কোচের চাওয়া ভালো ক্রিকেট উইকেট

খানিকটা মুভমেন্ট মিলত, থাকত বেশ বাউন্স। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটের চরিত্র বাংলাদেশের বিবেচনায় ছিল বিরল। কিন্তু এবার জাতীয় লিগের ম্যাচে এখানে উইকেট দেখা গেছে ভিন্ন। অনেকটাই ছিল মন্থর। কেমন হবে এই মাঠের অভিষেক টেস্টের উইকেট? বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডসের চাওয়া, খুব ভালো ক্রিকেট উইকেট।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Nov 2018, 01:51 PM
Updated : 1 Nov 2018, 01:51 PM

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের অনুশীলনের প্রায় পুরো সময়টায় ম্যাচের উইকেট ছিল ঢেকে রাখা। তবে কোচ-ক্রিকেটাররা উইকেটে চোখ রেখে আসছেন সিলেটে আসার পর থেকেই। খানিকটা ধারনাও নিতে পেরেছেন।

বৃহস্পতিবার অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ঢেকে রাখা উইকেটের চেহারা আর সম্ভাব্য আচরণের খানিকটা ধারনা দিলেন রোডস।

“উইকেট দেখে বেশ ভালো মনে হচ্ছে। কিউরেটর বেশ ভালো কাজ করেছে। সে চেষ্টা করেছে ভালো একটি ক্রিকেট উইকেট বানাতে, যেটি বোলারদের যেমন সাহায্য করবে, তেমনি ব্যাটসম্যানদেরও সহায়তা করবে। আমার মনে হয়, ভালো উইকেটে বেশ ভালো একটি ম্যাচ হবে। সেরা দলটি যেন জেতে এবং আশা করি সেই দল হবে বাংলাদেশ।”

দেশের মাটিতে গত বছর দুয়েক ধরে বাংলাদেশ খেলছে এমন উইকেটে, ম্যাচের প্রথম সকাল থেকেই যেখানে বল টার্ন করেছে ব্যাপকভাবে। দুই দলের ব্যাটসম্যানরাই ধুঁকেছে, ম্যাচ শেষ হয়েছে তিন-চার দিনে। দেশের মাটিতে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে বাংলাদেশ বেছে নিয়েছিল সেই পথ। পুরোপুরি না হলেও সেই পথ কাজে দিয়েছিল অনেকটা। সিরিজ জিততে না পারলেও অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবার টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এ বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে এমন উইকেট বানিয়ে পেতে হয়েছে উল্টো স্বাদ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও এমন টার্নিং উইকেট তৈরি করা জরুরি কিনা, এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। থাকছে কৌতুহল। কোচের কোনো পরামর্শ ছিল কিনা, সেই প্রসঙ্গও উঠল। রোডসের নানা কথার অলিগলি থেকে মিলল তার চাওয়া নিয়ে কিছুটা ইঙ্গিত।

“দেখুন, সিদ্ধান্ত শুধু আমি একা নেই না। অধিনায়ক, আমি, আকরাম (ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান), মাঠে যারা থাকে, সবারই মিলিত সিদ্ধান্তের ব্যাপার এটি। মাহবুব (গ্রাউন্ডস কমিটির প্রধান মাহবুব আনাম) ও অন্য অনেকে চেয়ে এমন উইকেট, যেটি অবশ্যই স্পিন করবে। আশা করি এই উইকেট স্পিন করবে, পাশাপাশি পেসারদেরও কিছু সুযোগ দেবে। কারণ আমরা দেখতে চাই ওরা কতটা ভালো।”

“যখন দেশের বাইরে খেলতে যাই আমরা, আচমকাই ওদের অনেক দায়িত্ব নিতে হয়। অথচ এখানে ওরা খুব বেশি খেলার সুযোগই পায় না। ওরা যেন সেই সুযোগ, সেই অভিজ্ঞতা নিতে পারে। আশা করি এই উইকেটে আমরা একটি ব্যালান্সড দল খেলাতে পারব। তার পর সেরা দলটিই যেন জেতে।”