উইন্ডিজের বিপক্ষে ‘টিপিক্যাল হোম কন্ডিশন’ চান মাহমুদউল্লাহ

সিলেটের উইকেট ম্যাচ জুড়েই ছিল প্রায় প্রাণহীন। মিরপুরে টেস্ট উইকেট গত কয়েক বছরে স্পিন সহায়ক দেখা গেলেও এবার স্পিন খুব একটা ধরেনি। পঞ্চম দিনেও গ্রিপ করেনি খুব বেশি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসছে টেস্ট সিরিজে তাই ঘরের মাঠের ফায়দা পুরোপুরি নেওয়া যায়, এরকম উইকেট চান মাহমুদউল্লাহ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Nov 2018, 01:11 PM
Updated : 15 Nov 2018, 03:57 PM

গত জুলাই-অগাস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে গতিময় ও বাউন্সি উইকেটে প্রচণ্ড ধুঁকেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। এবার ঘরের কন্ডিশনের ফায়দার সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে এরই মধ্যে চলে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল।

ঘরের মাঠে টার্নিং উইকেট বানিয়ে গত দুই বছরের ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিংয়ের মূল শক্তি তাদের পেস বোলিং। স্পিনিং উইকেটে মানসম্পন্ন স্পিনে তাদের ব্যাটসম্যানরা বেশ নড়বড়ে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শেষে মাহমুদউল্লাহ জানিয়ে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নিয়ে তার চাওয়া।

কিছুদিন আগে ভারত সফর করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রস্তুতিটা তাই বেশ ভালো থাকার কথা তাদের। তবে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের বিশ্বাস, চাওয়া মতো উইকেট পেলে সমস্যায় ফেলা যাবে ক্যারিবিয়ানদের।

“টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বসে চিন্তা করব ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে কেমন উইকেট চাচ্ছি। ওদের দলও আমাদের দেখতে হবে। পাশাপাশি আমরা সবসময় যে স্পিনবান্ধব উইকেট করি, সে দিকেই হয়তো আমরা যাব।” 

“যেহেতু ওরা কিছুদিন আগে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছিল, এটা ওদের কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পারে। তবে এখানকার কন্ডিশন কিছুটা ভিন্ন। আমরা যদি হোম কন্ডিশন আমাদের মতো করে টিপিক্যাল করে নিতে পারি, তাহলে ম্যাচের ফল আমাদের পক্ষে আসতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা কতটা ভালো ক্রিকেট খেলছি সেটা। তারা অনেক ভালো দল। আমাদের মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে তৈরি থাকতে হবে কঠিন উইকেটে খেলার জন্য।”

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বোলারদের অবশ্য সামর্থ্য আছে, এই উইকেটেও পার্থক্য গড়ে দেওয়ার। সেটা ভাবনায় আছে মাহমুদউল্লাহরও। তবে নিজেদের স্কিলেও আস্থা আছে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের।

“ওদের যে পেস বোলার আছে, রোচ, গ্যাব্রিয়েল, কিমো পল, সবাইকে আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলেছি, ওই অভিজ্ঞতাটুকু আছে ওরা কেমন বোলিং করতে পারে। তাছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট এবং বাংলাদেশের উইকেট তো এক নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের নিয়ে কিছুটা ভাবনা থাকলেও আমাদের মধ্যে এই বিশ্বাস আছে আমরা আমাদের স্কিলের পূর্ণ ব্যবহার করতে পারব।”