রেকর্ড গড়ে জিততে হবে বাংলাদেশকে

সিলেট টেস্ট জিততে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। সেই লক্ষ্যে দলকে সতর্ক শুরু এনে দিয়েছেন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2018, 04:08 AM
Updated : 5 Nov 2018, 10:49 AM

বাংলাদেশের সতর্ক শুরু
 
৩২১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে সতর্ক শুরু করে বাংলাদেশ। বল ছাড়ার দিকে মনোযোগী ছিলেন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস, লিটন দাস। 
 
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬/০। লিটন ১৪ ও ইমরুল ১২ রানে ব্যাট করছেন।
 
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
 
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৮২
 
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৪৩
 
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ১৮১ 
 
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩২১) ১০.১ ওভারে ২৬/০ (লিটন ১৪*, ইমরুল ১২*; জার্ভিস ৫-২-১১-০, চাটারা ৫-১-১৫-০, রাজা ০.১-০-০-০)
 
আলোকস্বল্পতায় আগেভাগেই শেষ দিন
 
সকাল থেকেই আকাশ মেঘে ঢাকা। বেলা তিনটা থেকে খেলা চলে ফ্লাড লাইট জ্বালিয়ে। আলোকস্বল্পতার জন্য বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। তখনও দিনের খেলা বাকি ছিল ১৩.৫ ওভার। ১০ মিনিট অপেক্ষার পর তৃতীয় দিনের খেলার সমাপ্তি টানেন দুই আম্পায়ার। 
 
চতুর্থ দিন খেলা শুরু হবে নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা আগে, সকাল সাড়ে নয়টায়।

জিততে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে

সিলেট টেস্ট জিততে ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে এত রান তাড়া করে জিতেনি কোনো দল। বাংলাদেশও টেস্টে এত বড় লক্ষ্য তাড়া করে জিততে পারেনি।

বাংলাদেশের রেকর্ড ২১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিল তারা।

বাংলাদেশে সর্বোচ্চ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নিউ জিল্যান্ডের অধিকারে। ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে তারা জিতেছিল ৩১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
 
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৮২
 
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৪৩
 
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ৬৫.৪ ওভারে ১৮১ (হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ৪৮, চারি ৪, টেইলর ২৪, উইলিয়ামস ২০, রাজা ২৫, মুর ০, চাকাভা ২০, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১৭, মাভুটা ৬, জার্ভিস ১*, চাটারা ৮; তাইজুল ২৮.৪-৮-৬২-৫, অপু ৬-১-২৭-২, আবু জায়েদ ৭-১-২৫-০, মিরাজ ১৯-৭-৪৮-৩, মাহমুদউল্লাহ ৪-১-৭-০, মুমিনুল ১-০-৪-০ )

তাইজুলের ৫ উইকেটে ১৮১ রানে থামল জিম্বাবুয়ে

ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো কোনো টেস্টের দুই ইনিংসেই পাঁচ উইকেট নিলেন তাইজুল ইসলাম। টানা দুটি চার হাঁকানো টেন্ডাই চাটারাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে জিম্বাবুয়েকে ১৮১ রানে থামিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার।

স্টাম্প সোজা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি চাটারা। প্যাডে লাগলে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেন জিম্বাবুয়ের ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান তবে পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত।

প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া তাইজুল দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নেন ৬২ রানে। ১৭০ রানে ১১ উইকেট টেস্টে বাংলাদেশের তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগার।

অপুর দ্বিতীয় শিকার মাভুটা

রেজিস চাকাভার পর ব্র্যান্ডন মাভুটাকে ফিরিয়ে দিলেন নাজমুল ইসলাম অপু। বাজে শটে আরও একটি উইকেট হারাল জিম্বাবুয়ে।

জায়গা করে নিয়ে অপুর বাঁহাতি স্পিন ছক্কায় উড়াতে চেয়েছিলেন অভিষিক্ত মাভুটা। টাইমিং করতে পারেননি লং অফে সহজ ক্যাচ দেন তিনি। ১৭৩ রানে নবম উইকেট হারাল জিম্বাবুয়ে।

