নিজের প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজে রোডস বুঝে যান নতুন শিষ্যদের স্লিপ ক্যাচিং কতটা নাজুক। ঘরোয়া ক্রিকেট দেখে কারণটাও বুঝে নিতে সমস্যা হয়নি তার।
“বাংলাদেশের স্লিপ ফিল্ডারদের জন্য আমার কিছুটা খারাপ লাগে। ঘরোয়া ক্রিকেটে খুব বেশি স্লিপ থাকে না। উইকেট থাকে ফ্ল্যাট আর স্লো। স্পিনাররা অনেক বেশি ওভার বোলিং করে। তাই স্লিপ ফিল্ডাররা ঘরোয়া ক্রিকেটে খুব একটা অনুশীলনের সুযোগ পায় না।”
“খুব একটা অনুশীলন না করে আর ম্যাচেও স্লিপে ফিল্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা ছাড়াই ওরা টেস্টে স্লিপে দাঁড়িয়ে যায়। আমরা যখন বাইরে খেলতে যাই, তখন ওই ক্যাচগুলো স্লিপে আপনাকে ধরতে হবে। এটা সহজ নয় তবে আমরা অনেক অনুশীলন করে তার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারি।”
এখনও কোনো বিশেষজ্ঞ স্লিপ ফিল্ডার নেই বাংলাদেশের। বুঝিয়ে-শুনিয়ে কিংবা কখনও জোর করে স্লিপে কাউকে না কাউকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। সেই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে, বিশেষজ্ঞ স্লিপ ফিল্ডার তৈরি করতে চান রোডস।
“আমি এরই মধ্যে স্লিপ ফিল্ডিংয়ে ছেলেদের উন্নতি করতে দেখেছি। স্লিপ ক্যাচিংয়ে ওদের শরীরিক দিকগুলো নিয়ে আমরা অনেক কাজ করেছি। স্লিপে দাঁড়ানো সাহসী একটি কাজ। আমরা ওদের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।”
“লিটন স্লিপে খুব ভালো করেছে। সে অসাধারণ একজন ফিল্ডার। মিঠুনও ভালো করছে। শান্তও স্লিপে ক্যাচ ধরতে পারে। ইমরুল আর মিরাজ আছে, ওরাও স্লিপে দাঁড়াতে পারে। আমাদের অনেকেই আছে যারা এটা করতে পারে।”