বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে সিলেটে দারুণ জমে উঠেছে মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের লড়াই। প্রথম ইনিংসে দুই দলের ব্যবধান ছিল ১ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে শুক্রবার মধ্যাঞ্চল তুলেছে ২৬৪ রান। শেষ ইনিংসে ২৬৬ রানের লক্ষ্যে তৃতীয় দিন শেষে দক্ষিণাঞ্চলের রান ২ উইকেটে ৩৮।
শেষ দিনে জয়ের জন্য মধ্যাঞ্চলের প্রয়োজন ৮ উইকেট, দক্ষিণাঞ্চলের ২২৮ রান।
ম্যাচের প্রথম দিন প্রথম ওভারেই শূন্য রানে ফিরেছিলেন লিটন। তৃতীয় দিন সকালে সেই লিটনের ব্যাটেই ছুটল স্ট্রোকের ফোয়ারা। ইনিংসের প্রথম ভাগে দলকে বলতে গেলে টেনেছেন একাই।
উদ্বোধনী জুটিতে এসেছে ৫৫ রান, যাতে লিটনের সঙ্গী সাইফ হাসানের অবদান কেবল ৮। দ্বিতীয় উইকেটে ৭০ রানের জুটিতে নাজমুল হাসান শান্তর রান ২৪।
মিডল অর্ডারে কেবল শুভাগত ছাড়া রান পাননি দলের অন্যরা। শুভাগত করেন ৩৫ বলে ৩৬। নবম উইকেট পতনের সময় মধ্যাঞ্চলের রান ৯ উইকেটে ১৮৫। শেষের অপেক্ষায় থাকা ইনিংসে আবারও শেষ উইকেটে উপহার দেয় বিস্ময়।
প্রথম ইনিংসে শেষ জুটিতে আব্দুল মজিদ ও শহিদুল ইসলামের রান ছিল ১২৪। এবারের জুটিতেও ছিলেন শহিদুল, তবে সঙ্গী ছিল না কোনো স্বীকৃত ব্যাটসম্যান। রবিউল ইসলামকে নিয়ে শহিদুল করেন ৭৯ রানের জুটি। ৪১ রানে অপরাজিত থেকে যান শহিদুল, রবিউল করেছেন ৩৭।
শেষ জুটিকে থামিয়েই মেহেদি ধরেছেন পঞ্চম শিকার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম ৫ উইকেট পেলেন ৩১তম ম্যাচে। স্বীকৃত ক্রিকেটেই এটি তার প্রথম ৫ উইকেট।
রান তাড়ায় দক্ষিণাঞ্চল শেষ বিকেলে হজম করে দুটি বড় ধাক্কা। এনামুল হক ও ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে দ্রুত ফেরান বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার। আপাতত দল তাকিয়ে শাহরিয়ার নাফিস ও তুষার ইমরানের অভিজ্ঞ ব্যাটে।
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২৮২
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৮৭.১ ওভারে ২৮১ (শাহরিয়ার ৭১, এনামুল ৩১, ফজলে রাব্বি ৯৪, তুষার ২, রকিবুল ৭, সোহান ১৭, মেহেদি ২, রাজ্জাক ০, শফিউল ৪, রুবেল ৩০, আল আমিন ৬*, আবু হায়দার ১/৬৬, রবিউল ২/৭২, শুভাগত ১/৪৫, শহিদুল ২/২৮, মোশাররফ ৪/৫৩)।
মধ্যাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৭৬.৪ ওভারে ২৬৪ (আগের দিন ২/০) (লিটন ৮৪, সাইফ ৮, শান্ত ২৪, মজিদ ৪, মার্শাল ৪, শুভাগত ৩৬, তাইবুর ০, মোশাররফ ১১, শহিদুল ৪১*, আবু হায়দার ০, রবিউল ৩৭; শফিউল ২/৬১, আল আমিন ০/২১, রুবেল ১/৩৫, রাজ্জাক ২/৬৩, মেহেদি ৫/৭২)।
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: (লক্ষ্য ২৬৬) ৯ ওভারে ৩৮/২ (শাহরিয়ার ১১*, এনামুল ৫, ফজলে রাব্বি ১১, তুষার ১০; আবু হায়দার ২/১৭, শহিদুল ০/৬, রবিউল ০/৪, মোশাররফ ০/৫, তাইবুর ০/৫)।