পাকিস্তানের টেস্ট দলের অপরিহার্য সদস্য হলেও ওয়ানডে দলে বেশ কিছুদিন ধরে আজহার ছিলেন অপাংক্তেয়। ৫৩ ম্যাচের ক্যারিয়ারের সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন গত বছরের জানুয়ারিতে।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তার ব্যাটিংয়ের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় থাকলেও ২০১৫ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পর দল সামলাতে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল আজহারকে। ৫৩ ম্যাচের ৩১টিই খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশড হয়ে শুরু হয়েছিল তার নেতৃত্বের যাত্রা। পরেও সুবিধা করতে পারেননি। অধিনায়কত্বের শুরুটায় অবশ্য নিজের ব্যাটিং ফর্ম ভালো ছিল। পরে সেটিও হারিয়ে ফেলেন। এক সময় নেতৃত্ব ও দলে জায়গা, খোয়াতে হয়েছে দুটিই।
তার নেতৃত্বের সময় আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের সর্বনিম্ন নবম স্থানে নেমে গিয়েছিল পাকিস্তান। ১০টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের কেবল চারটি জিততে পেরেছিলেন, তার দুটি আবার ছিল জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে।
৫৩ ম্যাচে ৩৬.৯০ গড়ে আজহার ১ হাজার ৮৪৫ রান করেন ৩ সেঞ্চুরি ও ১২ ফিফটিতে। লেগ স্পিনে উইকেট চারটি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ কখনও পাননি। সেই স্বাদ না নিয়েই শেষ হচ্ছে রঙিন পোশাকের ক্যারিয়ার।
৩৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন, টেস্টে বেশি মনোযোগ দিতেই এই সিদ্ধান্ত।
“সিদ্ধান্তটি আমি হুট করে নেইনি। এটা নিয়ে আগে থেকেই ভাবছিলাম। টেস্টে মনোযোগ দেওয়ার সঠিক সময় এটিই। পাকিস্তানের ওয়ানডে দলে এখন দারুণ সব ক্রিকেটার আছে। কোনো আক্ষেপ নিয়ে আমি ওয়ানডেকে বিদায় বলছি না। নিজের সবকিছু দিয়ে এখন কেবল টেস্টেই মন দিতে চাই এবং টেস্টে রেকর্ড আরও ভালো করতে চাই।”