চাকাভাকে ফেরালেন অপু

বাজে শটে ফিরে গেলেন রেজিস চাকাভা। নাজমুল ইসলাম অপুর হাফ ভলি বলে ফিরে গেলেন কাভারে ক্যাচ দিয়ে।

অফ স্টাম্পের একটু বাইরের বল ড্রাইভ করেছিলেন চাকাভা। মাটিতে রাখতে পারেননি শট। ক্যাচ মুঠোয় জমান মাহমুদউল্লাহ। ১৭২ রানে অষ্টম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।

৬৫ বলে চাকাভা করেন ২০। জিম্বাবুয়ের লিড তখন ৩১১।

ওয়েলিংটনকে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙলেন মিরাজ

চা-বিরতির পর প্রথম ওভারে আঘাত হেনেছেন মেহেদী হাসান। অফ স্পিনে ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে ফিরিয়ে ভেঙেছেন জিম্বাবুয়ের প্রতিরোধ।

মিরাজের স্লাইডার জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি ওয়েলিংটন। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দিলে রিভিউ নেন। তবে পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত, সপ্তম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ভাঙে ৩৫ রানের জুটি।  

অভিষিক্ত ওয়েলিংটন ফিরেন ১৭ রানে। তার বিদায়ের সময় জিম্বাবুয়ে ৩০৪ রানে এগিয়ে।

তিনশ রানের লিড নিয়ে চা-বিরতিতে জিম্বাবুয়ে

দ্বিতীয় সেশনে ৪ উইকেট তুলে নিল বাংলাদেশ, কিন্তু ৭৪ রান যোগ করে জিম্বাবুয়ে লিড ছাড়িয়েছে তিনশ। জমে গেছে রেজিস চাকাভার সঙ্গে অভিষিক্ত ওয়েলিংটন মাসাকাদজার জুটি।

চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৬৫/৬। চাকাভা ১৯ ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১৭ রানে ব্যাট করছেন। এরই মধ্যে গড়েছেন ৩৫ রানের জুটি। প্রথম ইনিংসে ১৩৯ রানের লিড নেওয়া জিম্বাবুয়ে এগিয়ে গেছে ৩০৪ রানে।

লাঞ্চের পর আত্মঘাতী শটে ফিরে যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও শন উইলিয়ামস। পিটার মুরকে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ দেন তাইজুল ইসলাম। সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেট নেন বাঁহাতি এই স্পিনার।

তাইজুলের ক্যারিয়ারের প্রথম ১০ উইকেট

ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো কোনো টেস্টে ১০ উইকেট নিলেন তাইজুল ইসলাম। সিকান্দার রাজাকে বোল্ড করে আশা জাগালেন লক্ষ্যটা তিনশ রানের নিচে রাখার।

আগের ওভারের শেষ দুই বলে উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল। পরের ওভারের প্রথম বল ডিফেন্স করে বাঁহাতি স্পিনারের হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেন রাজা। এক বল পরেই তার উইকেট তুলে নেন ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা বোলার। স্টাম্প সোজা বল সরে গিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান রাজা।

প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেন তাইজুল। দ্বিতীয় ইনিংসে রাজা তার চতুর্থ শিকার।

৩০ বলে তিন চার আর ১ ছক্কায় রাজা করেন ২৫ রান। ১৩০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। সফরকারীদের লিড ২৬৯।

মুরকেও ফেরালেন  তাইজুল

পরপর দুই বলে উইকেট নিলেন তাইজুল ইসলাম। শন উইলিয়ামসকে বোল্ড করার পর পিটার মুরকে দিলেন গোল্ডেন ডাকের স্বাদ।

প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ২৮২ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ায় বড় অবদান ছিল মুরের। অপরাজিত ছিলেন ৬৩ রানে। এবার টিকলেন কেবল এক বল। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে সিলি মিড অফে সহজ ক্যাচ দেন লিটন দাসকে।

দ্বিতীয় ইনিংসে এটি তাইজুলের তৃতীয় উইকেট, ম্যাচের নবম।

উইলিয়ামসও হলেন আত্মঘাতী

হ্যামিল্টন মাসাকাদজার পর উইকেট বিলিয়ে এলেন শন উইলিয়ামসও। তাইজুল ইসলামকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ফিরলেন বোল্ড হয়ে।

