জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছেন মাহমুদউল্লাহ। অবসান হয়েছে তার দীর্ঘ অপেক্ষার। আগের টেস্ট সেঞ্চুরিটি করেছিলেন ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টনে। সেটি ছিল তার পঞ্চম টেস্ট। মাঝে খেলেছেন আরও ৩৫ টেস্ট। দুই সেঞ্চুরির মধ্যে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের দীর্ঘতম অপেক্ষার রেকর্ড এটিই।
রেকর্ডটি এর আগে ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের। ২০০১ সালে সেপ্টেম্বরে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরির পর আশরাফুল দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে। মাঝে খেলেছিলেন ২২ টেস্ট। এখনকার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবশেষ সেঞ্চুরির পর ১৬ টেস্ট খেলে ফেলেছেন ইমরুল কায়েস।
দুই টেস্ট সেঞ্চুরির মাঝে দীর্ঘতম অপেক্ষার বিশ্ব রেকর্ড অ্যাডাম প্যারোরের। ৭৮ টেস্টের ক্যারিয়ারে দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন নিউ জিল্যান্ডের সাবেক উইকেটকিপার। দুই সেঞ্চুরির মাঝে খেলেছিলেন ৫৭ টেস্ট। আরেক উইকেটকিপার দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচারের দুই সেঞ্চুরির মাঝে ব্যবধান ছিল ৫০ টেস্টের।
সেঞ্চুরিটা তার কাছে দলের প্রাপ্য হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। দল হয়তো ছিল অপেক্ষার শেষ সীমানায়। এই ইনিংসেও উল্লেখযোগ্য রান পেলে আরেকটি টেস্টে সুযোগ পাওয়া নিয়ে সংশয় ছিল যথেষ্টই। টানা ১০ ইনিংসে ছিল না ফিফটি। এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৬ রান করে আউট হয়েছিল বাজে এক শটে। কে জানে, এই ইনিংসই হয়তো ছিল শেষ সুযোগ!
চ্যালেঞ্জটাও ছিল বেশ কঠিন। প্রথম ইনিংসে ২১৮ রানের লিড পাওয়ার পরও প্রতিপক্ষকে ফলো অন করাননি। দ্রুত রান তুলে লিড বাড়িয়ে জিম্বাবুয়েকে রানের ভারে পিষ্ট করা ছিল লক্ষ্য। কিন্তু সকালে ২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কাঁপছিল দল। সেখান থেকেই দলকে টেনে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। চা বিরতির আগে শেষ বলে যখন দুই রান নিয়ে স্পর্শ করলেন সেঞ্চুরি, দলও পৌঁছে গেছে নিরাপদ ঠিকানায়।
উইকেট আঁকড়ে রাখা আর দ্রুত রান তোলা, দুটি দাবিই এ দিন মিটিয়েছেন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ। অপরাজিত ১০১ রান করেছেন কেবল ১২২ বলে।
পরের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান ফিরলে মাহমুদউল্লাহ আর অধিনায়ক থাকবেন না। তবে টেস্ট ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ যে থাকবেন অন্তত আরও কিছুদিন, সেটিই নিশ্চিত করেছে এই সেঞ্চুরি।