এনামুল জুনিয়রের ছোবল সামলে প্রথম ইনিংসে ১০৮ রানের লিড নেয় ঢাকা। ৪ উইকেটে ২৩৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করা নাদিফ চৌধুরীর দল থামে ৩৪৬ রানে। জবাবে ৪ উইকেটে ১০২ রানে দিন শেষ করেছে সিলেট।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অ্যাকাডেমি মাঠে বুধবার এনামুল জুনিয়রের বাঁহাতি স্পিনে শুরুতেই এলোমেলো হয়ে যায় ঢাকা। কোনো রান যোগ করার আগেই দিনের প্রথম ওভারের শেষ তিন বলে ফিরে যান তাইবুর রহমান, আব্দুল মজিদ ও নাজমুল হোসেন মিলন।
তাইবুর ও নাজমুলকে বোল্ড করে দেন এনামুল। আগের দিন সেঞ্চুরির পর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়া মজিদ হন কট বিহাইন্ড। বেশিক্ষণ টেকেননি নাদিফ ও মাহবুবুল আলম। ২৮০ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা।
সেখান থেকে দলকে একশ রানের ওপরে লিড এনে দেন মোশাররফ হোসেন ও শাহাদাত হোসেন। দশম উইকেটে দুই জনে যোগ করেন ৬৬ রান। ৩ চার ও ১ ছক্বায় ৫০ রান করা মোশাররফকে বোল্ড করে ঢাকাকে থামান নাবিল সামাদ।
৮৭ রানে ৫ উইকেট নেন এনামুল জুনিয়র। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এনিয়ে ৩৪বার পাঁচ উইকেট পেলেন তিনি। রাজ্জাকও পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ৩৪বার। এগিয়ে যাওয়া আর ধরে ফেলার এই লড়াই তাদের মধ্যে চলছে অনেক দিন ধরেই।
আবার ব্যর্থ সিলেটের টপ অর্ডার। প্রথম তিন ব্যাটসম্যান ফিরে যান মাত্র ২২ রানে। ইমতিয়াজ হোসেনের পর জাকির হাসানের উইকেট তুলে নেন শাহাদাত। ফিরতি ক্যাচ নিয়ে শানাজ আহমেদকে ফেরান তাইবুর।
শেষবারের মতো আবার জুটি বাঁধেন অনেক লড়াইয়ের দুই যোদ্ধা অলক কাপালী ও রাজিন। দুই জনে যোগ করেন ৭৬ রান। কাপালীকে ফিরিয়ে সিলেটের প্রতিরোধ ভাঙেন শুভাগত হোম।
বাকি সময়টা এনামুল জুনিয়রকে নিয়ে কাটিয়ে দেন রাজিন। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে নিজের সবশেষ ইনিংসে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান অপরাজিত ৪০ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট ১ম ইনিংস: ২৩৮
ঢাকা ১ম ইনিংস: (দ্বিতীয় দিন শেষে ২৩৬/৪) ১১৪.৫ ওভারে ৩৪৬ (মজিদ ১০৪, তাইবুর ১৫, নাদিফ ২৮, নাজমুল ০, মোশাররফ ৫০, মাহবুবুল ২, শাহাদাত ৩৪*; ইমরান ১/৪২, নাবিল ১/৫৪, ইবাদত ২/৫৯, এনামুল জুনিয়র ৫/৮৭, শাহানুর ১/৯৭)
সিলেট ২য় ইনিংস: ৪৯ ওভারে ১০২/৪ (ইমতিয়াজ ৮, শানাজ ১২, জাকির ০, রাজিন ৪০*, কাপালী ৩৯, এনামুল জুনিয়র ২*; শাহাদাত ২/১৯, মোশাররফ ০/১৫ তাইবুর ১/২৮, সাইফ ০/১৪, শুভাগত ১/২৬)