প্রথম ইনিংসে ৮৮ রান করা উইলিয়ামস এবারও খেলছিলেন আস্থার সঙ্গে। হঠাৎ করেই বাঁহাতি স্পিনারের স্টাম্পের বল করতে গেলেন রিভার্স সুইপ। ব্যাটে খেলতে পারলেন না, বল আঘাত হানল স্টাম্পে।

১২৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল জিম্বাবুয়ে।

আত্মঘাতী মাসাকাদজা

যেভাবে খেলছিলেন, মাসাকাদজাকে আউট করার উপায়ই পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। কিন্তু উইকেট নিজেই উপহার দিয়ে ফিরলেন জিস্বাবুয়ে অধিনায়ক।

দারুণ ব্যাট করার মাঝেই হুট করে মেহেদী হাসান মিরাজকে রিভার্স সুইপ করতে গেলেন মাসাকাদজা। কিন্তু লাইন মিস করেন পুরোপুরি। বল লাগে পায়ে, এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দিতে খুব সময় নেননি আম্পায়ার।

প্রথম ইনিংসে পঞ্চাশের দুই বেশি করে ফিরেছিলেন মাসাকাদজা। এবার ফিরলেন পঞ্চাশ থেকে দুই রান পেছনে। ভাঙল ৫৪ রানের জুটি। ৩ উইকেটে জিম্বুয়ের রান ১০১। লিড ২৪০ রানের।

জুটির ফিফটি

তাইজুল ইসলামের বলে মাসাকাদজার বাউন্ডারি, ওই শটেই হলো দলের শতরান আর জুটির অর্ধশত। তৃতীয় উইকেটে শন উইলিয়ামসকে নিয়ে মাসাকাদজা গড়লেন এই জুটি।

জিম্বাবুয়ের সেরা সেশন

প্রথম সেশনে অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে জিম্বাবুয়েকে দেড়শ রানে থামানোর আশা। বাংলাদেশ তুলে নিতে পেরেছে কেবল দুটি উইকেট, সফরকারীরা যোগ করেছে ৯০ রান।

লাঞ্চে যাওয়ার সময় জিম্বাবুয়ের স্কোর ৯১/২। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ৩৯ ও শন উইলিয়ামস ১৬ রানে ব্যাট করছেন। জিম্বাবুয়ে এগিয়ে আছে ২৩০ রানে।

শুরুতে ব্রায়ান চারিকে ফিরিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরে দ্রুত রান তোলা ব্রেন্ডন টেইলরকে থামান তাইজুল ইসলাম।

তৃতীয় দিনের সকালের উইকেট স্পিনারদের জন্য নেই বাড়তি টার্ন। অল্প কিছু বলে দেখা গেছে অসমান বাউন্স। স্বাগতিকদের বোলিংয়ে ছিল না তেমন কোনো ধার। সুযোগ কাজে লাগিয়ে চলতি টেস্টে এক সেশনে সর্বোচ্চ ৯০ রান তুলে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। আগের সর্বোচ্চ ছিল প্রথম দিনের তৃতীয় সেশনে সফরকারীদেরই ৮৭ রান।

ইমরুলের দারুণ ক্যাচে ফিরলেন টেইলর

অতি রোমাঞ্চপ্রিয়তার খেসারত দিতে হলো ব্রেন্ডন টেইলরকে। সম্ভাবনাময় ইনিংসটি শেষ হলো ইমরুল কায়েসের দারুণ ক্যাচে।

উইকেটে যাওয়ার পর থেকেই আগ্রাসী খেলে রানের গতিতে দম দিয়েছিলেন টেইলর। সেই চেষ্টাতেই উড়িয়ে মেরেছিলেন তাইজুল ইসলামকে। মিড অফ থেকে অনেকটা দৌড়ে, পুরোটা সময় বলের দিকে চোখ রেখে দুহাতে দারুণ ক্যাচ নেন ইমরুল।

