মুমিনুলের ক্যারিয়ারের ‘ইন্টারেস্টিং’ সেঞ্চুরি

জিম্বাবুয়ের সঙ্গে করলেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছেন তিনটি। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি। সবকটি যদিও দেশের মাটিতেই, এবারের সেঞ্চুরিটি তবু একটু আলাদা মুমিনুল হকের কাছে। উইকেট ছিল চ্যালেঞ্জিং, পরিস্থিতি কঠিন। নিজের কাছে মুমিনুলের এই সেঞ্চুরি বেশ ‘ইন্টারেস্টিং’।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Nov 2018, 02:13 PM
Updated : 11 Nov 2018, 02:13 PM

দুঃসময়ের বৃত্তে থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে নেমেছিলেন মুমিনুল। আগের ৮ ইনিংস মিলিয়ে করেছেন ৬৯ রান। দলের ব্যাটিংয়েও ছিল দুর্দশা। এই টেস্টে তাই নিজের জন্য, দলের জন্য বড় রান খুব জরুরি ছিল মুমিনুলের জন্য। সময়ের দাবি মিটিয়ে খেলেছেন তিনি ১৬১ রানের ইনিংস। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল জানালেন, সেঞ্চুরিটি তার কাছে বিশেষ কিছু।

“আমি ব্যক্তিগতভাবে এই সেঞ্চুরিতে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমার জীবনের সেরাগুলোর একটি। যত সেঞ্চুরি করেছি ক্যারিয়ারে, তার মধ্যে এটি বেশ ইন্টারেস্টিং। কারণ অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। যতক্ষণ ব্যাট করেছি, খুব কষ্ট করে ব্যাট করেছি। অন্য সেঞ্চুরিগুলোর তুলনায় খুব কঠিন ছিল কন্ডিশন ও পরিস্থিতি।”

বাংলাদেশ এ দিন ব্যাটিংয়ে নেমে ছিল টস জিতে। সকালে উইকেটে আর্দ্রতা ছিল বেশ, জিম্বাবুয়ের পেস আক্রমণ যা কাজে লাগিয়েছে বেশ ভালোভাবে। প্রথম ঘণ্টায়ই বাংলাদেশের রান হয়ে গিয়েছিল ২ উইকেটে ২৬। শুরুর আর্দ্রতা পরে অতটা না থাকলেও উইকেটে প্রাণের ছোঁয়া ছিল দিনজুড়েই। বাউন্স ছিল অসমান।

কতটা কষ্ট করতে গড়তে হয়েছে ইনিংস, সেটি বোঝাতে এই পারিপার্শ্বিকতা তুলে ধরলেন মুমিনুল।

“সিলেট ও এই উইকেটের মধ্যে একটু পার্থক্য রয়েছে। সিলেটের উইকেট একটু মন্থর ছিল। এই উইকেট একটু চ্যালেঞ্জিং। বাউন্স একরকম ছিল না, উঁচু নিচু হচ্ছিল। উইকেটে এখনও কিছু না কিছু হচ্ছে। সারাদিন হয়েছে, যতদিন খেলা হবে কিছু না কিছু হবে। উইকেটটি খুব ইন্টারেস্টিং। আর প্রথমেই যদি তিন উইকেট পড়ে যায়, তাহলে তো যে কেউ এমনিতেই চাপে পড়ে যায়।”

এই বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন মুমিনুল। তার পর ৮ ইনিংসের টানা ব্যর্থতা। এই সেঞ্চুরিতে আবার ফিরলেন রানে। তবে কোন জায়গাটায় ছিল গলদ, শোধরালেন কোথায়, সেই গভীরতায় যেতে চান না মুমিনুল। স্রেফ বললেন মানসিকতার কথা।

“না তেমন কোন পার্থক্য নেই (আগের ইনিংসগুলোর সঙ্গে ব্যাটিংয়ের ধরনে)। আগের পাঁচ-ছয়টা ইনিংস খেলেছিলাম, সেখানে রান করা উচিত ছিল। মাঝেমধ্যে একটু ছন্দের বাইরে চলে গিয়েছিলাম, এটাই ঠিক করার চেষ্টা করেছি। খুব একটা জানি না ভাই, হয়ে গেছে সেঞ্চুরি।”

“সত্যি বলতে, আমি খুব বেশি জটিল করার চেষ্টা করি না। ক্রিকেট যত জটিল করবেন, তত কঠিন হয়। চেষ্টা করি যে বল দেখব আর খেলব। এটাই, আর কিছু না। এসব জায়গায় মানসিকভাবেও একটু শক্ত হতে হয়। কারণ খারাপ খেললে অনেকে অনেক কথা বলে, এটাই স্বাভাবিক। আপনিও বলবেন, আমি আপনার জায়গায় গেলে আমিও বলতাম।”