মোহরের সঙ্গে জ্বলে উঠেছেন এ দিন দুই সতীর্থ পেসার শফিকুল ইসলাম ও ফরহাদ রেজাও। রাজশাহীতে জাতীয় লিগের প্রথম স্তরে শেষ রাউন্ডের ম্যাচে বরিশাল গুটিয়ে গেছে ৯৭ রানেই।
ব্যাটিংয়ে নেমে খুব ভালো করতে পারেনি রাজশাহীও। তবে লিড তারা পেয়ে গেছে। ১২৪ রান তুলেছে ৬ উইকেট হারিয়ে। সোমবার ম্যাচের প্রথম দিনেই শিরোপা প্রত্যাশীরা এগিয়ে গেছে ২৭ রানে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশালকে শুরুতে কাঁপিয়ে দেন বাঁহাতি পেসার শফিকুল। নিজের প্রথম চার ওভারের মধ্যে ফিরিয়ে দেন শাহরিয়ার নাফিস, সালমান হোসেন ও ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে। বরিশালের রান তখন ৩ উইকেটে ১৬।
আল আমিন ও মোসাদ্দেক হোসেনের জুটিতে বরিশাল চেষ্টা করেছিল ঘুরে দাঁড়াতে। কিন্তু এবার ছোবল দেন মোহর। ২২ রান করা মোসাদ্দেককে ফেরান ২১ বছর বয়সী এই পেসার। পরে বোল্ড করে দেন ২৫ রান করা আল আমিনকে।
বরিশালের প্রথম ১০ ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন এই দুইজনই। ৭৫ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে একশর কাছে নিয়ে যান শেষ ব্যাটসম্যান তানভির ইসলাম।
ব্যাটিংয়ের শুরুটা রাজশাহীও খুব ভালো করতে পারেনি। প্রথম ৩ উইকেট হারায় তারা ৪৬ রানে। তবে অভিজ্ঞ জুনায়েদ সিদ্দিক এক প্রান্তে টিকে এগিয়ে নেন রাজশাহীকে। বোলারদের দিনেও দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দেন লিড।
বরিশালের বোলিংয়ে শুধু পেসাররা নয়, উইকেট শিকারে সামিল ছিলেন স্পিনাররাও। তবে জুনায়েদের সঙ্গে পেরে ওঠেননি কেউই। ১১ চারে ৭২ রানে অপরাজিত থাকা ব্যাটসম্যানের ওপরই এখন রাজশাহীর লিড বড় করার ভার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বরিশাল ১ম ইনিংস: ৩৮.২ ওভারে ৯৭ (শাহরিয়ার ৮, সালমান ১, ফজলে মাহমুদ ১, আল আমিন ২৫, মোসাদ্দেক ২২, নুরুজ্জামান ০, শামসুল ৩, সোহাগ ৫, কামরুল রাব্বি ৩, মনির ৭, তানভির ১৭*; ফরহাদ রেজা ২/৪২, শফিকুল ৩/২০, মোহর ৫/২০, মুক্তার ০/৯)।
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ৪৪ ওভারে ১২৪/৬ ( সাব্বির হোসেন ১১, মিজানুর ০, জুনায়েদ ৭২*, ফরহাদ হোসেন ৩*, জহুরুল ২৫, সাব্বির ০, সানজামুল ৫, ফরহাদ রেজা ৩*; কামরুল রাব্বি ২/৪৬, তানভির ১/১৮, মোসাদ্দেক ০/১৬, নুরুজ্জামান ০/১০, সোহাগ ১/২৪, মনির ২/৮)।