চারটি চারে ২৪ রান করে থামলেন টেইলর। জিম্বাবুয়ের রান ২ উইকেট ৪৭। লিড ১৮৬ রানের।

প্রথম আঘাত মিরাজের

একবার জীবন পাওয়া ব্রায়ান চারি কাজে লাগাতে পারলেন না সুযোগ। তাকে বোল্ড করে জিম্বাবুয়ের শুরুর জুটি ভেঙেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

বোলিংয়ে এসে নিজের দ্বিতীয় ওভারে আঘাত হানেন এই অফ স্পিনার। তাকে ভুল লাইনে খেলার মাশুল দেন চারি। উপড়ে যায় অফ স্টাম্প। ১৯ রানে জিম্বাবুয়ে হারায় প্রথম উইকেট।

ক্রিজে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার সঙ্গী ব্রেন্ডন টেইলর।

চারিকে জীবন দিলেন অপু

দ্রুত জিম্বাবুয়েকে গুটিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশ হারিয়েছে শুরুর জুটি ভাঙার সুযোগ। আবু জায়েদ চৌধুরীর বলে ব্রায়ান চারির ক্যাচ ছেড়েছেন নাজমুল ইসলাম অপু।

দিনের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে আসে সুযোগ। চারির কাটে ক্যাচ যায় পয়েন্টে। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বলের নাগাল পান অপু কিন্তু মুঠোয় জমাতে পারেননি ক্যাচ। সে সময় ১ রানে ব্যাট করছিলে চারি।

আগের রাতে বৃষ্টি হয়েছে। সিলেটের আকাশ মেঘে ঢাকা। এই কন্ডিশনে নতুন বলে কিছুটা সুবিধা পেতে পারেন পেসাররা। সেটা খুব একটা নিতে পারছে না বাংলাদেশ, দলে বিশেষজ্ঞ পেসার যে মাত্র একজন। আবু জায়েদ দারুণ চেষ্টা করছেন, সুযোগও তৈরি করেছেন কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি অপু।

জিম্বাবুয়েকে দেড়শ রানে থামানোর লক্ষ্য বাংলাদেশের

উইকেট নিষ্প্রাণ। স্পিনারদের জন্য নেই তেমন কোনো টার্ন। বাউন্স স্বাভাবিক, উইকেটে থামছে না বল। টিকে থাকতে চাইলে আউট করা কঠিন সিলেটের অভিষেক টেস্টের উইকেটে। তবে তাইজুল ইসলাম মনে করছেন, জিম্বাবুয়েকে দেড়শ রানের ভেতরে থামানো সম্ভব।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার সকাল দশটায় শুরু হবে তৃতীয় দিনের খেলা।

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ১৪০ রানে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে। তবে তাইজুল মনে করেন, এখনও খুব একটা পিছিয়ে পড়েননি তারা। বাঁহাতি এই স্পিনারের মতে, মন্থর উইকেটে প্রয়োজন ডিসিপ্লিনড বোলিং। সবাই সেটা করতে পারলে জিম্বাবুয়েকে কম রানে থামানো সম্ভব।

জিম্বাবুয়ের বোলিং কোচ ডগলাস হোন্ডো জানান, পুরো তৃতীয় দিন ব্যাটিং করতে চান তারা। বাংলাদেশকে দিতে চান যতটা সম্ভব বড় লক্ষ্য।

দ্বিতীয় দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৮২

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫১ ওভারে ১৪৩ (লিটন ৯, ইমরুল ৫, মুমিনুল ১১, শান্ত ৫, মাহমুদউল্লাহ ০, মুশফিকুর ৩১, আরিফুল ৪১*, মিরাজ ২১, তাইজুল ৮, অপু ৪, আবু জায়েদ ০; জার্ভিস ১১-২-২৮-২, চাটারা ১০-৪-১৯-৩, মাভুটা ৬-০-২৭-০, রাজা ১২-২-৩৫-৩, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ৮-২-২১-০, উইলিয়ামস ৪-০-৫-১)

জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ২ ওভারে ১/০ (হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ১*, চারি ০*; তাইজুল ১-০-১-০, অপু ১-১-০-০)