নাটকীয় ধসে পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশড নিউ জিল্যান্ড

তৃতীয় উইকেট জুটির দৃঢ়তায় ম্যাচ হেলে পড়ে নিউ জিল্যান্ডের দিকে। সান্ত্বনার জয়ের আশা জাগায় দলটি। তবে দুই স্পিনার শাদাব খান ও ইমাদ ওয়াসিমের দারুণ বোলিংয়ে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। কেন উইলিয়ামসনের দলকে হোয়াইটওয়াশ করেছে সরফরাজ আহমেদের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Nov 2018, 08:08 PM
Updated : 4 Nov 2018, 08:09 PM

২৭ বলের মধ্যে মাত্র ২৩ রান যোগ করতে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউ জিল্যান্ড। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে তাদের এই নাটকীয় ধস গড়ে দেয় ব্যবধান। ৪৭ রানের সহজ জয় তুলে নেয় এক সময়ে চাপে পড়ে যাওয়া পাকিস্তান।

১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৬ ওভার ৫ বলে ১১৯ রানে থমকে যায় নিউ জিল্যান্ডের ইনিংস। পাকিস্তান পায় টি-টোয়েন্টিতে টানা নবম জয়। 

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত ফখর জামানকে হারায় পাকিস্তান। মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে ৯৬ রানের জুটিতে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন বাবর আজম।

ছবি: পিসিবি

৫৮ বলে দুই ছক্কা আর ৭ চারে ৭৯ রান করা বাবরকে ফিরিয়ে বিপজ্জনক জুটি ভাঙেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। এই ইনিংস খেলার পথে ভারতের বিরাট কোহলিকে (২৭) পেছনে ফেলে সবচেয়ে কম ২৬ ইনিংসে টি-টোয়েন্টিতে হাজার রান ছোঁয়ার রেকর্ড গড়েছেন বাবর।

৯ বলে তিন চারে ১৯ রান করেন শোয়েব মালিক। দারুণ ছন্দে থাকা হাফিজ ৩৪ বলে অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে।

রান তাড়ায় ১৩ রানের মধ্যে কলিন মানরো ও ডি গ্র্যান্ডহোমকে হারিয়ে চাপে পড়ে নিউ জিল্যান্ড। ৮৩ রানের জুটিতে ম্যাচের চিত্রটা পাল্টে দেন উইলিয়ামস ও ফিলিপস। উত্তাল ছিল অধিনায়কের ব্যাট, শান্তই ছিলেন ফিলিপস।

তিন বলের মধ্যে দুই জনকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে খেলায় ফেরান শাদাব খান। ২৪ বলে ২৬ রান করা ফিলিপসকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন এই লেগ স্পিনার। এক বল পর তাকে উড়ানোর চেষ্টায় বাবরের হাতে সীমানায় ধরা পড়েন উইলিয়ামসন। ৩৮ বলে খেলা তার ৬০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস গড়া ৮ চার ও দুই ছক্কায়।

এরপর সেই ধস। বাঁধ দিতে পারেননি কেউই। মিডল অর্ডারে ছোবল দেন বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ। লেজ ছেঁটে দেন অভিষিক্ত পেসার ওয়াকাস মাকসুদ। দিশেহারা নিউ জিল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৯ বল বাকি থাকতে।    

ছবি: পিসিবি

লেগ স্পিনে শাদাব ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।

৭৯ রানের ইনিংস বাবরকে এনে দেয় ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ৪৫, ৩৪* ও ৫৩* রানের তিনটি ইনিংসে সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন ৩৮ বছর বয়সী হাফিজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৬৬/৩ (ফখর ১১, বাবর ৭৯, হাফিজ ৫৩, মালিক ১৯, আসিফ ২*; র‍্যান্স ০/২২, সাউদি ০/৩০, ফার্গুসন ১/২৯, ডি গ্র্যান্ডহোম ২/৪১, সোধি ০/২২, মানরো ০/২১)

নিউ জিল্যান্ড: ১৬.৫ ওভারে ১১৯ (ফিলিপস ২৬, মানরো ২, ডি গ্র্যান্ডহোম ৬, উইলিয়ামস ৬০, চ্যাপম্যান ২, টেইলর ৭, সেইফার্ট ০, সাউদি ০, সোধি ১১*, ফার্গুসন ১, র‍্যান্স ১; হাফিজ ০/৮, আশরাফ ১/৬, ওয়াসিম ২/২৮, উসমান ০/২৪, মাকসুদ ২/২১, শাদাব ৩/৩০)

ফল: পাকিস্তান ৪৭ রানে জয়ী

সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ৩-০তে জয়ী পাকিস্তান

ম্যান অব দা ম্যাচ: বাবর আজম

ম্যান অব দা সিরিজ: মোহাম্মদ হাফিজ