তিনশ রানের স্বস্তিতে দিন শেষ বাংলাদেশের

প্রথম ঘণ্টায় তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে রেকর্ড গড়া জুটিতে পথ দেখালেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি করে ফিরে গেছেন মুমিনুল। ষষ্ঠ সেঞ্চুরিতে দলকে বড় সংগ্রহের পথে রেখেছেন মুশফিকুর রহিম। দারুণ ব্যাটিংয়ে তিনশ রানের স্বস্তিতে প্রথম দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Nov 2018, 03:08 AM
Updated : 11 Nov 2018, 10:58 AM

প্রথম দিনে বাংলাদেশের তিনশ পার

দিনের শুরুতে পেসাররা ভোগায় বাংলাদেশকে। স্বাগতিকরা দ্রুত হারায় ৩ উইকেট। শেষ বেলায় দ্বিতীয় নতুন বলে ফিরে যান দুই ব্যাটসম্যান। মাঝের সময়টায় রাজত্ব করেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। তাদের ব্যাটে প্রথম ইনিংসে দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ।

মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩০৩/৫। ১১১ রানে ব্যাট করছেন মুশফিক। নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসা মাহমুদউল্লাহ কোনো বল খেলেননি।

৪৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার কাইল জার্ভিস। একটি করে উইকেট নেন টেন্ডাই চাটারা ও ডোনাল্ড টিরিপানো। প্রথম দিন কোনো উইকেট পাননি স্পিনাররা। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ৩০৩/৫ (লিটন ৯, ইমরুল ০, মুমিনুল ১৬১, মিঠুন ০, মুশফিক ১১১*, তাইজুল ৪, মাহমুদউল্লাহ ০*; জার্ভিস ১৯-৫-৪৮-৩, চাটারা ১৮-১০-২৮-১, টিরিপানো ১৫-৩-৩৩-১, রাজা ১২-১-৬৩-০, উইলিয়ামস ৮-০-৩১-০, মাভুটা ১৬-০-৭৯-০, মাসাকাদজা ২-০-৭-০)

রিভিউ নিয়ে তাইজুলকে ফেরাল জিম্বাবুয়ে

টিকতে পারলেন না তাইজুল ইসলাম। কট বিহাইন্ডের রিভিউ নিয়ে নাইটওয়াচম্যানকে ফিরিয়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে।

কাইল জার্ভিসের অফ স্টাম্পের বাইরের বল পা বাড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তাইজুল। ঠিক মতো খেলতে পারেননি, ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে রেজিস চাকাভার গ্লাভসে। জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় জিম্বাবুয়ে। আল্ট্রাএজে মিলে ব্যাটের কানায় বল স্পর্শের প্রমাণ। ১০ বলে ৪ চার করে ফিরে যান তাইজুল।

২৯৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।

দেড়শ করে ফিরলেন মুমিনুল
 
দ্বিতীয় নতুন বলের দ্বিতীয় ওভারে ভাঙল বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেট জুটির প্রতিরোধ। টেন্ডাই চাটারা ফিরিয়ে দিলেন মুমিনুল হককে। 
 
ইনিংসের শুরু থেকে অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করে যাচ্ছিলেন বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। সেই চেষ্টায় ৯ রানে চাটারার বলে পয়েন্টে ব্রায়ান চারির হাতে জীবন পেয়েছিলেন মুমিনুল। প্রথম দিনের শেষ বেলায় শরীর থেকে অনেক দূরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে আবার পয়েন্টে ক্যাচ দেন তিনি। এবার ক্যাচ মুঠোয় নিতে ভুল করেননি চারি। 
 
২৯২ রানে বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেট হারালে ভাঙে ২৬৬ রানের জুটি। ২৪৭ বলে ১৯ চারে ১৬১ রান করেন মুমিনুল। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম।

মুমিনুলের দেড়শ
 
৯ রানে জীবন পাওয়া মুমিনুল হক সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন দারুণভাবে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো গেছেন দেড়শ রানে। ২৩৯ বলে ১৫১ রান করতে ১৭টি বাউন্ডারি হাঁকান মুমিনুল।  
 
২০১৩ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে খেলা ১৮১ টেস্টে এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ একই ভেন্যুতে এই বছরের জানুয়ারিতে
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা ১৭৬।
 

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে মুশফিকের সেঞ্চুরি
 
আরও একবার দলের বিপদে হাল ধরলেন মুশফিকুর রহিম। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি; তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ। 
 
