গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দুই দিনে টেস্ট হেরে যাওয়ার পর এই সংস্করণে আর খেলা হয়নি জিম্বাবুয়ের। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ শেষে আবার খেলতে হবে লম্বা বিরতিতে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভিষেক টেস্টের অংশ হতে পেরে খুশি মাসাকাদজা জানান, স্বাগতিকদের উৎসব মাটি করতে মাঠে নিজেদের উজাড় করে দেবেন তারা।
“আমরা খুব বেশি টেস্ট খেলি না বলে ছেলেদের অনুপ্রাণিত করাটা খুব সহজ। ওদের বলাটা সহজ, ‘মাঠে যাও, আর নিজেদের সেরাটা দাও’। আমরা সুযোগ দুই হাতে কাজে লাগাতে উন্মুখ।”
“আমরা নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে মুখিয়ে আছি। পরের টেস্ট সিরিজের আগেও আছে লম্বা বিরতি। তাই এমন পরিস্থিতিতে এই সুযোগ কাজে লাগাতে ছেলেদের আরও বেশি অনুপ্রাণিত করা সম্ভব।”
টেস্ট সিরিজের আগে জিম্বাবুয়ে আদর্শ প্রস্তুতি নিতে পারেনি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের বেশির ভাগ খেলাই নষ্ট হয় বৃষ্টিতে। বৃহস্পতিবার সিলেটে এসেও মানিয়ে নিতে খুব বেশি সময় পায়নি দলটি। অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রস্তুতির ঘাটতি পুষিয়ে নিতে উন্মুখ মাসাকাদজা।
“বৃষ্টির জন্য প্রস্তুতি ম্যাচে খুব একটা খেলার সুযোগ পাইনি। এখানে কেবল একটা অনুশীলন সেশনের পরই আমাদের খেলতে হবে। কাজটা সহজ নয়। তবে আমাদের দলে অভিজ্ঞতার কোনো ঘাটতি নেই। আশা করি, আমরা দ্রুত মানিয়ে নিয়ে ভালো খেলতে পারব।”
“আমরা বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট খুব বেশি খেলি না। আমরা এই সিরিজের গুরুত্বটা বুঝতে পারছি। গত কয়েক বছর ধরে বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটেও বাংলাদেশের দলটি অভিন্ন। তাই ওদের হারাতে আমাদের ভিন্ন কিছু করতে হবে।”