কুক নিজেও এসেছেন রোডসদের দেশ থেকে। আধুনিক ক্রিকেটে ফিল্ডিং পরের স্তরে পৌঁছে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকানদের হাত ধরেই। স্রেফ ফিল্ডিং দিয়েও যে ক্রিকেটে আলাদা জায়গা করে নেওয়া যায়, সেটি প্রোটিয়াদের মতো করে মনে হয় দেখাতে পারেননি অন্যরা।
ফিল্ডিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা যেখানে ধারাবাহিকতার প্রতীক, বাংলাদেশ সেখানে ঠিক উল্টো প্রান্তে। বাংলাদেশের ফিল্ডিং ধারাবাহিকভাবেই অধারাবাহিক। কখনও দুর্দান্ত, কখনও সাদামাটা। শরীরী ভাষায় কখনও থাকে আগুন; কখনও তা থাকে নিস্তরঙ্গ। ক্রিকেটে বড় আর ছোট দলের ব্যবধান সবচেয়ে কমানোর উপযুক্ত জায়গা ফিল্ডিং। কিন্তু বাংলাদেশ কখনোই পারেনি বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং দলগুলোর একটি হয়ে উঠতে।
কুক বলছেন, সময় লাগবে। দীর্ঘমেয়াদী উন্নতি আর সংস্কৃতি বদলের জন্যই প্রয়োজন ফিল্ডিংয়ে কাউকে আদর্শ হিসেবে পাওয়া। স্বীকৃত কোনো শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেটে কখনও খেলেননি কুক। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্রিকেট নিয়ে কাজ করা মানে ফিল্ডিংয়ের আবহেই বেড়ে ওঠা। ফিল্ডিং নায়কের মর্যাদা তাই ভালোই জানেন তিনি।
এমনিতে ফিল্ডিংয়ের প্রতি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দৃষ্টিভঙ্গিতে সমস্যা দেখছেন না কুক। সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, অভাব কেবল ফিল্ডিং নায়কের। তার চাওয়া, এই দলই নিজেদের ফিল্ডিং নিয়ে যাক পরের স্তরে।
“ফিল্ডিং নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দৃষ্টিভঙ্গিতে আমি খুশিই। ওদের বেশ অগ্রগতি হয়েছে। তবে ফিল্ডিংয়ের মানের কথা বললে, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাপারটি হলো, সেখানে অনেকের উদাহরণ আছে সামনে। কেউ হয়তো জন্টি রোডস বা হার্শেল গিবসের মতো হতে চায়। আর এখানকার ক্রিকেটাররা সেই জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। ওদের তাই ভালো থেকে আরও ভালো হতে হবে।”
“সামনে কোনো নায়ক না থাকা তাই একটি ব্যাপার (ভালো ফিল্ডিং দল না হওয়ায়)। আমি চাই, নিজেদের মানদণ্ড ওরা নিজেরা তৈরি করুক, অবশ্যই ওদেরকে চেষ্টা করতে হবে বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং দল হতে। আমার কোনো সংশয়ই নেই যে এই সামর্থ্য ওদের আছে।”