পাল্লেকেলে টেস্টের তৃতীয় দিনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুক্রবার নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ৩২৪ রান করেছে ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে পিছিয়ে থাকা দলটি এখন এগিয়ে ২৭৮ রানে।
১২৪ রান করে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং নায়ক অধিনায়ক রুট। বল হাতে খরুচে হলেও ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে দনাঞ্জয়া ৬ উইকেট নিয়েছেন ১০৬ রানে।
দিনের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু ছিল অবশ্য সুইপ শট। একের পর সুইপ খেলে লঙ্কান স্পিনারদের নাকাল করেছে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। রান এসেছে নিয়মিত। সারাদিনে ৭৫ ওভারে মেডেন ছিল মাত্র দুটি। তবে তাদের পতনও ডেকে এনেছে এই শট। প্রথম সাত ব্যাটসম্যানই আউট হয়েছে সুইপ খেলে!
সুইপে পতনের শুরু জ্যাক লিচকে দিয়ে। আগের দিন শেষ বিকেলে ১ ওভার খেলতে তাকে নামানো হয়েছিল নাইটওয়াচম্যান ওপেনার হিসেবে। সকালে দ্বিতীয় ওভারেই তাকে ফেরান দিলরুয়ান পেরেরা।
বার্নস খেলছিলেন দারুণ। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা ওপেনার পান প্রথম ফিফটির দেখা। রুটের সঙ্গে তার জুটিও ইঙ্গিত দিচ্ছিল ভালো কিছুর। কিন্তু যথারীতি সর্বনাশ সুইপে। ৬৬ বলে ৫৯ করে বার্নস ফেরেন সুইপ খেলে। উইকেটে গিয়ে দ্বিতীয় বলেই সুইপ খেলার চেষ্টায় আউট বেন স্টোকস।
৪ উইকেটে ১০৯ রান থেকে ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ায় পরের তিন জুটিতে। প্রতিটি জুটিরই স্তম্ভ ছিলেন রুট। পঞ্চম উইকেটে জস বাটলারের সঙ্গে জুটি ৭৪ রানের, ষষ্ঠ উইকেটে মইন আলির সঙ্গে ৩৬ ও সপ্তম উইকেটে বেন ফোকসের সঙ্গে ৮২।
চ্যালেঞ্জিং উইকেটে লঙ্কানদের তিন স্পিনারকে দারুণ খেলেছেন রুট। রান তুলেছেন ওয়ানডের গতিতে। ৭৬ টেস্টে ক্যারিয়ারের ১৫তম টেস্ট সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছেন ১২০ বলে। শেষ পর্যন্ত দনাঞ্জয়াকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে আউট হয়েছে ১৪৬ বলে ১২০ রান করে।
এরপর স্যাম কারান ও আদিল রশিদকে দ্রুত ফেরান দনাঞ্জয়া। চার রানের মধ্যে ইংলিশরা হারায় তিন উইকেট। তাদের আশা হয়ে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন ফোকস। আগের টেস্টে অভিষেকে সেঞ্চুরি করা কিপার ব্যাটসম্যান এবার অপরাজিত ৫১ রানে। ছক্কা মেরে স্পর্শ করেছেন ফিফটি, যেটি হয়ে থেকেছে দিনের শেষ বল। আলোকস্বল্পতায় ঘণ্টাখানেক আগেই শেষ হয়েছে দিনের খেলা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৯০
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৩৩৬
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৭৬ ওভারে ৩২৪/৯ (লিচ ১, বার্নস ৫৯, জেনিংস ২৬, রুট ১২৪, স্টোকস ০, বাটলার ৩৪, মইন ১০, ফোকস ৫১*, কারান ০, রশিদ ২, অ্যান্ডারসন ৪*; দিলরুয়ান ২/৮৭, পুস্পকুমারা ১/৯৭, দনাঞ্জয়া ৬/১০৬, ধনাঞ্জয়া ০/৬, লাকমল ০/১৪)