লেগ স্পিনার ব্র্যান্ডন মাভুটার বল মিড উইকেটে পাঠিয়ে দ্রুত একটি সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান মুশফিক। ১৮৭ বলে তিন অঙ্কে যেতে এই কিপার-ব্যাটসম্যান হাঁকান ৮ বাউন্ডারি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা জুটি
 
সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন মুমিনুল হক। সেঞ্চুরির দুয়ারে মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের সেরা জুটি পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। 
 
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের সেরা জুটির রেকর্ড ছিল তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের অধিকারে। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে দুই বাঁহাতি উদ্বোধনী জুটিতে তুলেছিলেন ২২৪ রান।  
 
৭৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫২/৩। চতুর্থ উইকেটে মুমিনুল-মুশফিক জুটির রান তখন ২২৫।

মুমিনুল-মুশফিকের জুটিতে দুইশ
 
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সহজ হয়ে এসেছে ব্যাটিং। উইকেট থেকে কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না বোলাররা। সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ উইকেটে উপহার দিয়েছেন দুইশ রানের জুটি। 
 
দ্বিতীয় সেশনে দ্রুত রান তোলা দুই ব্যাটসম্যান তৃতীয় সেশনের শুরুতে নিজেদের একটু গুটিয়ে রেখেছিলেন। এক প্রান্তে স্পিনার আসার পর আবার রানের গতি বাড়িয়েছেন তারা।
 
৩৪২ বলে দুইশ ছুঁয়েছে জুটির রান। তার রান তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিল ১৮৩ বলে। পরের একশ এসেছে ১৫৯ বলে। 
 
টেস্টে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার দুইশ রানের জুটি গড়লেন মুমিনুল-মুশফিক। বছরের শুরুতে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে ২৩৬ রান তুলেছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান।

সিরিজে বাংলাদেশের সেরা সেশন

সিরিজে প্রথমবারের মতো কোনো পূর্ণ সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে নিজেদের সেরা সেশন কাটিয়েছে স্বাগতিকরা।

প্রথম সেশনে ২৬ ওভারে ৫৬ রান তুলতে তিন উইকেট হারিয়েছেল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে ৩২ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৫১ রান যোগ করেছে তারা।

লাঞ্চের পর রানের গতি বাড়ান মুমিনুল ও মুশফিক। একটু ঝুঁকি নিয়ে খেলা বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল জুটিতে অগ্রণী। শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলছেন মুশফিক। তাদের ব্যাটে প্রথম ইনিংসে দৃঢ় ভিত পেয়ে গেছে বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের পেসাররা শুরুতে ভুগিয়েছেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের। তবে স্পিনাররা তেমন কিছু করতে পারেননি। লেগ স্পিনার ব্র্যান্ডন মাভুটা, বাঁহাতি শন উইলিয়ামসকে সহজেই খেলেছেন মুমিনুল-মুশফিক। সিকান্দার রাজার অফ স্পিনে ওভার প্রতি ছয়ের বেশি রান নিয়েছেন তারা।

মুমিনুল-মুশফিকের জুটিতে রেকর্ড

 

মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে চতুর্থ উইকেটে নিজেদের সেরা জুটি পেয়েছে বাংলাদেশ। ২৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি বাঁধা এই দুই ব্যাটসম্যান অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে যোগ করেছেন ১৮১ রান।

এই উইকেটে আগের সেরা জুটিতেও ছিলেন মুমিনুল। বছরের শুরুতে চট্টগ্রামে লিটন দাসের সঙ্গে গড়েছিলেন ১৮০ রানের জুটি। চতুর্থ উইকেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের সেরা জুটি ছিল তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের ১৩২।

আট ইনিংস পর বাংলাদেশের দুইশ

আট ইনিংস পর টেস্টে দুইশ রান করতে পারল বাংলাদেশ। মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে দুইশ রানে গেছে স্বাগতিকদের সংগ্রহ। এতে দারুণ অবদান অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে দেড়শ ছাড়ানো জুটি গড়া মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের।

বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল এরই মধ্যে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। বরাবরের মতো আস্থার সঙ্গে খেলে এগিয়ে যাচ্ছেন মুশফিক।

মুমিনুলের সেঞ্চুরি

দুঃসময়ের বৃত্ত ভেঙে মুমিনুল ফিরলেন দারুণভাবে। রানে ফিরলেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি দিয়ে।

ফিফটি করতে লেগেছিল ৯২ বল। পরের পঞ্চাশে বল লাগল কেবল ৫৮টি।  সিকান্দার রাজার ফুল টসে দারুণ ফ্লিকে শতরান ছুঁলেন ১৫০ বলে।

