২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। আগামী রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে নিজেদের ১১০তম টেস্টে খেলতে নামবে তারা। দেড় যুগে বাংলাদেশ জিতেছে ১০ ম্যাচে, হেরেছে ৮৩ ম্যাচে, ড্র করেছে ১৬ ম্যাচে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে পিছন দিকে তাকিয়ে টেস্টে বাংলাদেশের দেড় যুগের মূল্যায়ন করলেন মাহমুদউল্লাহ। দেখালেন উন্নতির পথ।
“যদি ফলাফলের দিক থেকে দেখেন, তাহলে হয়তো প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি। টেস্ট ক্রিকেট আপনাকে খেলতে থাকতে হবে, তারপর আপনি ফলাফল পাবেন।”
“অন্য ফরম্যাটে আমরা যেভাবে ভালো খেলছি, ছন্দ ধরতে পেরেছি, টেস্টে হয়তো সেটা ধরতে পারছি না। টেস্টে কিছু ম্যাচে আমরা ভালো করেছি, কিছু ম্যাচে আবার বাজে খেলেছি। এটা থেকে বের হওয়া দরকার... আমাদের বের হতেই হবে। যে কোনো ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের তিন বিভাগেই সুশৃঙ্খল হতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে আপনাকে ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভালো জুটি গড়তে হবে। তাহলে ফল আপনার পক্ষে আসবেই।”
১৪৩ ও ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে জিম্বাবুয়ের কাছে প্রথম টেস্ট ১৫১ রানে হারে বাংলাদেশ। টেস্টে প্রত্যাশিত অগ্রগতি না হওয়ায় কিংবা জিম্বাবুয়ের কাছে অমন হারের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো দায় দেখেন না মাহমুদউল্লাহ।
“সদ্য সমাপ্ত জাতীয় লিগে আমার মনে হয়, ব্যাটসম্যানরা সবাই কম বেশি রান করছে। বোলাররাও উইকেট পেয়েছে। আমার মতে, জাতীয় লিগে ভালো ক্রিকেটই হয়েছে। যে কোনো জায়গাতেই কিন্তু সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি করা কঠিন।... জাতীয় লিগে ব্যাটসম্যান, বোলার সবাই ভালো করছে তাই টেস্টের ব্যর্থতার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের অজুহাত দেওয়া যাবে না।”
“আমরা টেস্ট ক্রিকেটের ধাঁচ কখনও ধরতে পারি কখনও পারি না। যখন ধরতে পারি তখন তখন খুব ভালো ছন্দে থাকি। আবার যখন এদিক-সেদিক হয় তখন আমরা নিজেদের গুটিয়ে ফেলি। সামনের দিকে এগোতে এই বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। আর অগ্রগতির প্রশ্নে একটাই উত্তর, সেটি হল ধারাবাহিকতা। ধারাবাহিকভাবে আমাদের পারফর্ম করতে হবে।”