ডারি। এক বল পর আবার একই ধরনের বলে করেন সুইপ এবার টাইমিং করতে পারেননি। তবে মিড অন থেকে ছুটে গিয়ে হাত ছোঁয়ালেও ক্যাচ মুঠোয় জমাতে রোস্টন চেইস। মুশফিক তখন ১৫ রানে ব্যাট করছিলেন।
 
ওভারের ষষ্ঠ বলে মিডল স্টাম্পের বলে করেন রিভার্স সুইপ। ঝুঁকিপূর্ণ সেই শট ঠিকমতো খেলতে না পারলেও বেঁচে যান কোনোমতে।

দেড়শ রানের লিড যথেষ্ট?
 
উইকেট থেকে যথেষ্ট সহায়তা পাচ্ছেন স্পিনাররা। কখনও বল থামছে কখনও স্কিড করছে। কখনও লাফিয়ে উঠছে তো কখনও নিচু হচ্ছে। টিকে থাকাই যেন দায় হয়ে উঠছে। নাঈম হাসান মনে করেন, এমন উইকেটে চতুর্থ ইনিংস দেড়শ রান নিয়েই লড়াই করা সম্ভব।
 
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার সকালে সাড়ে নয়টায় শুরু হবে তৃতীয় দিনের খেলা। 
 
দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫৫/৫। প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানের লিড পাওয়া স্বাগতিকরা এগিয়ে রয়েছে ১৩৩ রানে। মুশফিকুর রহিম ১১ ও মেহেদী হাসান মিরাজ শূন্য রানে অপরাজিত।
 
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিপার ব্যাটসম্যান শেন ডাওরিচ মনে করেন, দুইশ রানের নিচে যে কোনো লক্ষ্য তাড়া করে জেতা সম্ভব। কিন্তু লক্ষ্য দুইশ ছাড়ালে ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা হয়ে যাবে অনেক কঠিন। 
 
দ্বিতীয় দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর:
 
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩২৪
 
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ২৪৬
 
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১৭ ওভারে ৫৫/৫ (ইমরুল ২, সৌম্য ১১, মুমিনুল ১২, মিঠুন ১৭, সাকিব ১, মুশফিক ১১*, মিরাজ ০*; রোচ ১-০-১১-০, ওয়ারিক্যান ৮-০-২২-২, চেইস ৫-১-১৬-২, বিশু ৩-০-৫-১)