৩১ টেস্টে এটি মুমিনুলের সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি। বাংলাদেশর হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ডে এককভাবে দুইয়ে উঠে গেলেন মোহাম্মদ আশরাফুলকে ছাড়িয়ে। আশরাফুলের ৬ সেঞ্চুরি ৬১ টেস্টে।

মুশফিকের ফিফটি

মুমিনুলের পর ফিফটি পেলেন মুশফিকও। শন উইলিয়ামসের বলে আলতো ড্রাইভে সিঙ্গেল নিয়ে পঞ্চাশ ছুঁলেন ১০০ বলে। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার ২০তম ফিফটি।

মুমিনুল-মুশফিকের জুটিতে একশ

লাঞ্চের পর রানের গতি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। স্পিনের বিপক্ষে সাবলীল মুমিনুল ও মুশফিক এগোচ্ছেন দ্রুত। তার প্রভাব পড়েছে জুটিতে। তাদের জুটির পঞ্চাশ এসেছিল ১২০ বলে , শতরান এল ১৮৩ বলে। দ্বিতীয় পঞ্চাশ এসেছে মাত্র ৬৩ বলে।

আট ইনিংস পর টেস্টে শতরানের জুটি পেল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে সব শেষ তিন অঙ্কের জুটি গড়েছিলেন মুমিনুল ও মুশফিকই।

মুমিনুলের ফিফটি

দ্রুত তিন উইকেট হরিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে টানছেন মুমিনুল হক। ৯২ বলে তুলে নিয়েছেন টেস্টে নিজের ত্রয়োদশ ফিফটি।

শন উইলিয়ামসকে কাট করে চার হাঁকিয়ে সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিফটি করেন মুমিনুল। ৯ রানে জীবন পাওয়া বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হাঁকিয়েছেন ৭টি বাউন্ডারি।

মুমিনুল-মুশফিকের জুটিতে পঞ্চাশ

 

চতুর্থ উইকেটে এসে ম্যাচের প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি পেয়েছে বাংলাদেশ। মুমিনুল হক-মুশফিকুর রহিমের জুটিতে পঞ্চাশ এসেছে ১২০ বলে।

৩ রানে ভাঙতে পারত স্বাগতিকদের চতুর্থ উইকেট জুটি। ব্রায়ান চারি ক্যাচ ধরতে না পারায় বেঁচে যান মুমিনুল। ৯ রানে জীবন পাওয়া বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এরপর থেকে খেলছেন দায়িত্ব নিয়ে। শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে ব্যাট করছেন মুশফিক।

প্রথম সেশনে বাংলাদেশের ৩ উইকেট

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। মিরপুর টেস্টের প্রথম সকালে ৩ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা।

লাঞ্চে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৫৬/৩। মুমিনুল হক ২৫ ও মুশফিকুর রহিম ১২ রানে ব্যাট করছেন। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে দুই জনে গড়েছেন ৩০ রানের জুটি।

উইকেটে সবুজ ঘাস থাকায় সকালে কিছুটা সহায়তা পেয়েছেন কাইল জার্ভিস, টেন্ডাই চাটারা ও ডোনাল্ড টিরিপানো। অফ স্টাম্পের টানা বল করে গেছেন এই তিন পেসার। জিম্বাবুয়ে পেয়েছে তার সুফল, ফিরিয়ে দিয়েছে ইমরুল কায়েস, লিটন দাস ও মোহাম্মদ মিঠুনকে।

সিলেট টেস্টের চেয়ে খুব একটা আলাদা ব্যাটিং করেনি বাংলাদেশ প্রথম সেশনে। প্রায় সবার মাঝেই ছিল সব বল খেলার চেষ্টা। মুশফিক ছাড়া আর কারও মাঝে দেখা যায়নি উইকেটে পড়ে থাকার চেষ্টা। ব্যক্তিগত ৯ রানে মুমিনুল জীবন না পেলে বাংলাদেশের বাজে শুরুটা হতে পারতো আরও খারাপ।

জীবন পেলেন মুমিনুল

বাংলাদেশের বিপদ বাড়তে পারত আরও। কিন্তু মুমিনুল  হকের ক্যাচ নিতে পারেননি ব্রায়ান চারি।

সুযোগটি যদিও কঠিন ছিল বেশ। টেন্ডাই চাটারার বলে কাট করেছিলেন মুমিনুল। বল দ্রুতগতিতে ছুটছিল পয়েন্ট ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে। ব্রায়ান চারি বলে হাত ছোঁয়ালেও জমাতে পারেননি মুঠোয়। মুমিনুল বেঁচে গেলেন ৯ রানে।

