শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টের প্রথম দিন শেষে মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের রান ৭ উইকেটে ৩২১।
এক পর্যায়ে ১০৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। সাত নম্বরে উইকেটে গিয়ে ৮৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে টেনে নিয়েছেন ফোকস। তার সামনে হাতছানি অভিষেকে সেঞ্চুরির।
১৯ বছরের ক্যারিয়ারে শেষ টেস্ট খেলতে নামা হেরাথকে ‘গার্ড অব অনার’ দিয়ে শুরু হয়েছিল টেস্ট। ইংল্যান্ড ক্রিকেটেও এটি ছিল নতুন একটি শুরুর মতো। এক যুগ অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকা অ্যালেস্টার কুকের অবসরের পর প্রথম টেস্ট। ১২৩ টেস্টের অভিজ্ঞ স্টুয়ার্ট ব্রড একাদশের বাইরে তিন স্পিনার নিয়ে খেলায়।
একমাত্র পেসার সুরাঙ্গা লাকমলের সৌজন্যে লঙ্কানদের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। কুকের জায়গায় সুযোগ পাওয়া ওপেনার ররি বার্নস অভিষেক ইনিংসে করেছেন ৯ রান। তাকে ফেরানোর পরের বলে মইন আলিকেও ফেরান লাকমল।
৩৫ রানে রুটকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন হেরাথ। গলে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে স্পর্শ করেন শততম উইকেট।
আরেক পাশে জ্বলে ওঠেন দিলরুয়ান পেরেরা। ৪৬ রানে জেনিংসকে থামান এই অফ স্পিনার। ৭ রানে ফিরিয়ে দেন বেন স্টোকসকেও।
১০৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে ইংল্যান্ড। কিন্তু পরের তিন জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। তিন জুটিরই প্রাণ ছিলেন ফোকস।
ষষ্ঠ উইকেটে জস বাটলারের সঙ্গে ফোকসের জুটি ৬৪ রানের। বাটলারের সম্ভাবনাময় ইনিংস ৩৮ রানে থামান পেরেরা।
এরপরই ইংল্যান্ড পায় দিনের সেরা জুটি। ভারতের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজ জয়ে ব্যাট হাতে বড় অবদান রাখা স্যাম কারান আবারও দলের প্রয়োজন দাঁড়িয়ে যান ব্যাট হাতে। সপ্তম উইকেট জুটিতে আসে ৮৮ রান।
৩ ছক্কায় ৪৮ রান করা কারানকে ফিফটির আগে ফিরিয়ে দেন আকিলা দনাঞ্জয়া। শ্রীলঙ্কার যন্ত্রণা তাতে শেষ হয়নি। অষ্টম উইকেটে আদিল রশিদের সঙ্গে ফোকস গড়েন ৫৪ রানের জুটি।
৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রান করা রশিদকে শেষ বিকেলে আউট করেন পেরেরা। কিন্তু ফোকসকে ফেরানো যায়নি। দিন শেষ করেছেন ১৮৪ বলে ৮৭ রানে। চার ছিল কেবল ৬টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৯১ ওভারে ৩২১/৮ (বার্নস ৯, জেনিংস ৪৬, মইন ০, রুট ৩৫, স্টোকস ৭, বাটলার ৩৮, ফোকস ৮৭*, কারান ৪৮, রশিদ ৩৫, লিচ ১৪*; লাকমল ২/৫৭, দিলরুয়ান ৪/৭০, দনাঞ্জয়া ১/৯৬, হেরাথ ১/৭৮, ধনাঞ্জয়া ০/১৮)।