ইংল্যান্ডের বাধা আর শ্রীলঙ্কার আশা হয়ে ছিলেন ম্যাথিউস। ওই আউটেই ম্যাচ গেল ইংল্যান্ডের দিকে হেলে। বৃষ্টির কারণে দিনের খেলা আগেভাগে শেষ হওয়ায় ম্যাচের ফয়সালা এ দিন হয়নি। তবে সম্ভাব্য ফলের ছবিটা ফুটে উঠেছে। শেষ ইনিংসে ৩০১ রান তাড়ায় পাল্লেকেলে টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে শ্রীলঙ্কার রান ৭ উইকেটে ২২৬।
শেষ দিনে স্বাগতিকদের চাই ৭৫ রান, ৩ উইকেট ইংল্যান্ডের। এই ম্যাচ জিতলে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে ইংলিশদের। গলে প্রথম টেস্টেও জিতেছিল সফরকারীরা।
শনিবার চা বিরতির সময়ও ম্যাচ ছিল রোমাঞ্চকর মোড়ে। খানিকটা এগিয়ে ছিল শ্রীলঙ্কাই। ৫ উইকেট হাতে নিয়ে তখন রান দরকার ছিল তাদের ৮২। দারুণ খেলে উইকেটে ম্যাথিউস। কিন্তু বিরতির পর ৮৮ রান করা ম্যাথিউসের উইকেটসহ দ্রুত দুই উইকেটে জয়ের পথে বড় দুই ধাপ এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড।
দিনের শুরুটা ছিল ইংল্যান্ডের শেষ উইকেটের লড়াই দিয়ে। ৯ উইকেটে ৩২৪ রান নিয়ে শুরু করে ইংলিশরা শেষ জুটিতে যোগ করে আরও ২২ রান। ফোকস অপরাজিত থেকে যান ৬৫ রানে।
৩০১ রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই হোচট খায় শ্রীলঙ্কা। চোটের কারণে বোলিং করতে পারেননি ইংলিশ পেসার স্যাম কারান। কিন্তু বাকিরা বুঝতে দেননি সেই অভাব। নতুন বলে বাঁহাতি স্পিনার জ্যাক লিচ এলোমেলো করে দেন লঙ্কানদের। তার তিন ছোবলে শ্রীলঙ্কার রান দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২৬।
চতুর্থ উইকেটে দিমুথ করুনারত্নে ও ম্যাথিউসের প্রতিরোধে আসে ৭৭ রান। ৫৭ রান করা করুনারত্নেকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আদিল রশিদ। রোশেন সিলভাকে নিয়ে আরেকটি দারুণ জুটি গড়েন ম্যাথিউস। পঞ্চম উইকেটে দুজনের জুটি ৭৩ রানের। রোশেনকে ৩৭ রানে থামান মইন আলি।
এরপর ম্যাথিউসের লড়াই নিরোশান ডিকভেলাকে নিয়ে। একটু একটু করে উজ্জ্বল হতে থাকে লঙ্কানদের জয়ের সম্ভাবনা। কিন্তু চা বিরতির পর পাল্টে গেল চিত্র। বিরতির পর তৃতীয় বলেই ৮৮ রানে ম্যাথিউসকে ফেরালেন মইন। থানিক পর লিচের চতুর্থ শিকার দিলরুয়ান পেরেরা।
বৃষ্টির কারণে চা বিরতির ১৫ মিনিট পরই বন্ধ হয় খেলা। দুর্ভাবনা সরিয়ে ইংলিশরা মাঠ ছাড়ে জয়ের সুবাস নিয়ে। শেষ দিনে নাটকীয় কিছুর আশায় শ্রীলঙ্কার ভরসা হয়ে টিকে আছেন ডিকভেলা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৯০
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৩৩৬
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৩৪৬
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩০১) ৬৫.২ ওভারে ২২৬/৭ (করুনারত্নে ৫৭, কৌশল ৪, ধনাঞ্জয়া ১, কুসল মেন্ডিস ১, ম্যাথিউস ৮৮, রোশেন ৩৭, ডিকভেলা ২৭*, দিলরুয়ান ২; অ্যান্ডারসন ০/১২, লিচ ৪/৭৩, মইন ২/৬৫, রশিদ ১/৫২, রুট ০/১৫)।