অভিষেকে মিঠুনের শূন্য

বাজে এক শটে টেস্টে অভিষেকে শূন্য রানে ফিরলেন মোহাম্মদ মিঠুন। একাদশে ফেরা পেসার ডোনাল্ড টিরিপানোর অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে মাঝ ব্যাটে খেলতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ব্যাটের কানায় লেগে দ্বিতীয় স্লিপে ধরা পড়েন ব্রেন্ডন টেইলরের হাতে।

২৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ক্রিজে মুমিনুল হকের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।

আলগা শটে লিটনের বিদায়

শুরুটা সাবধানে পার করলেও লিটন আউট হলেন আলগা শটে। বাংলাদেশ হারাল আরেক ওপেনারকেও। কাইল জার্ভিস ধরলেন দ্বিতীয় শিকার।

লেগ-মিডলে থাকা বলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি লিটন। প্রিয় ফ্লিক শট খেললেন একটু শক্ত হাতে। বল সোজা চলে গেল মিড উইকেটে ব্র্যান্ডন মাভুটার হাতে।

সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসের মতো এবারও লিটন ফিরলেন ঠিক ৯ রানে। বাংলাদেশ ২ উইকেটে ১৬।

নড়বড়ে ইমরুলকে ফেরালেন জার্ভিস

 

শুরুতেই ভেঙেছে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। ইমরুল কায়েসকে ফিরিয়ে দিয়েছেন কাইল জার্ভিস।

১৬ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি বাঁহাতি ওপেনার। ভুগছিলেন শুরু থেকেই। মাঝ ব্যাটে খেলতে পারছিলেন খুব কমই। ক্রিজে আধ ঘণ্টা কাটিয়েও হতে পারেননি স্বচ্ছন্দ।  স্টাম্পের বল ডিফেন্স করতে গিয়ে ক্যাচ দেন কিপারকে। ঝাঁপিয়ে বল গ্লাভসে নেন রেজিস চাকভা।

১৩ রানে বাংলাদেশ হারায় প্রথম উইকেট। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী মুমিনুল হক।

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন লিটন

তৃতীয় ওভারে কাইল জার্ভিসের বলে লিটন দাসের খোঁচা একটুর জন্য ব্যাটের কানায় লাগেনি। তবে বোলার-ফিল্ডারদের কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদনে একটু সময় নিয়ে সাড়া দেন আম্পায়ার। সাথে সাথেই রিভিউ নেন লিটন।

রিপ্লেতে বোঝা যায় বলে লাগেনি ব্যাট, নিশ্চিত করে আল্ট্রাএজও। পাল্টায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত, বেঁচে যান লিটন। সে সময় শূন্য রানে ছিলেন ডান হাতি এই ওপেনার।

বাংলাদেশ দলে তিন পরিবর্তন

 

সিলেটে ১৫১ রানে হারা বাংলাদেশ দলে এসেছে তিনটি পরিবর্তন। অভিষেক হচ্ছে সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও মোহাম্মদ মিঠুনের। একাদশে ফিরেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন বাঁহাতি এই পেসার।

বাদ পড়েছেন পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী, বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু।

প্রথম টেস্টে এক পেসার নিয়ে খেলা বাংলাদেশ ফিরেছে দুই পেসারে। মুস্তাফিজের সঙ্গী অভিষিক্ত খালেদ। স্পিন আক্রমণে আগের ম্যাচে ১১ উইকেট নেওয়া তাইজুল ইসলামের সঙ্গী অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।

বাংলাদেশ: মাহমুদউল্লাহ, ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, আরিফুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, মুস্তাফিজুর রহমান।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ  নিয়েছেন ব্যাটিং।

‘১২০ ভাগ’ দিয়ে ফিরে আসার প্রত্যয় বাংলাদেশের

সিলেট টেস্টে অভাবনীয় জয়ে এগিয়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ের চোখে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন। ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে তাদের বিপক্ষে সিরিজে হার এড়াতে প্রাণপণে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেন মাহমুদউল্লাহ। বাঁচা-মরার লড়াই ১২০ ভাগ দিয়ে খেলার প্রত্যয় শোনালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে সকাল সাড়ে নয়টায়।

সিরিজ শুরুর আগে যা ছিল আবহ, তাতে এই টেস্ট হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের ম্যাচ। কিন্তু সিলেটের অভিষেক টেস্ট বদলে দিয়েছে সব হিসাব। বাংলাদেশের সামনেই এখন হোয়াইটওয়াশড হওয়ার শঙ্কা। সিরিজ বাঁচাতে জয়ের বিকল্প নেই। সিলেট টেস্টের ভুল সংশোধন করে মিরপুরে জয়ের সন্ধানে স্টিভ রোডসের শিষ্যরা।