এভাবে টেস্ট খেলার মানে দেখছেন না অধিনায়ক

একের পর এক টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতা। বারবার দুইশর নিচে আটকে যাওয়া। একই ভুলের চক্রে ঘুরপাক খাওয়া। এভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলে যাওয়ার কোনো মানে দেখছেন না মাহমুদউল্লাহ। অনুভব করছেন ভাবমূর্তির সঙ্কট। বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত টেস্ট অধিনায়ক প্রয়োজন দেখছেন দৃঢ়ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2018, 10:32 AM
Updated : 6 Nov 2018, 03:37 PM

চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনীতে সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের কাছে বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। এই টেস্টের আগে ছয় ইনিংসে দুইশর নিচে থমকে গিয়েছিল দলের ইনিংস। এবার দেশের মাটিতে আপাত সহজ উইকেটে প্রতিপক্ষের বোলিং ছিল ধারহীন। এরপরও দুই ইনিংসে বাংলাদেশের রান ১৪৩ ও ১৬৯।
 
সিলেটে ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিংয়ে হেলাফেলার মানসিকতার প্রতিফলন পড়েছে। প্রথম ইনিংসের ভুল শোধারানোর কোনো তাগিদ দেখা যায়নি দ্বিতীয় ইনিংসে। এতে প্রশ্ন উঠছে, আসলেই টেস্ট ক্রিকেটকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখেন ক্রিকেটাররা।
 
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ দাবি করলেন, গুরুত্বের কমতি তাদের দিক থেকে নেই। তবে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে কোথাও। সেটিই নিয়েই ভাবতে সতীর্থদের কড়া বার্তা দিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক।
 
“উই ডু কেয়ার অ্যাবাউট টেস্ট ক্রিকেট। আমরা হয়তো বেশ কয়েকটি ইনিংস, পাঁচ-ছয়টি (টানা আট) ইনিংসে রান করতে পারিনি। দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারিনি। বোলাররা যথেষ্ট ভাল বোলিং করেছে। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে ফেলছে। ব্যাটসম্যানরা ভাল করছে না। ওয়ানডে ফরম্যাটে ভাল ছন্দে আছে। কিন্তু ওই ডিসিপ্লিন হয়তো আমরা টেস্ট ক্রিকেটে নিতে পারছি না।”
 
“অবশ্যই এটা চিন্তার বিষয়। আমাদের এটা খুব ভালোভাবে চিন্তা করতে হবে। কারণ এভাবে ব্যাট করতে থাকলে মনে হয় না আমরা টেস্ট ক্রিকেটে কোনো অবস্থানে থাকব। এটা আমাদের ইমেজেরও ইস্যু। আমাদের অবশ্যই শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। অন্যথায়, এভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলার কোনো মানে হয় না।” 
 
সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান করতে পারেননি ফিফটি। দুই ইনিংসে একটি ফিফটি জুটি ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি কেবল ৩০ রানের। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের একজনও দুই ইনিংসে আউট হননি খুব ভালো বলে।