বিশ্বাসটা তার জন্মেছে নিজের পারফরম্যান্স থেকেই। সামর্থ্যের সীমানা বাড়ছে সময়ের সঙ্গে। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে যখন ডাবল সেঞ্চুরি করলেন, সেই ম্যাচের আগে টেস্টে বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল কেবল মোহাম্মদ আশরাফুলের ১৫৮। সেটিকে পেছনে ফেলে মুশফিকের ব্যাটেই উন্মোচিত হয়েছিল নতুন দিগন্ত।
এরপর ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানও। দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ডও আবার নিজের করে নিয়েছেন মুশফিক। দ্বিতীয় দিন শেষে জানালেন, স্বপ্নের সীমানা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এই ইনিংস।
“আমি আমার নিজের ভেতর এটা বিশ্বাস করি (ট্রিপল সেঞ্চুরি করতে পারব)। প্রথম যখন দুইশ করেছি, তার আগে মনে হয়নি পারব। পরেও মনে হয়েছে, আবার কবে না কবে পারব! নিজের ওপর ওরকম বিশ্বাস ছিল না। এখন এটা পাওয়ার পর আমার বিশ্বাস একটু হলেও ফিরে এসেছে, আরও বড় অবদান রাখতে পারব। আমার মনে হয়, আমাদের টপ অর্ডারদের কারও জন্য এটা অসম্ভব না (ট্রিপল সেঞ্চুরি করা)।”
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ট্রিপল সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন কেবল একজনই- দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা ব্যাটসম্যান রকিবুল হাসান। ২০০৬-০৭ মৌসুমে জাতীয় লিগে বরিশালের হয়ে সিলেটের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ৩১৩ রান।