২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সেন্ট ভিনসেন্ট টেস্টে তাইজুলের অভিষেক। সেই টেস্টে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। এরপর থেকে দেশের বাইরে ততটা উজ্জ্বল না হলেও দেশের মাটিতে তিনি অপরিহার্য। এই ম্যাচ নিয়ে ২০ টেস্টে তার উইকেট এখন ৮০টি।
এই ম্যাচের ১১ উইকেটের পথে তাইজুল পেছনে ফেলেছেন সাকিব আল হাসানকে। ম্যাচটিতে সাকিবও খেললে হয়তো দুজনের মধুর লড়াই জমজমাট হতো আরও। তবে চোটের কারণে নেই সাকিব, তাকে পেরিয়ে গেলেন তাইজুল। এই সময়ে ১৯ টেস্ট খেলে সাকিবের উইকেট ৭৪টি।
এই সময়ে ১৫ টেস্ট খেলে মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছেন ৬১ উইকেট। ১০ টেস্ট খেলে মুস্তাফিজুর রহমানের উইকেট ২৬টি।
এই এগিয়ে যাওয়া আর পেছনে ফেলার লড়াই হয়তো চলবেই দুজনের। তবে তাইজুল বেশি তৃপ্তি পাবেন আরেকটি জায়গায়। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার পেলেন ম্যাচে ১০ উইকেটের স্বাদ। এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ২০১৪ সালে ৩৯ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল। তবে সেবার প্রথম ইনিংসে উইকেট নিয়েছিলেন কেবল একটি।
তার চেয়ে ভালো বোলিং ফিগার দুই স্পিনারের। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ২০০ রানে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়ার। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুরে মিরাজ ১২ উইকেট নিয়েছিলেন ১৫৯ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে এক টেস্টে ১০ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন আর কেবল একজনই। তবে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তিনি সেই কীর্তি গড়েছেন দুইবার। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২৪ রানে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। পাশাপাশি সেই ম্যাচে করেছিলেন সেঞ্চুরি। এরপর গত বছর অস্ট্রেলিয়াকে হারানো টেস্টে সাকিব ১০ উইকেট নিয়েছিলেন ১৫৩ রানে।
তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগারের ম্যাচ দিয়ে তাইজুল হয়ে গেছেন টেস্টে বাংলাদেশের তৃতীয় সফলতম বোলার। পেরিয়ে গেছেন ৭৮ উইকেট নেওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। তাইজুলের ওপরে আছেন ১০০ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করা মোহাম্মদ রফিক। আর বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে দুইশ উইকেট নেওয়ার খুব কাছে থাকা সাকিব। ৫৩ টেস্টে এই অলরাউন্ডারের উইকেট ১৯৬টি।