ম্যাচের প্রথম দিনে এক কিশোর দর্শক গ্যালারির সামনের নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে ঢুকে গিয়েছিল মাঠে। কোনো নিরাপত্তাকর্মী ছিল না দেখার জন্য কিংবা থামানোর জন্য। এই দর্শক গিয়ে মুশফিককে জড়িয়ে ধরার বেশ কিছুক্ষণ পর নিরাপত্তকর্মীরা গিয়ে সরিয়ে নেয় তাকে। সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিনে একই গ্যালারি থেকে মাঠে ঢুকল আরেক দর্শক।
প্রথম দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী বলেছিলেন, হুট করে একজন দর্শককে জড়িয়ে ধরতে দেখে মুশফিকুর প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন শুরুতে। পরে সামলে নেন। তৃতীয় দিনেও মুশফিক শুরুতে চমকে যান। পরে দর্শক জড়িয়ে ধরার সময় তার মুখে ছিল হাসি। কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থার যে ফাঁক, সেটি হালকা করে নেওয়ার জো নেই।
বিসিবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হোসেন ইমাম স্বীকার করে নিলেন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতির কথা।
“নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কিছুটা ঘাটতি ছিল, বলতেই হবে। বিসিবির নিরাপত্তাকর্মী আমরা মাত্র ২০ জন, পুরো মাঠ নিরাপদ রাখা সম্ভব নয়। ব্যাপারগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। আমার মনে হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের কাজ ঠিকভাবে করতে পারছে না।”
এই স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা বেষ্টনী খুব উঁচু নয়। সহজেই গ্রিল বেয়ে টপকে মাঠে ঢুকে পড়া যায়। এই বেষ্টনী নিয়েও নতুন করে ভাবার অবকাশ দেখছে বিসিবি।
প্রথম দিনের ঘটনার পর পুলিশ সদস্যদের গ্যালারির দিকে মুখ করে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় মাঠের সব প্রান্তে। দ্বিতীয় দিনেও একটা সময় পর্যন্ত সেটি দেখা গিয়েছে। কিন্তু তৃতীয় দিনে আবার নিরাপত্তা ছিল ঢিলেঢালা। এই সুযোগই নিয়েছে ওই দর্শক।
মাঠে ঢুকে যাওয়া ওই দর্শককে পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রথম দিনের কিশোর দর্শককেও পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর ছেড়ে দেওয়া হয়।